নওগাঁর মহাদেবপুরে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার পর অভিযুক্তকে চড়-থাপ্পড় ও নাকে খত দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে গ্রামবাসী। গ্রামবাসী নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবারকে সালিশে এ বিষয়ে আপোষ করতে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের মর্ত্তুজাপুর গ্রামে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মর্ত্তুজাপুর গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে সামশুল আলম (৩৮) একই গ্রামের প্রতিবন্ধী শিশুকে (১১) একা পেয়ে বাড়ির পাশের গোয়াল ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। শিশুটির চিৎকারে তার মা ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সামশুল আলম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় গ্রামবাসীরা তাকে আটক করে স্থানীয় আনছারভিডিপি ক্লাবে নিয়ে যায়। পরে এলাকার বিভিন্ন মানুষের উপস্থিতিতে বিষয়টি আপোষ মিমাংসার চেষ্টা চালায় ওই ক্লাবের সভাপতি লতিফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, গ্রাম্য মাতব্বর মৃত তমছের মন্ডলের ছেলে রেজাউল ইসলাম (রব), আব্দুল মজিদের ছেলে মুরাদ, আব্দুর রশিদের ছেলে শাহিন, আইয়ুব আলীর ছেলে ময়নুল, আদরসহ কতিপয় মাতব্বরা।
এলাকাবাসীরা জানান, শিশুটির মা-বাবাকে সেখান থেকে বের করে দিয়ে সালিশের কাজ শুরু করেন তারা। পরে সালিশের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য করা হয় শিশুটির পরিবারকে।
এ বিষয়ে খাজুর ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দীন বলেন, এ রকম একটি ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন। ধর্ষণ বা ধর্ষণ চেষ্টা স্থানীয়ভাবে আপোষযোগ্য অপরাধ নয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা না করে থানা পুলিশের সহযোগিতায় হওয়া উচিত বলে জানান তিনি। যদি গ্রাম্য মাতবরেরা এ রকম অপরাধের আপোষ করে থাকেন, তবে তারাও ওই অপরাধে আসামি হবেন।
মহাদেবপুর থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, মৌখিকভাবে এ রকম একটি ঘটনার কথা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply