ব্রয়লার মাংস নিরাপদ খাদ্য এবং খাওয়ার ক্ষেত্রে কোন ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি জানিয়েছেন: গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির মাংসে, হাড়ে এবং কম্পোজিটে এন্টিবায়োটিক, আর্সেনিক সর্বোচ্চ সহনশীল সীমার অনেক নিচে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একটি গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে এ তথ্য জানান তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সব মানুষের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। পুষ্টিসম্মত খাবার হলো মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও শাক-সবজি, ফল প্রভৃতি।
এর মধ্যে ব্রয়লার মুরগির মাংস বাংলাদেশে সবচেয়ে সস্তা ও সহজলভ্য আমিষের উৎস। কিন্তু আমাদের দেশে মাথাপিছু মুরগির মাংস খাওয়ার পরিমাণ অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই কম।
তিনি আরও বলেন: এর কারণ হলো, সব শ্রেণি-পেশার (উচ্চবিত্ত-নিম্নবিত্ত) মানুষের বদ্ধমূল ধারণা বাণিজ্যিকভিত্তিতে উৎপাদিত মুরগির মাংসে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক ও ভারী ধাতু আছে; ফার্মের মুরগির মাংসের স্বাদ কম; উচ্চবিত্তরা মনে করেন, এটা গরিবের মাংস এবং মুরগির খাবারে ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহার করা হয়।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন: মুরগির খাবারে ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহারের ধারণা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
কেননা দেশে বর্তমানে হাঁস-মুরগির খাবারের চাহিদার পরিমাণ ৯৫ লাখ টন। গবাদি পশুর ১৪৫ লাখ টনসহ মোট ২৪০ লাখ টন। অথচ মোট ট্যানারির বর্জ্য হয় মাত্র ৮৫ হাজার টন।