সরকার বিরোধী আন্দোলনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে এবার ২০ দলীয় জোটের আরেক শরিক বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সঙ্গে সংলাপ করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী সংলাপে একত্রে আন্দোলনের বিষয়ে উভয় দলের নেতারা একমত পোষণ করেন।বাংলাদেশ মুসলিম লীগ একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। সংলাপে বিএনপির পক্ষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে মুসলিম লীগের মহাসচিব অ্যডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরীর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেন।
অন্যরা হলেন- দলটির সহ-সভাপতি আজিজুল রহমান লিটন, নির্বাহী মহাসচিব নজরুল ইসলাম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক অ্যডভোকেট সৈয়দ মিনহাজ উদ্দিন, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক অ্যডভোকেট আলমগীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক অ্যডভোকেট এমদাদুল হক প্রমুখ।বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন প্রতিরোধের জন্য, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আন্দোলনের বিষয়ে কথা বলতে শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সঙ্গেও সংলাপ হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা একমত হয়েছি-এই অনির্বাচিত সরকারকে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরিয়ে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করব। সেই সঙ্গে সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একসঙ্গে কাজ করব। সেটা যুগপৎভাবেই করা হবে বলে আলোচনা হয়েছে। যুগপৎভাবে শুরু করে আন্দোলনের ধারা অনুযায়ি সেটা বদলাতে পারে।
মুসলিম লীগের মহাসচিব অ্যডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী বলেন, এই ফ্যাসিষ্ট সরকারের পদত্যাগের দাবিতে যুগপৎ কিংবা জোটবদ্ধ যেভাবেই হোক না কেন সেখানে মুসলিম লীগ থাকবে। আগামীতে বিএনপির নেতৃত্বেই সেই আন্দোলন হবে। খালেদা জিয়ার সকল মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। তারেক রহমানের সব মামলা প্রত্যাহার করে দেশে ফিরে আসার পথ করে দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ দিতে হবে। এছাড়া সব রাজনৈতিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলাও প্রত্যাহার করতে হবে।