মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপিতে নেতৃত্বে কোনো সমস্যা নেই। বিএনপি একটা রাজনৈতিক দল, এটা একটা পেট্রোজেনিয়াস পলিটিক্যাল পার্টি, কোনো মনোবৃত্তিক পলিটিক্যাল পার্টিও নয়। ইটস এ প্ল্যাটফর্ম অব অল দি পেট্রোজিনিয়াস এলিম্যাটস। সেই জায়গায় কিছু কথা থাকবে, যেহেতু গণতান্ত্রিক দল সেখানে বিভিন্ন রকমের কথা-বার্তা থাকবে। কিন্তু আন্ডার দি লিডারশীপ অব তারেক রহমান বিএনপি ইজ ইউনাইটেড দেন দি পাস্ট। অতীতে যা ছিলো তার চেয়ে বেশি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ আছে বিএনপি এখন।
তিনি বলেন, গত একযুগ ধরে যে অত্যাচার-নির্যাতন চলছে তার মধ্যেও দেখে বিএনপি এখন পর্যন্ত সোজা হয়ে মাথা উঁচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দেট ইজ দি রিজন যে, বিএনপি সত্যিকার অর্থে জনগণের দল, জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা নিয়ে এই দল ধারণ করে আছে এবং তারেক রহমান সাহেব এই দুর্দিনে সুদূর লন্ডন থেকে যে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেই নেতৃত্বে গোটা দল আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আছে।
বিএনপিকে নিয়ে কিছু গণমাধ্যমের নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশনার প্রসঙ্গে টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে এই সরকার জনগণের সমস্ত অধিকারকে কেড়ে নিয়ে এই রাষ্ট্রকে যেভাবে ধবংস করে দিচ্ছে সে ব্যাপারে আমরা পত্র-পত্রিকায় সেই রকমের কোনো লেখা দেখি না। সেখানে বিএনপির সমালোচনা, বিএনপিকে নিয়ে উঠে পড়ার কারণটা কী থাকতে পারে? সারাক্ষণ বিএনপির বিরুদ্ধে, দ্যান বিএনপি ইজ এ ফ্যাক্টার এবং তারেক রহমান আরেকটা বড় ফ্যাক্টার। সেকারণে তারেক রহমান সম্পর্কে তৈরি করা, মনগড়া কথা-বার্তা সবাই লেখেন।
বিএনপির মধ্যে কোনো সমস্যা নেই জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যারা বিএনপির বিরুদ্ধে লেখছেন তারা নিঃসন্দেহে ভুল তথ্য থেকে লেখেন, বিভ্রান্ত হয়ে লেখেন এবং জনগনকে বিভ্রান্ত করেন। এটা আমি মনে করি যে, দিজ নট ক্রাইসিস এট দিস টাইম এবং পত্রিকাগুলো প্রায়োরেটি ফিক্সডআপ করতে পারছে না। প্রায়োরেটি শুড বি যে হেলথ-করোনা, প্রায়োরেটি শুড বি মেগা করাপশন, প্রাইয়োরেটি শুড বি ঢাকা টু গাজীপুর রোড, প্রায়োরেটি শুড বি দেয়ার ইজ নো বেড ইন দি হসপিটাল, নো অক্সিজেন, প্রণোদনা নাই, মানুষ খেতে পারছেন, চাকুরিচ্যুত হচ্ছেন মানুষ, নতুন করে ২ কোটি মানুষ দরিদ্র হয়েছে। কোথায় এসব প্রতিবেদন? এসব কি বিএনপির একার দায়িত্ব। মিডিয়ার কী কোনো দায়িত্ব নেই। কোন দেশে গণতন্ত্র সফল হয়েছে মিডিয়ার একটা ভূমিকা ছাড়া।
‘বিএনপির ভবিষ্যত কুয়াচ্ছন্ন’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির ভবিষ্যত নিয়ে উনারা এতো উদ্বিগ্ন কেনো? এই কারণে তারা মনে করেন যে, বিএনপি হচ্ছে একমাত্র রাজনৈতিক দল যা জনগণের ইচ্ছা-আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে, বিএনপির একমাত্র দল যে, যারা এই ভয়াবহ দানবকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থে জনগণের একটা সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। আর জনগণ জেগে উঠলে ক্ষমতাসীনরা পালাবার পথ খুঁজে পাবে না।
তিনি বলেন, আমি বলতে চাই, আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত ঘোরতর অন্ধকারে নিমজ্জিত। এজন্য যে, তারা যে কাজগুলো করেছে এবং করছে গোটা জাতিকে তারা আজকে একটা অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। তারা এই জাতির সমস্ত অর্জিত ভালো-সুন্দর সব কিছুকে ধবংস করে দিয়েছে, গণতন্ত্রকে ধবংস করেছে, মানুষের ভোটের অধিকারকে ধবংস করেছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে ধবংস করেছে, অর্থনীতিকে লুটপাটের অর্থনীতিতে পরিণত করেছে এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতার যে মূল লক্ষ্য ছিলো যে, একটা সুন্দর,সুষ্ঠু, স্বাস্থ্য সম্মত একটা জাতির নির্মাণ করা সেই জাতির সম্ভাবনাকে বিনষ্ট করে দিচ্ছে।
এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন নসু উপস্থিত ছিলেন।