০৩:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন, খালাস ৭

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৩৬:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২
  • 33

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার রায়ে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ (৪৮) ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর (৩১) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এই রায় ঘোষণা করেন। মামলার রায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন ও ৭ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

রায়ে যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত (৩০), ওসি প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা (৩০), কনস্টেবল সাগর দেব, বাহারছড়ার শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন (২২), মো. নিজাম উদ্দিন (৪৫) ও মোহাম্মদ আইয়াজ (৪৫)।

আদালত রায়ে বেকসুর খালাস দিয়েছেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. লিটন মিয়া (৩০), কনস্টেবল ছাফানুর করিম (২৫), মো. কামাল হোসাইন আজাদ (২৭), মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান আলী (৪৭), কনস্টেবল মো. রাজীব হোসেন (২৩) ও আবদুল্লাহ আল মাহমুদকে (২০)।

রায় ঘোষণার সময় এজলাসে নির্বিকার ছিলেন সাবেক ওসি প্রদীপ ও সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলী। তবে এজলাস কক্ষ থেকে বের করে প্রিজনভ্যানে উঠানোর সময় তারা দু’জনই চিৎকার করছিলেন। এছাড়া রায় ঘোষণার পর চিৎকার করছিলেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আইয়াজ।

রায় ঘোষণার পর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বলেন, ‘এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে রায় দ্রুত কার্যকর দেখতে চাই।’

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, ‘আদালত বলেছেন, এই রায়ে সন্তুষ্ট না হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমরা তাই করব।’

এর আগে সোমবার দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় পড়া শুরু করেন। এসময় প্রদীপ দাশসহ ১৫ আসামিকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।

তারও আগে কঠোর নিরাপত্তায় ১৫ আসামিকে কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে নেওয়া হয়। সকালে আসামিদের আনার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে দুপুরে করা হয়।

এই রায়কে কেন্দ্র করে আদালতের চারপাশে ছিল কঠোর নিরাপত্তা।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে গুলিতে খুন হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস।

মামলাটি তদন্ত করেন কক্সবাজার র‍্যাব-১৫-এর দুই কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মো. জামিলুল হক ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের ‌সি‌নিয়র জু‌ডি‌শিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তারা। মামলায় ৮৩ জনকে সাক্ষী করা হয়। তাদের মধ্যে ৬৫ জন ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আদালতে সাক্ষ্য দেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন, খালাস ৭

Update Time : ০৮:৩৬:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার রায়ে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ (৪৮) ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর (৩১) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এই রায় ঘোষণা করেন। মামলার রায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন ও ৭ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

রায়ে যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত (৩০), ওসি প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা (৩০), কনস্টেবল সাগর দেব, বাহারছড়ার শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন (২২), মো. নিজাম উদ্দিন (৪৫) ও মোহাম্মদ আইয়াজ (৪৫)।

আদালত রায়ে বেকসুর খালাস দিয়েছেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. লিটন মিয়া (৩০), কনস্টেবল ছাফানুর করিম (২৫), মো. কামাল হোসাইন আজাদ (২৭), মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান আলী (৪৭), কনস্টেবল মো. রাজীব হোসেন (২৩) ও আবদুল্লাহ আল মাহমুদকে (২০)।

রায় ঘোষণার সময় এজলাসে নির্বিকার ছিলেন সাবেক ওসি প্রদীপ ও সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলী। তবে এজলাস কক্ষ থেকে বের করে প্রিজনভ্যানে উঠানোর সময় তারা দু’জনই চিৎকার করছিলেন। এছাড়া রায় ঘোষণার পর চিৎকার করছিলেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আইয়াজ।

রায় ঘোষণার পর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বলেন, ‘এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে রায় দ্রুত কার্যকর দেখতে চাই।’

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, ‘আদালত বলেছেন, এই রায়ে সন্তুষ্ট না হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমরা তাই করব।’

এর আগে সোমবার দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় পড়া শুরু করেন। এসময় প্রদীপ দাশসহ ১৫ আসামিকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।

তারও আগে কঠোর নিরাপত্তায় ১৫ আসামিকে কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে নেওয়া হয়। সকালে আসামিদের আনার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে দুপুরে করা হয়।

এই রায়কে কেন্দ্র করে আদালতের চারপাশে ছিল কঠোর নিরাপত্তা।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে গুলিতে খুন হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস।

মামলাটি তদন্ত করেন কক্সবাজার র‍্যাব-১৫-এর দুই কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মো. জামিলুল হক ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের ‌সি‌নিয়র জু‌ডি‌শিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তারা। মামলায় ৮৩ জনকে সাক্ষী করা হয়। তাদের মধ্যে ৬৫ জন ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আদালতে সাক্ষ্য দেন।