বিদ্রোহী ও মদদ দাতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের জিরো টলারেন্স ঘোষণা, যেকোন সময় বহিষ্কারাদেশ- দলীয় সূত্র।

এবার বিদ্রোহী ও তাদের মদদ দাতাদের বিরুদ্ধে একজোট হলেন চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত সকল কাউন্সিলর প্রার্থীরা। মঙ্গলবার (৫ই জানুয়ারী) নগরীর প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডের মনোনীত প্রার্থী সহ প্রায় ৪০ জনের একটি দল প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপির সাথে দেখা করেন। এমপি সাহেব তাদের কথা শুনেন এবং তাৎক্ষনিক কেন্দ্রে ফোন দেন। উপস্থিত সকলের সামনেই কেন্দ্র থেকে বিদ্রোহী ও মদদ দাতাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয় সে সাথে যেকোন সময় বহিষ্কারাদেশ আসতে পারে বলে জানানো হয় দলীয় সূত্রে। ইতিমধ্যে মহানগরের সদস্য নন কিন্তু নিজেকে স্বতন্ত্র বলে চালিয়ে দেওয়া কিছু প্রার্থীদের নামও পৌঁছে গেছে ঢাকার কেন্দ্রে এবং সেখান থেকে দলের হাইকমান্ড কার্যালয়ে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশান নির্বাচনের চিত্র ক্রমেই নাটকীয়তায় মোড় নিচ্ছে। এবারের চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপিও নির্বাচনের মাঠে আছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের বর্তমান মনোনয়ন প্রার্থীদের বিপক্ষে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নিজ দলেরই বিদ্রোহী প্রার্থীদের দৌড়াত্মে বেশ সুবিধাজনক ও নিরাপদে মাঠ পর্যায়ে নিজেদের নির্বাচনী কার্যক্রম ভালোভাবে ঝালিয়ে নিচ্ছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা ততই সড়ব হচ্ছে নির্বাচনী মাঠে। এতোদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা চুপ থাকলেও এবার নড়েচড়ে বসেছেন নগরের দল মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
আওয়ামী লীগের মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ আসনে বিদ্রোহীদের বিষয়ে দলের নীতিনির্ধারকরা কি ব্যবস্থা নেন তার উপর নির্ভর করে ছিলেন। সম্প্রতি সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রী, এমপিদের মহরতের পরও বিদ্রোহীদের মধ্যে তেমন কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারছেন না মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থীরা। যার ফলশ্রুতিতে চসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ‘বিদ্রোহীদের নিয়ে নগর আওয়ামী লীগের নেতাদের ‘রহস্যজনক ভূমিকায় হতাশ দলীয় প্রার্থীরা। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া প্রার্থীরা একজোট হয়ে বৈঠক করে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আমাদের জয়বিডি২৪ এর চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানান, মঙ্গলবার (৫ই জানুয়ারী) নগরীর প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডের মনোনীত প্রার্থী সহ প্রায় ৪০ জনের একটি দল প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপির সাথে দেখা করেন। তারা এমপি মহোদয়ের কাছে বিদ্রোহীদের বিষয়ে কথা বলেন।
জানা যায়, গত রবিরার (৩রা জানুয়ারী) রাতে নগরীর অলঙ্কার মােড়ে উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আবছারের বাসায় এই বৈঠক হয়েছে। এতে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত পদে আওয়ামী লীগের মনােনয়ন পাওয়া ৩৪ জন উপস্থিত ছিলেন। তবে মনােনয়ন পাওয়াদের মধ্যে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের মধ্যে কেউ বৈঠকে ছিলেন না।
আওয়ামী লীগের মনোনীত একজন কাউন্সিল প্রার্থী বেশ ক্ষোভের সাথে জানান, “প্রকাশ্যে বিদ্রোহীরা নির্বাচন মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, সব কিছুই কেন্দ্র জানেন, মহানগর জানেন, তারপরও এদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। সিনিয়র নেতারা শুধু ব্যবস্থা নেবেন বলে যাচ্ছেন।”
বৈঠকে উপস্থিত অন্য আরেকজন কাউন্সিলর প্রার্থী হতাশার সাথে জানান, “তার ওয়ার্ডে বিদ্রোহীদের সাথে সন্ত্রাসীরা হাত মিলিয়েছে। পানির মতো টাকা খরচ করছে, কিশোর গ্যাংগুলো এলাকায় বলতে গেলে মহড়া দিচ্ছে। পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। তার সাথে মহানগর পদ নিয়ে অনেক নেতা বিদ্রোহীদের সাথে কাজ করছে। এটা একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের কাংখিত পরিবেশ হতে পারে না।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২৫ নং ওয়ার্ডের বেশকিছু এলাকাবাসী বিদ্রোহী প্রার্থীকে ইঙ্গিত করে জানান, এ প্রার্থী চট্টগ্রামে বিশাল একটি কিশোর গ্যাং এর সঞ্চালক। বিভিন্ন ওয়ার্ডে সে তার গ্যাং পরিচালিত করছে এবং দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২৫ নং ওয়ার্ডের এ বিদ্রোহী প্রার্থীকে এলাকাবাসীরা কিশোর গ্যাং এর গড ফাদার হিসেবে চিনেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিশোর গ্যাং পরিচালনা ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কন্মকান্ডের জন্য পূর্বেও বহুবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছেন আওয়মী লীগ থেকে নমিনেশান না পাওয়া এ বিদ্রোহী প্রার্থী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের একজন সদস্য জানান, “গত তিন বছর ডাঃ আফসারুল আমীন সাহেব অসুস্থ থাকার কারনে এবং বেশীরভাগ সময় ঢাকায় অবস্থানের সুযোগে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে অনৈতিভাবে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করছেন তাঁর দুই ভাই। তাঁরা বেশ কিছু ওয়ার্ডে বিদ্রোহীদের অনেকটা প্রকাশ্যেই সমর্থন দিচ্ছেন। এর প্রমান পাওয়া যায় গত কিছুদিন ধরেই অনেক ওয়ার্ডের বিদ্রোহীরা স্বশরীরে নিত্য যোগাযোগ রাখছেন।”
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন সাহেবের কর্মকান্ড নিয়ে দল মনোনীত অনেক প্রার্থীর মধ্যেই ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, তিনি মহানগরের সেক্রেটারী হয়ে চসিক নির্বাচনে শুধু তার অনুসারীদের নিয়ে কাজ করছেন। শুধু তাই নয় তার অনুসারী প্রায় ওয়ার্ডেই বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করছেন এবং এটা স্পষ্ঠ যে নাছির সাহেবের সাপোর্ট না থাকলে বিদ্রোহীরা এখনো মাঠে থাকতো না। জানা যায়, বেশ কয়টি সংরক্ষিত মহিলা আসনে আ জ ম নাছিরের অনুসারী প্রার্থীরা নির্বাচন করছেন।
আমাদের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি নগরের বেশ কিছু দলীয় মনোনীত কাউন্সিলরের সাথে কথা বলে জানতে পারেন, চট্টগ্রামের দলীয় মনোনীত প্রার্থীরা ঐক্যবদ্ধভাবে ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে এর আগে তারা নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে বিদ্রোহীদের বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য জানতে চাইবেন।
এর আগে মনােনয়নপ্রাপ্তরা ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মােশাররফ হােসেন এবং চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে দলের মনােনয়ন পাওয়া এম রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রােববারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রোববারের বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে জানতে চাইলে এক কাউন্সিলর প্রার্থী বলেন, “সিদ্ধান্ত বলতে এখন দ্রুত এ্যাকশানে যেতে হবে এবং অবশ্যই সাংগঠনিক উপায়ে।”
তিনি আরও জানান, কার্যনির্বাহী কমিটির সভাস্থলে আওয়ামী লীগের মনােনয়ন পাওয়া কাউন্সিলর প্রার্থীরা সবাই অবস্থান নেবেন। প্রার্থীদের মধ্যে যারা আওয়ামী লীগের মহানগর কমিটির সদস্য, তারা সভায় বিদ্রেহীদের সক্রিয় থাকার প্রসঙ্গ তুলবেন। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের কাছ থেকে বিদ্রোহীদের বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য জানতে চাইবেন অপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া না গেলে মনােনয়নপ্রাপ্তরা এ সপ্তাহের মধ্যেই ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এটা মোটামুটি ডিসাইডেড বলে মন্তব্য করেন এই প্রার্থী।
এদিকে আমাদের ঢাকার প্রতিনিধি জানান, কেন্দ্রের কাছে গত কিছুদিনের মধ্যে বেশ কিছু নাম পাঠানো হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে কেন্দ্রের একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান, “আমাদের সাধারন সম্পাদক সাহেব চট্টগ্রামের বিদ্রোহীদের বিষয়ে আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছেন। যেটা পরিস্থিতির কারনে বিদ্রোহীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে শাস্তির বিষয়টি আরও কঠোর হচ্ছে।”
অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, “চসিক নির্বাচনে দলীয় বিদ্রোহীদের কর্মকান্ড নিয়ে দলের সভানেত্রী যথেষ্ঠ বিরক্ত এবং তিনি কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্রোহীদের বিষয়ে সিধান্ত নেয়া হয়।”
বিদ্রোহী বলতে দলের সভানেত্রী কাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “বিদ্রোহী বলতে চট্টগ্রাম মহানগরে পদ নিয়ে আছেন শুধু তারাই নন, বরং যারা আওয়ামী লীগ থেকে নমিনেশান চেয়ে পাননি কিন্ত নির্বাচনে নিজেকে স্বতন্ত্র প্রাথীর দোহাই দিয়ে নির্বাচন করছেন তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে এবং সেই সাথে মদদ দানকারী প্রত্যেককে।”
তিনি আরও বলেন, “এসব বিদ্রোহীদের এবং একই দলে থেকে নেতাদেরও লাইফ লং দল থেকে বহিষ্কার করা সহ ভবিষ্যতে দলের কোন কর্মকান্ডেও অংশগ্রহন করতে পারবেন না।” গত দু”তিন দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে কিছু নাম আমাদের হাতে এসেছে যারা মহনগর কমিটির সদস্য না হয়েও মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন।
কবে নাগাদ এ শাস্তি কার্যকর হবে, এমন কথার প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, নির্বাচনের পূর্বেই হয়তো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন। কারন নির্বাচনের পর পরই নগরীর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কমিটি ঘোষিত হতে পারে।
এবার কমিটি কি সিলেকশান নাকি সম্মেলনের মাধ্যমে করা হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ ৪-৫টি পদ হয়তো সভানেত্রী ও কেন্দ্রের সিলেকশানের মাধ্যমে হতে পারে। বাকী গুলো সম্ভবতঃ একটি কমিটির মাধ্যমে হতে পারে কিংবা সম্মেলনের মাধ্যমে।”
গত ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে দলের এক সভায় যােগ দিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ চসিক নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বঙ্কিারের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। হানিফের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মনােনয়নপ্রাপ্তরা। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নির্বাচনের সামগ্রিক অবস্থা তুলে ধরে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনােনয়ন পাওয়া কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে নগরীর ৩৪ ন ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ড থেকে মনােনয়ন পাওয়া মােহাম্মদ সালাহউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, আওয়ামী লীগ কেন্দ্র থেকে যদের কাউন্সিলর প্রার্থী করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মাঠে যারা প্রার্থী হিসেবে আছেন, দুঃখজনক ভাবে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা তাদের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকছেন। তাদের পাশে নিয়ে ঘুরছেন। এতে তারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করেও
একধরনের বৈধতা পাঝেন। এ অবস্থায় আমরা যারা মনােনয়ন পেয়েছি, আমরা মহানগর আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য চাই। আর বক্তব্য না পেলে আমরা কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা ছিল।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চতুর্থ দফায় মনােনয়ন পাওয়া একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বলেন, “মাঠে মনােনয়প্রাপ্তরাও থাকবেন, আবার বিদ্রোহীরাও খাকবেন, এতে তাে ভোটাররা বিভ্রান্ত হবেন। নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘাত তৈরি হবে। আমাদের মেয়র প্রার্থীর ভোটের ওপর প্রমৰ পড়বে। আমরা এভাবে বিশৃঙ্খল অবস্থায় নির্বাচন চাই না। কেন্দ্রের স্কেলে এর একটা সুরাহা করা হোক। চসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে দলীয় মনােনয়নের বাইরে প্রায় অর্ধশত প্রার্থী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, যাদের বিদ্রোহী বলা হয়। আওয়ামী লীগের মনােনয়ন না পেয়ে ১৯ জন বর্তমান কাউন্সিল নির্বাচন করছেন।
সরজমিনে দেখা গেছে বিদ্রোহীদের অধিকাংশই ডাঃ আফসারুল আমিন ও আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। পুনঃতফসিল অনুযায়ী আগামী ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।