১১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে : ওবায়দুল কাদের

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৩৪:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • 20

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বৈশি^ক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে ।
৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ বৃহষ্পতিবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামাত অশুভ জোটের গণতন্ত্রবিরোধী অপতৎপরতা, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতি শেখ হাসিনার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন অব্যাহত রাখার কারণেই আর্থ-সামাজিক সকল সূচকেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী নতুন বছরের উপহার হিসেবে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান মাধ্যম মেট্রোরেল সেবার শুভ উদ্বোধন করেছেন।
তিনি বলেন, সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের কল্যাণে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। স্বপ্নের পদ্মাসেতুর মতো বৃহৎ বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। একের পর এক মেগাপ্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৫ জানুয়ারি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধবিরোধী অপশক্তির হত্যা-ষড়যন্ত্র নৈরাজ্য-সহিংসতা ও অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী, শান্তিকামী ও মুক্তিকামী বাঙালি জাতির বিজয়ের দিন। বাংলাদেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয়ে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির মিছিলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিন।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় একটি স্মরণীয় দিন। এই দিনে দেশের সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত এবং জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের ধারা সমুন্নত রাখতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৫ জানুয়ারি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের কাছে গণতন্ত্রকামী মানুষের মাথানত না করার এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টির দিন। বাংলার অসম সাহসী জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকারকে সন্ত্রাস ও নাশকতা দিয়ে আটকানো যায় না পুনরায় তা প্রমাণিত হয়। জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে হরতাল-অবরোধ, বোমাবাজি, অগ্নিসন্ত্রাস কোনো কিছুতেই বিএনপি-জামাত অশুভ জোট ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নস্যাৎ করতে পারেনি। জনগণ সেই নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রদান করে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখে। জনগণ সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির পক্ষে রায় দেয়।
তিনি বলেন, স্বৈরশাসনের গর্ভে জন্ম নেওয়া বিএনপি সবসময় গণতন্ত্রকে  অবরুদ্ধ করে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে। ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও লুটপাটের মহোৎসবে মেতে ওঠেছে। জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের পাশাপাশি উগ্রবাদকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিএনপি গণতন্ত্রের অন্তির্নিহিত আদর্শ ও মূল্যবোধবিরোধী রীতিনীতিকে লালন-পালন করে আসছে। অপরাজনীতি ও দু:শাসনের কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যাখ্যান করে। নিরঙ্কুশভাবে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এমপির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন ও অগ্রগতির পাশাপাশি রাজনীতির মাঠে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নিজেদের ভঙ্গুর অবস্থানের কারণে যে কোনো উপায়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রতিহত করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তখন তাদের প্রাইম টার্গেট ছিল মানবতাবিরোধী ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামাত অশুভ জোট দেশের গণতন্ত্র, সংবিধান, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা নস্যাৎ করার জন্য তথাকথিত হরতাল-অবরোধ ও আন্দোলনের নামে সারা দেশে অগ্নিসন্ত্রাস চালায়। দেশের জনগণকে জিম্মি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। দিনের পর দিন শত শত নিরীহ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। দেশের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে গাছ কেটে রেখে জনগণের পথচলায় বাধা সৃষ্টি করে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে : ওবায়দুল কাদের

Update Time : ০৮:৩৪:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বৈশি^ক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে ।
৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ বৃহষ্পতিবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামাত অশুভ জোটের গণতন্ত্রবিরোধী অপতৎপরতা, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতি শেখ হাসিনার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন অব্যাহত রাখার কারণেই আর্থ-সামাজিক সকল সূচকেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী নতুন বছরের উপহার হিসেবে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান মাধ্যম মেট্রোরেল সেবার শুভ উদ্বোধন করেছেন।
তিনি বলেন, সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের কল্যাণে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। স্বপ্নের পদ্মাসেতুর মতো বৃহৎ বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। একের পর এক মেগাপ্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৫ জানুয়ারি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধবিরোধী অপশক্তির হত্যা-ষড়যন্ত্র নৈরাজ্য-সহিংসতা ও অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী, শান্তিকামী ও মুক্তিকামী বাঙালি জাতির বিজয়ের দিন। বাংলাদেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয়ে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির মিছিলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিন।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় একটি স্মরণীয় দিন। এই দিনে দেশের সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত এবং জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের ধারা সমুন্নত রাখতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৫ জানুয়ারি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের কাছে গণতন্ত্রকামী মানুষের মাথানত না করার এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টির দিন। বাংলার অসম সাহসী জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকারকে সন্ত্রাস ও নাশকতা দিয়ে আটকানো যায় না পুনরায় তা প্রমাণিত হয়। জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে হরতাল-অবরোধ, বোমাবাজি, অগ্নিসন্ত্রাস কোনো কিছুতেই বিএনপি-জামাত অশুভ জোট ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নস্যাৎ করতে পারেনি। জনগণ সেই নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রদান করে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখে। জনগণ সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির পক্ষে রায় দেয়।
তিনি বলেন, স্বৈরশাসনের গর্ভে জন্ম নেওয়া বিএনপি সবসময় গণতন্ত্রকে  অবরুদ্ধ করে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে। ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও লুটপাটের মহোৎসবে মেতে ওঠেছে। জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের পাশাপাশি উগ্রবাদকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিএনপি গণতন্ত্রের অন্তির্নিহিত আদর্শ ও মূল্যবোধবিরোধী রীতিনীতিকে লালন-পালন করে আসছে। অপরাজনীতি ও দু:শাসনের কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যাখ্যান করে। নিরঙ্কুশভাবে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এমপির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন ও অগ্রগতির পাশাপাশি রাজনীতির মাঠে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নিজেদের ভঙ্গুর অবস্থানের কারণে যে কোনো উপায়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রতিহত করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তখন তাদের প্রাইম টার্গেট ছিল মানবতাবিরোধী ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামাত অশুভ জোট দেশের গণতন্ত্র, সংবিধান, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা নস্যাৎ করার জন্য তথাকথিত হরতাল-অবরোধ ও আন্দোলনের নামে সারা দেশে অগ্নিসন্ত্রাস চালায়। দেশের জনগণকে জিম্মি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। দিনের পর দিন শত শত নিরীহ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। দেশের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে গাছ কেটে রেখে জনগণের পথচলায় বাধা সৃষ্টি করে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে।