প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আঁধার রাঙ্গামাটি পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় এই জেলায় ছড়িয়ে আছে প্রকৃতির দৃষ্টিনন্দন কারুকাজ। এইসবের পাশাপাশি রাঙামাটির পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করেছে শিশু কিশোরদের বিনোদন কেন্দ্র হ্যাপি আইল্যান্ড। কৃত্রিম এই আইল্যান্ড টি একই সাথে প্রকৃতি প্রেমীদের তৃষ্ণা মেটাবে। দ্বীপটির গঠন উপর থেকে দেখতে অনেকটা বিশাল এক মাছের মতো দেখায়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩০৫ ইনফ্যান্ট্রি বিগ্রেডের উদ্যোগে প্রায় দুই বছরের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় রাঙ্গামাটি জেলার ভেদভেদি এলাকা সংলগ্ন কাপ্তাই লেকের মাঝখানে নির্মিত হয় অসাধারণ এই ওয়াটার আইল্যান্ড। উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার। কাপ্তাই লেক ঘেরা মনোরম সবুজ প্রকৃতি আর লেকের স্বচ্ছ জলের মাঝে এই লেকটি ৪৫ শতক জায়গা নিয়ে নির্মিত।
সারি সারি ফুল গাছ দিয়ে সুশোভিত জায়গাটিতে সব বয়সী মানুষেরা সারাদিন নিশ্চিন্তে সময় কাটিয়ে যেতে পারেন। এছাড়া চাইলে পিকনিক ও করতে পারেন। আছে কপি শপ ও মৎস্য কন্যার ভাস্কর্য। এখানে প্রবেশ করতে হলে প্রথমে আপনাকে হলিডে রিসোর্ট এ প্রবেশ করতে হবে। প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। তারপর হ্যাপি আইল্যান্ডে যেতে টিকেট ফি ১৫০ টাকা। টিকেট সংগ্রহ করে সেনাবাহিনীর বোটে চড়ে হ্যাপি আইল্যান্ডে। এখানে দুপুরের খাবার বা ভারি খাবারের তেমন ব্যবস্থা নেই। প্রবেশের পূর্বেই বনরুপা বাজার থেকে দুপুরের খাবার সেরে আসতে পারেন। এটি এখান থেকে দুই তিন কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। যেতে গাড়িতে প্রায় ৫ মিনিট সময় লাগবে।
কিভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি সরাসরি বাসে করে যেতে পারেন। ইউনিক, এস আলম, শ্যামলী, হানিফ ও সেইন্টমার্টিন পরিবহণের বাস রয়েছে এই রুটে। এসি নন এসি ভেদে ভাড়া ৬২০ থেকে ১৫০০ টাকা। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে যেতে হলে অক্সিজেন হতে সরাসরি অথবা লোকাল বাসে রাঙামাটি। তারপর রাঙ্গামাটি শহরে পৌঁছার পূর্বেই ভেদভেদি এলাকায় নামতে হবে। এখানে পাশেই রয়েছে রিসোর্টের গেইট।
Leave a Reply