০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাখির বিপর্যয় বিপর্যয়ের পাখি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 20

বাংলাদেশে ভাইরাল ট্রেন্ড ইদানিং কালের জনপ্রিয় হওয়ার খুব সস্তা উপায়। ভাইরাল হওয়ার জন্য একেকজন একেক ট্রেন্ড ইউজ করে, যেমন ধরেন কেউ একজন সামনে ক্যামেরা চালু করে থালা ভর্তি ভাত তরকারী নিয়ে গাপুস গুপুস করে খেয়ে ভাইরাল হচ্ছে, কেউ কাপড় খুলে নেংটা হয়ে ভাইরাল হচ্ছে।
সিনেমার হাওয়া বা বাতাস কেমন চলছে বা কেমন চলা উচিত এটা আমি ভাবছি না। ভাবছি অন্য কথা….
নীলক্ষেতে খাচায় পশু পাখি বিক্রি কি বন্ধ হয়ে গেছে?
হালের মোটামুটি স্থিতিশীল মধ্যবিত্ত থেকে অভিজাত উচ্চবিত্তদের বাসায় খাচায় ভর্তি পশু বা পাখি লালন পালন বন্ধ হয়ে গেছে?
চিড়িয়াখানা গুলো কি বন্ধ হয়ে গেছে?
আমার জন্ম গ্রামে, প্রাকৃতিক পরিবেশ কি জিনিস এটা আমি দেখেছি, কারন অনেক একটা বড় এলাকা নিয়ে নিয়েই ছিলো আমাদের বাড়ি, এক পাশে উন্মুক্ত জংগল, আরেক পাশে বাশঝাড়, এক পাশে খোলা বর্ষা জমি যতদুর চোখ যায় খালি, আরেক পাশে পুকুর। আমাদের ছোটবেলার সন্ধ্যাকাল বাশঝাড়ে পাখির কিচির মিচির আওয়াজ, শুধু শালিক নয়, বক, ঘুঘু, আরো কত নাম না জানা পাখি, সময়ের চাহিদায় আজকে বড় পরিবার ভেংগে ছোট হয়েছে, জমাজমি ভাগ ভাটোয়ারা হয়েছে, যদিও আমি পরিবেশবিদ নই, আমার গ্রামের বাড়িতে খবর নিলেই জানতে পারবেন যে আমার পরিবার আমি আমার মা, বাপ এখনো প্রাকৃতিক ধারাতেই আছি, জমা জমিতে জংগল বাশঝাড় আছে, সন্ধ্যা হলে পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ এখনো ইচ্ছা করলে শুনতে পাই, যদিও চাচারা তাদের জমা জমি খালি রাখেনি, বাড়ি করেছে, ভাড়াটিয়া এনেছে, পরিবেশ জগন্য করে তুলেছে। পাখি রা বাশঝাড়ে বসবাস করে তবে পাখিরা মানুষের হৈ চৈ ভয় পায় বলে বছরের একটা সময় পাখিরা থাকে না। কাঠবিড়ালী, চড়ুই এইসব আছে।
যাইহোক উপরের নিজের ঢোল নিজে পিটানোর কারন হচ্ছে সাম্প্রতিক কালের হাওয়া নামের একটি সিনেমায় একটি শালিক পাখি নিয়ে একাত্তর টিভির সাংবাদিক ছিল তার নামটা ভুলে গেছি তার ভাইরাল হওয়ার ট্রেন্ড পলিসি নিয়ে।
হাওয়া সিনেমায় পাখির ব্যবহার নিয়ে ঐ ভদ্রলোকের একটা ষ্ট্যাটাসের ভাষা দেখে নিজেকেই একটা প্রশ্ন করলাম, আলোচনায় আশার জন্য মানুষ এমন নিন্ম মানের বাহেনচোদ হয় কেমনে?
যেখানে এই মৌখিক প্রাকৃতিক প্রেমি বাহেনচোদ সাংবাদিক পার্বত্য অঞ্চলে নিজেই পাখি শিকার করে কাবাব বানিয়ে খেয়েছিলো, যেখানে এই বাহেনচোদ সাংবাদিক হাওরে রিপোর্টিং করতে গিয়ে অতিথি পাখি খেয়েছিলো লোকমুখে শোনা কথা। সেই লোক হাওয়া সিনেমায় একটা শালিক পাখির ব্যবহার নিয়ে যা হৈ চৈ করে দেখালো, তা সত্যিই হাইস্যকর ও নিন্মমানের কাজ হলো।
আমি জানি না ঐ বাহেনচোদ ভদ্রলোক আমার ষ্ট্যাটাস পড়বে কি না, যদি পড়ে তাহলে তার কাছে আমার প্রশ্ন, গেল সপ্তাহে সাইট প্রজেক্টে গুদাম ঘড়ে আমার শরীর থেকে ৮-১০ ইঞ্চি দুরত্ত্বে একটি গোখড়া সাপ অবস্থান করতেছিলো, আমি না থাকলে হয়তো আমার কর্মচারীরা বিষাক্ত এই সাপটিকে মেরে ফেলতো, আমি বললাম সাপ মারবি না, আস্তে করে বের করে দে। শালিক পাখি প্রেমিক এই লোক আমার জায়গায় হলে কি করতো?
দেখুন ফাইজলামীর সীমা থাকা উচিত। আরো সীমা থাকা উচিত আপনি কি নিয়ে ফাইজলামী করছেন সেই বিষয়ে জ্ঞান নিয়ে।
ডিসকোভারী না ন্যশনাল জিওগ্রাফিক দেখুন, কেউ একজন সাপ ধরে প্রাকৃতিতে ছেড়ে দিচ্ছে, একই চ্যানেলে কেউ একজন জীবন বাচাতে সাপ রান্না করে খাচ্ছে। অর্থ্যাৎ প্রানী রক্ষা ও প্রানী হত্যা দুইটাই হচ্ছে, তবে তা নিছক বিনোদন যে তা নয়, শিক্ষনীয় আছে অনেক কিছু।
হাওয়া সিনেমায় শালিক পাখির ব্যবহার ও রান্না করে খাওয়া বাস্তবে যদি শ্যুটিং এ পাখি জবাই ও রান্নার দৃশ্য থেকে না থাকে তাহলে বলার সুযোগ নাই এটাই শালিক পাখির গোস্ত ছিলো। অপরিদকে যদি পাখি জবাই ও পুড়ানোর দৃশ্য থেকে থাকে তাহলেও এটা অন্যায় নয় যে একদল বিপদগ্রস্ত নাবিক বা জেলে জীবন বাচাতে এইটুকু করতে পারে। অনেকে তো জীবন বাচাতে নিজের মুত্র খায়, তাহলে তো সেটাও অপরাদ তাই নয় কি?
শেষ কথা হচ্ছে, একাত্তর টিভিতে এখন উনি আছেন কি না জানি না, তবে আশা করবো উনি উনার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিজে একজন মানুষ সেটার প্রমান দিবেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

পাখির বিপর্যয় বিপর্যয়ের পাখি

Update Time : ০২:৫৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

বাংলাদেশে ভাইরাল ট্রেন্ড ইদানিং কালের জনপ্রিয় হওয়ার খুব সস্তা উপায়। ভাইরাল হওয়ার জন্য একেকজন একেক ট্রেন্ড ইউজ করে, যেমন ধরেন কেউ একজন সামনে ক্যামেরা চালু করে থালা ভর্তি ভাত তরকারী নিয়ে গাপুস গুপুস করে খেয়ে ভাইরাল হচ্ছে, কেউ কাপড় খুলে নেংটা হয়ে ভাইরাল হচ্ছে।
সিনেমার হাওয়া বা বাতাস কেমন চলছে বা কেমন চলা উচিত এটা আমি ভাবছি না। ভাবছি অন্য কথা….
নীলক্ষেতে খাচায় পশু পাখি বিক্রি কি বন্ধ হয়ে গেছে?
হালের মোটামুটি স্থিতিশীল মধ্যবিত্ত থেকে অভিজাত উচ্চবিত্তদের বাসায় খাচায় ভর্তি পশু বা পাখি লালন পালন বন্ধ হয়ে গেছে?
চিড়িয়াখানা গুলো কি বন্ধ হয়ে গেছে?
আমার জন্ম গ্রামে, প্রাকৃতিক পরিবেশ কি জিনিস এটা আমি দেখেছি, কারন অনেক একটা বড় এলাকা নিয়ে নিয়েই ছিলো আমাদের বাড়ি, এক পাশে উন্মুক্ত জংগল, আরেক পাশে বাশঝাড়, এক পাশে খোলা বর্ষা জমি যতদুর চোখ যায় খালি, আরেক পাশে পুকুর। আমাদের ছোটবেলার সন্ধ্যাকাল বাশঝাড়ে পাখির কিচির মিচির আওয়াজ, শুধু শালিক নয়, বক, ঘুঘু, আরো কত নাম না জানা পাখি, সময়ের চাহিদায় আজকে বড় পরিবার ভেংগে ছোট হয়েছে, জমাজমি ভাগ ভাটোয়ারা হয়েছে, যদিও আমি পরিবেশবিদ নই, আমার গ্রামের বাড়িতে খবর নিলেই জানতে পারবেন যে আমার পরিবার আমি আমার মা, বাপ এখনো প্রাকৃতিক ধারাতেই আছি, জমা জমিতে জংগল বাশঝাড় আছে, সন্ধ্যা হলে পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ এখনো ইচ্ছা করলে শুনতে পাই, যদিও চাচারা তাদের জমা জমি খালি রাখেনি, বাড়ি করেছে, ভাড়াটিয়া এনেছে, পরিবেশ জগন্য করে তুলেছে। পাখি রা বাশঝাড়ে বসবাস করে তবে পাখিরা মানুষের হৈ চৈ ভয় পায় বলে বছরের একটা সময় পাখিরা থাকে না। কাঠবিড়ালী, চড়ুই এইসব আছে।
যাইহোক উপরের নিজের ঢোল নিজে পিটানোর কারন হচ্ছে সাম্প্রতিক কালের হাওয়া নামের একটি সিনেমায় একটি শালিক পাখি নিয়ে একাত্তর টিভির সাংবাদিক ছিল তার নামটা ভুলে গেছি তার ভাইরাল হওয়ার ট্রেন্ড পলিসি নিয়ে।
হাওয়া সিনেমায় পাখির ব্যবহার নিয়ে ঐ ভদ্রলোকের একটা ষ্ট্যাটাসের ভাষা দেখে নিজেকেই একটা প্রশ্ন করলাম, আলোচনায় আশার জন্য মানুষ এমন নিন্ম মানের বাহেনচোদ হয় কেমনে?
যেখানে এই মৌখিক প্রাকৃতিক প্রেমি বাহেনচোদ সাংবাদিক পার্বত্য অঞ্চলে নিজেই পাখি শিকার করে কাবাব বানিয়ে খেয়েছিলো, যেখানে এই বাহেনচোদ সাংবাদিক হাওরে রিপোর্টিং করতে গিয়ে অতিথি পাখি খেয়েছিলো লোকমুখে শোনা কথা। সেই লোক হাওয়া সিনেমায় একটা শালিক পাখির ব্যবহার নিয়ে যা হৈ চৈ করে দেখালো, তা সত্যিই হাইস্যকর ও নিন্মমানের কাজ হলো।
আমি জানি না ঐ বাহেনচোদ ভদ্রলোক আমার ষ্ট্যাটাস পড়বে কি না, যদি পড়ে তাহলে তার কাছে আমার প্রশ্ন, গেল সপ্তাহে সাইট প্রজেক্টে গুদাম ঘড়ে আমার শরীর থেকে ৮-১০ ইঞ্চি দুরত্ত্বে একটি গোখড়া সাপ অবস্থান করতেছিলো, আমি না থাকলে হয়তো আমার কর্মচারীরা বিষাক্ত এই সাপটিকে মেরে ফেলতো, আমি বললাম সাপ মারবি না, আস্তে করে বের করে দে। শালিক পাখি প্রেমিক এই লোক আমার জায়গায় হলে কি করতো?
দেখুন ফাইজলামীর সীমা থাকা উচিত। আরো সীমা থাকা উচিত আপনি কি নিয়ে ফাইজলামী করছেন সেই বিষয়ে জ্ঞান নিয়ে।
ডিসকোভারী না ন্যশনাল জিওগ্রাফিক দেখুন, কেউ একজন সাপ ধরে প্রাকৃতিতে ছেড়ে দিচ্ছে, একই চ্যানেলে কেউ একজন জীবন বাচাতে সাপ রান্না করে খাচ্ছে। অর্থ্যাৎ প্রানী রক্ষা ও প্রানী হত্যা দুইটাই হচ্ছে, তবে তা নিছক বিনোদন যে তা নয়, শিক্ষনীয় আছে অনেক কিছু।
হাওয়া সিনেমায় শালিক পাখির ব্যবহার ও রান্না করে খাওয়া বাস্তবে যদি শ্যুটিং এ পাখি জবাই ও রান্নার দৃশ্য থেকে না থাকে তাহলে বলার সুযোগ নাই এটাই শালিক পাখির গোস্ত ছিলো। অপরিদকে যদি পাখি জবাই ও পুড়ানোর দৃশ্য থেকে থাকে তাহলেও এটা অন্যায় নয় যে একদল বিপদগ্রস্ত নাবিক বা জেলে জীবন বাচাতে এইটুকু করতে পারে। অনেকে তো জীবন বাচাতে নিজের মুত্র খায়, তাহলে তো সেটাও অপরাদ তাই নয় কি?
শেষ কথা হচ্ছে, একাত্তর টিভিতে এখন উনি আছেন কি না জানি না, তবে আশা করবো উনি উনার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিজে একজন মানুষ সেটার প্রমান দিবেন।