চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় মতিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার মেয়ে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) সকালে জীবননগর উপজেলার দেহাটি গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মতিয়ার রহমান একই গ্রামের মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে। ওই ঘটনায় মতিয়ারের মেয়ে ময়না খাতুন (৩০) ও তার স্ত্রী তাসলিমা খাতুনকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় মতিয়ারকে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া দেখে মৃত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। প্রথম দিকে বাড়িতে সদস্যরা সিলিং ফ্যানের পাখায় কেটে গেছে বলে দাবি করেন। পরবর্তীতে মেয়ে ময়না খাতুন নিজে এই হত্যা করার কথা স্বীকার করেন। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার কারণ হিসেবে জানতে চাইলে মেয়ের ভাষ্য, বাবা আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আমার সঙ্গে রাত্রিযাপন করতে চেয়েছিল; যার কারণে আমি এমন কাজ করেছি।
মেয়ে ময়না খাতুন তার বাবাকে মাথায়, গলায়, পেটে ও হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে দাবি পুলিশের।
চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা জানান, ওই ঘটনায় নিহত মতিয়ার রহমান মতির মেয়ে ময়না ও স্ত্রী তাসলিমাকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।