ন্যাশনালে আইসিইউ বিল ৮৫ হাজার প্রতিদিন, মেট্রোপলিটনে আইসিইউ বিল ৭০ হাজার। ICU আছে এরকম ক্লিনিকগুলোতে কমবেশী এটাই রেইট।
বর্তমান চলমান করোনা সংকটে বেসরকারি ক্লিনিকের এই গলাকাটা চিকিৎসা সেবায় বন্দরনগরীর মানুষ রীতিমতো অসহায়। ব্যাবসা টাকা কামানোর জন্য তারা ক্লিনিকগুলো খুলেছে।
অতীতে এটা নিয়ে অনেক বাহাস, বাদ প্রতিবাদ হয়েছে।
এবিষয়ে সরকারের কি নীতিমালা বা বাধ্যবাধকতা আছে — তারাই জানে, আমরা চাই এবিষয়ে কঠোর মনিটরিং করবে সরকার।
গতবারের করোনার শুরুতে বেসরকারী ক্লিনিক মালিকদের ICU নিয়ে অনৈতিক, অমানবিক কাজকারবার নিয়ে — আমাদের প্রতিবাদ সমাবেশ করতে হয়েছিল একাধিকবার। সাধারন মানুষের জীবনকে পুঁজি করে – আগামীতে সবচেয়ে লাভজনক ব্যাবসা হিসেবে ICU সমৃদ্ধ ক্লিনিক ব্যাবসাতে বিত্তশালীরা পুঁজি খাটাতে আগ্রহী হয়ে পরেছেন, বর্তমানে ক্লিনিক ওয়ালাদের ফায়দা দেখে।
রাজধানী ঢাকার তুলনায় চিকিৎসা সেবায় অনেক পিছিয়ে আছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। সত্য কথা বলতে কি চট্টগ্রামের প্রতি চিকিৎসা খাতেও বৈষম্য, অবহেলা দৃশ্যমান। রাজধানী ঢাকার চেয়ে- জনসংখ্যার অনুপাতে -সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা, বেড, ICU সংখ্যা অনেক কম এই বাণিজ্যিক রাজধানীতে।
গরীব, মধ্যবিত্ত এমনকি উচ্চবিত্তরা ও এখন ক্লিনিকের নাম শুনলে আতংকিত হন, গেলেই লাখ টাকার বিল। দেখে মনে হচ্ছে — চিকিৎসার নামে এরকম ডাকাতির তদারকি করার কেউ নেই। করোনার এই কঠিন সংক্রমনে যখন পুরো জাতি অসহায় – মানবতা বিপন্ন — ঠিক এরকম মুহূর্তে ৩/৪/৫ গুন বাড়িয়ে বিল নেওয়া কতোটুকু যুক্তিযুক্ত তা নগরবাসীকে বিচার দিলাম।
এই কথা বলাতে – অতীতে হুমকী শুনতে হয়েছে চিকিৎসক নামধারী কতিপয় নেতাদের, কারো চিকিৎসা করবেন না বলে জানিয়েছিল। ️ হুমকী ধামকি প্রতিবাদ অনুরোধ এসবে আর যেতে চাইনা — আমরা চাই সরকারী হস্তক্ষেপ।
কঠোর মনিটরিং। ️
এই শহরে এরকম চিকিৎসা নৈরাজ্য ও গলাকাটা চিকিৎসা বিলের বিরুদ্ধে কেউ কি দাঁড়াবে না? অনেক সময় দেখি – ৫০ টাকার চাল ৫২ টাকা বেচলে ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে জরিমানা করে। গরীব ব্যাবসায়ীদের জন্যই কি শুধু আইনের প্রয়োগ হয়? সরকার, জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিৎ – এদের চিকিৎসা ব্যাবসার লাগাম টেনে ধরা , প্রয়োজনে আইসিইউ সমৃদ্ধ প্রাইভেট ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেট বসিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম মনিটরিং করা। মনে রাখতে একটি জীবনের মূল্য অনেক। বিনা চিকিৎসায় অনেক মৃত্যু হচ্ছে , এটাই বাস্তব।
৫/ ৬ গুন বিল নিয়ে – কোনো মানুষ – এই দুর্ভোগে বাণিজ্য করতে পারেনা। এরা মানুষ নামের কলংক। সরকারী হস্তক্ষেপ চাই — মানুষ বাঁচাতে কঠিন সিদ্ধান্তের বিকল্প নাই।