বাপ ভাইয়ের উত্তরাধিকার সুত্রে রাজনীতিতে পোদ পোদবী পাইলে যা হয় পররাষ্টমন্ত্রীর দ্বায়িত্ত্ব পালন করা মোমেন সাহেব সেটাই। মোমেন সাহেব মাঠের রাজনীতি জীবনেও করেনি, ধারনা করি উনি উনার নির্বাচনী এলাকায় সাধারন কোন ভোটারের কথা, দুঃখ, কষ্ট, কিভাবে ভোট আদায় হয় বা কি করলে ভোট আসে সেই বিষয়েও কোন কাজ কোনদিন করেনি। উনি পড়ালেখা করেছেন, বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন, পররাষ্ট দপ্তরে কাজ করেছেন, উনার পরিবার সমৃদ্ধ পরিবার, উনার ভাই মন্ত্রী ছিলেন রাষ্ট সেই সুবাদে উনাকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের দুতের দ্বায়িত্ত্ব দিয়েছেন। ব্যস এইটুকুই উনার যোগ্যতা।
প্রশ্ন হচ্ছে পররাষ্ট মন্ত্রী মোমেন সাহেবের বক্তব্য নিয়ে….
তার আগে একটা ব্যাখ্যা দিতেই হচ্ছে, গেল কয়েকদিন আগে সম্ভবত চট্টগ্রামের বাশখালীর এক ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রকাশ্যেই বলেছিলো ইভিএমের ভোট নিয়ে, তার বক্তব্য ছিলো এমন ইভিএমে ভোট যেখানেই দাও ভোট যাবে সব নৌকায়। ধারনা করি আওয়ামীলীগ মনোনীত ঐ ইউপি প্রার্থী পারিবারিক ভাবে বনেদি, দলের রাজনীতি জীবনেও করেনি, কিভাবে ভোট আসে কিংবা ইভিএম কি বিষয়ে কোন জ্ঞান রাখেইনি। আওয়ামীলীগের দলীয় হাইকমান্ডের কাউকে ম্যানেজ করে নৌকার মনোনয়ন বাগিয়ে প্রার্থী বুঝেছিলো এভাবেই নির্বাচিত হওয়া যায়। বিএনপি জামাতিরা বলাবলি করছে ইভিএমে ভোট ডাকাতি যাকেই ভোট দিবেন সেই ভোট নৌকায় যাবে, ঐ ইউপি প্রার্থী যেহেতু রাজনীতি করে নৌকা মনোনীত হয়নি, তাই সে বিএনপি জামাতিদের কথাটাই বলে দিলো।
বাংলাদেশে গত একযুগ ধরেই একটা অভিযোগ বিএনপি জামাতিরা করেই যাচ্ছে সেটা হচ্ছে ভারত আওয়ামীলীগ কে ক্ষমতায় রেখেছে, ভারত শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখেছে।
এটার মুল ষ্টোরি অফ লাইন হচ্ছে, আপনি ধরেন আওয়ামীলীগ করেন, আওয়ামীলীগের দ্বায়িত্ত্বপ্রাপ্ত এমপি মন্ত্রী বা নেতা, এখন সারাদিন যদি আপনার উঠাবসা থাকে এন্টি আওয়ামীলীগ বিএনপি জামাতি বা অন্যান্যদের সাথে, তাহলে আপনার মগজে কিন্তু সেই কথাই স্থান পাবে যা বিএনপি জামাতিরা বলে।
বাশখালীর ঐ আওয়ামীলীগ নেতা কিংবা আমাদের পররাষ্টমন্ত্রী কিংবা আদার্স আরো যারা আওয়ামীলীগের টা খেয়ে পরে বেচে আছে, তারা তাদের আশেপাশে বিএনপি জামাতিদের এমন ভাবে রেখেছে যে, বিএনপি জামাতিদের অভিযোগ বক্তব্যই তারা কোরআনের আয়াত মনে করে বিশ্বাস বা ভরসা করে এবং সারাদিন ঐসবই চিন্তা করে। কথা বলার সুযোগ পেলে বিএনপি জামাতিদের ভাষায় সরকারের পক্ষে কথা বলে।
পররাষ্টমন্ত্রী মোমেন সাহেবের পিঠে হালকা ওয়েল্ডান দেওয়া লোকের অভাব এই দেশে নাই, স্বয়ং আওয়ামীলীগের অনেক নেতা কর্মীরাও মোমেন সাহেব নিয়ে গর্বিত বা গর্ব করেছে রেকর্ড আছে।
যদিও শুরু থেকেই এই লোক বিষয়ে আমার ভিন্নমত আছে, উনাকে পররাষ্টমন্ত্রী হিসেবে অযোগ্য মনে হয়েছে আমার কাছে। তার অন্যতম কারন ছিলো, উত্তরাধিকার সুত্রের রাজনীতিতে সুবিদাপ্রাপ্ত, দ্বিতীয়তো উনি (মোমেন) কখনোই মাঠের রাজনীতিক ছিলেন না, তৃতীয়তো জাতিসংঘে দুতের দ্বায়িত্ত্ব পালন করলেই কেউ দক্ষ কুটনৈতিক হয় না।
জনাব মোমেন তার স্বাক্ষর রেখেছে, বেসেস্ত দোজখের বক্তব্য উনার প্রটোকলের মধ্যেই ছিলো না, মন্ত্রনালয় হিসেবেও আউট অফ সিলেবাস বক্তব্য ছিলো। তার আগে মোমেন সাহেব র্যাব বিষয়ে আমেরিকা ম্যানেজে ভারতের সাহায্য নিয়ে প্রকাশ্যে বাচালের মত কথা বলেছিলো যা ভারতের পররাষ্ট মন্ত্রীকে পর্যন্ত বিব্রত করেছে। টক টেবিল বা পরিকল্পনা প্ল্যানিং টেবিলের গল্প পাবলিকলি বলে দেওয়াটা কে বলে বাচলতা অযোগ্যতা আই থিংক পররাষ্ট মন্ত্রী একজন অযোগ্য বাচাল।
বিষয় হলো আগামীতে ক্ষমতায় থাকতে কিংবা বিগত দিনে ক্ষমতায় আসতে বহিঃরাষ্ট সমর্থন ফ্যাক্টর হলেও একটা দেশে কাউকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া বা ক্ষমতায় রেখে দেওয়ার ক্ষমতা বহিঃরাষ্টের থাকে না। যদি থাকতো, তাহলে নেপালে ভারত পন্থী সরকারের বিদায় হতো না, শ্রীলঙ্কায় ভারত পন্থা থেকে হাতছাড়া হতো না।
আমাদের বাচাল পররাষ্ট মন্ত্রীকে এই বাস্তবতা বুঝেই আগামীতে কথা বলার অনুরোধ করবো। কারন বিএনপি জামাতিদের মনোভাবনার প্রকাশ বালখিল্য ভাবে নিজের মুখে বলে উনি শেখ হাসিনা বা আওয়ামীলীগ সরকারের ইমেজ বাড়ান নাই, ক্ষতি করেছেন।