০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্যসংকট দেখা দিলেও বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি নেই :বিশ্বব্যাংক

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৫৩:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০২২
  • 47

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্যসংকট দেখা দিলেও বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। চাল আমদানিতে শুল্ক ছাড়, সারে ভর্তুকি বাড়ানোসহ কৃষিখাতে সরকারের নানা পদক্ষেপ কারণে সংকট রোধ করা গেছে বলে মনে করছে সংস্থাটি। খাদ্যনিরাপত্তা বিষয়ক এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রশংসা করে বিশ্বব্যাংক বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকলেও, সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ।

করোনা লকডাউনের কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে সংক্রমণ কমে আসায় সংকট কমে আসতে শুরু করে। এর মধ্যেই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আবারো খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে যায় সূর্যমুখীর তেল, গম ও ভুট্টাসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। অনেক দেশে দেখা দেয় রেকর্ড মূল্যস্ফীতি।

ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানির শুরু হলেও সংকট কাটছে না। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ১৫৩টি দেশে খাদ্য খাতে গড় মূল্যস্ফীতি ৮১ ভাগ। এমন পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি নেই বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। বিশ্বের ক্রমবর্ধ্মান মূল্যস্ফীতির মধ্যেও বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে বলছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদেন মতে, শ্রীলঙ্কায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮০ শতাংশ, পাকিস্তানে ২৬ শতাংশ হলেও বাংলাদেশে তা ৮ দশমিক ৩ ভাগ।

খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সরকারের নানা পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে- বলছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলা হয়, খাদ্য নিরাপত্তায় চাল আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে। পাশাপাশি কৃষি খাতে বেড়েছে বাজেট বরাদ্দ। এছাড়াও সারে ভর্তুকি বৃদ্ধিসহ রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।

এদিকে, পাকিস্তানে সারের অভাব এবং খরার কারণে গম ও চালের উৎপাদন কম হয়েছে। ভুটান এবং শ্রীলঙ্কা অভ্যন্তরীণ খাদ্য সরবরাহে উল্লেখযোগ্য ঘাটতি রয়েছে। শ্রীলঙ্কায় সারের ঘাটতির কারণে কৃষি উৎপাদন ৪০ থেকে ৫০ ভাগ কমেছে এবং খাদ্য আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট রয়েছে। বিশ্বে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় দেশগুলোকে বাণিজ্য ও রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ কৃষি খাতে প্রণোদনা বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতে ৩শ’ রুপির গয়না ৬ কোটিতে বিক্রি করে মার্কিন নারীর সঙ্গে প্রতারণা।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্যসংকট দেখা দিলেও বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি নেই :বিশ্বব্যাংক

Update Time : ১১:৫৩:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০২২

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্যসংকট দেখা দিলেও বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। চাল আমদানিতে শুল্ক ছাড়, সারে ভর্তুকি বাড়ানোসহ কৃষিখাতে সরকারের নানা পদক্ষেপ কারণে সংকট রোধ করা গেছে বলে মনে করছে সংস্থাটি। খাদ্যনিরাপত্তা বিষয়ক এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রশংসা করে বিশ্বব্যাংক বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকলেও, সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ।

করোনা লকডাউনের কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে সংক্রমণ কমে আসায় সংকট কমে আসতে শুরু করে। এর মধ্যেই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আবারো খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে যায় সূর্যমুখীর তেল, গম ও ভুট্টাসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। অনেক দেশে দেখা দেয় রেকর্ড মূল্যস্ফীতি।

ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানির শুরু হলেও সংকট কাটছে না। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ১৫৩টি দেশে খাদ্য খাতে গড় মূল্যস্ফীতি ৮১ ভাগ। এমন পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি নেই বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। বিশ্বের ক্রমবর্ধ্মান মূল্যস্ফীতির মধ্যেও বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে বলছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদেন মতে, শ্রীলঙ্কায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮০ শতাংশ, পাকিস্তানে ২৬ শতাংশ হলেও বাংলাদেশে তা ৮ দশমিক ৩ ভাগ।

খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সরকারের নানা পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে- বলছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলা হয়, খাদ্য নিরাপত্তায় চাল আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে। পাশাপাশি কৃষি খাতে বেড়েছে বাজেট বরাদ্দ। এছাড়াও সারে ভর্তুকি বৃদ্ধিসহ রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।

এদিকে, পাকিস্তানে সারের অভাব এবং খরার কারণে গম ও চালের উৎপাদন কম হয়েছে। ভুটান এবং শ্রীলঙ্কা অভ্যন্তরীণ খাদ্য সরবরাহে উল্লেখযোগ্য ঘাটতি রয়েছে। শ্রীলঙ্কায় সারের ঘাটতির কারণে কৃষি উৎপাদন ৪০ থেকে ৫০ ভাগ কমেছে এবং খাদ্য আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট রয়েছে। বিশ্বে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় দেশগুলোকে বাণিজ্য ও রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ কৃষি খাতে প্রণোদনা বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।