1. [email protected] : নিজস্ব প্রতিবেদক :
  2. [email protected] : rahad :
পদ্মা সেতু নিয়ে করা আর্টিকেল গুলোর মধ্যে হা হা হা রিএক্ট দেওয়া ব্যাক্তি গুলো কারা.... | JoyBD24
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন

পদ্মা সেতু নিয়ে করা আর্টিকেল গুলোর মধ্যে হা হা হা রিএক্ট দেওয়া ব্যাক্তি গুলো কারা….

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২
কেউ একজন কে প্রশ্ন তুলতে দেখলাম পদ্মা সেতু নিয়ে করা আর্টিকেল গুলোর মধ্যে হা হা হা রিএক্ট দেওয়া ব্যাক্তি গুলো কারা….
দেখুন…
দাড়ি টুপিওয়ালারা যখন ছবি তুলে মানবতা দেখানো হিড়িক তুলবে তখন বুঝে নিবেন বিষয়টাতে ঘাপলা আছে। শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বব্যাপী ডানপন্থী রাজনীতির শেষ অস্ত্র হইলো যেখানে ধর্ম আছে সেখানে ধর্মের ব্যবহার, যেখানে জাত আছে সেখানে উচু নিচু জাতের ব্যবহার, যেখানে শরীরে চামড়া সাদা কালো আছে সেখানে বর্নবাদের ব্যবহার।
রোহিংগাদের আগমন কে স্বাগত জানিয়ে বর্ডারে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাতিত স্মরনকালে আপনি এমন একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মানুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ খুজে পাবেন না যেখানে ধর্ম ব্যবসায়ী মৌলবাদী জংগী উগ্রবাদী বিএনপি জামাতিরা এক যোগে মানবিক হয়ে মানবিক আচরন দেখিয়েছে।
সিলেটের বন্যায় প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ধর্ম ব্যবসায়ী মানবিকতা দেখাচ্ছে অনলাইনে অফলাইনে অপরদিকে এইসব ধর্ম ব্যবসায়ীদের একটাও খুজে পাবেন না দেশে অন্য প্লাবিত অঞ্চল বিশেষ করে কুড়িগ্রাম বা অন্য অঞ্চলের জন্য চিন্তিত। প্রশ্ন হচ্ছে কারন কি?
মিডিয়া ফোকাস কাভারেজ সিলেটের বন্যা যা পেয়েছে অন্য প্লাবিত এলাকা গুলো তা পায়নি বলে পদ্মা সেতু উদ্বোধন সামনে রেখে বিএনপি জামাতি মৌলবাদী ধর্ম ব্যবসায়ী জংগী উগ্রবাদীরা আগে থেকেই পদ্মা সেতু বিরোধীরা এক যোগে পরিশ্রম করেছে ধর্মের লেবাস দিয়ে তাদের ফ্যান ফলোয়ার্সদের মগজে পুশ করতে যে সরকার না খেয়ে থাকা সিলেট অঞ্চল ইগ্নোর করে পদ্মা সেতু উৎসবে মগ্ন। ব্যস এইটুকুই।
এখন কথা হচ্ছে এতে করে পদ্মা সেতু উৎসবের কি বাল্ডা ছেড়া গেছে?
বাস্তবতা বুঝতে হবে সরকারী উন্নয়ন ও দুর্গত এলাকায় সাহায্য ইহা কন্টিনিউ প্রসেস। তবে নেতৃত্ত্ব স্বদিচ্ছার কারনে উন্নয়ন ও সাহায্য দুইটাই কম বেশি হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে সিলেটে গেছেন, নিশ্চই ধর্ম ব্যবসায়ী মৌলবাদী জংগী বিএনপি জামাতিদের মত ফটো সেশন করতে যাননি। উনার যাওয়া মানেই ব্যাতিক্রম কিছু। দুর্গত এলাকার ইনষ্ট্যান্ড সাহায্য, উদ্ধার কাজের গুরত্ত্ব, পানি নেমে যাওয়ার পরে ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনে সাহায্য পরিকল্পনা, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ঘাট ব্রীজ কালভার্ট সংষ্কার পুনঃনির্মান ইত্যাদি সকল বিষয় জড়িত।
অপরিদকে বিএনপি জামাতি ধর্ম ব্যবসায়ী মৌলবাদী জংগী সহ সকল রাজাকারের সিলেট যাওয়া মানে একটা দুইটা কলা এক বেলা খিচুরি এক বোতল পানি এক দুই কেজি চাউল এইটুকুই।
প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে বানভাসী মানুষের প্রকৃত দুঃখ লাঘব হবে কাকে দিয়ে? একটা কলা এক বোতল পানি একবেলার খিচুড়ি এক দুই কেজি চাউল দিয়ে নাকি সরকারের স্বল্প মেয়াদী দীর্ঘমেয়াদী সাহায্য সহযোগিতায়?
তাছাড়া পদ্মা নদী নিজেই যেখানে একটি আস্ত দুর্যোগ, শীতকালে কুয়াশার দুর্যোগ, বর্ষা কালে তীব্র স্রোতের দুর্যোগ ২১ জেলায় জন্ম নেওয়া প্রতিটা মানুষের জন্য অমিমাংশিত দুর্যোগ তার জন্য পদ্মা নদীর উপরে নির্মান সেতু কি সিলেটের বন্যার চেয়ে কম গুরত্ত্বপুর্ন ছিলো?
উল্লেখ্য যে নদী পারাপার করতে গিয়ে নৌকা লঞ্চ স্পীডবোড ডুবিতে সারা বছর পদ্মা সেতুতে যত প্রানহানী হয় পুরো সিলেটের বন্যায় এখন পর্যন্ত এর অর্ধেক মানুষ কিন্তু প্রান হারায়নি।
কাজেই সিলেটের বন্যা সিলেটের পদ্মার গুরত্ত্ব ২১ জেলার।
ধর্ম ব্যবসায়ী মৌলবাদী জংগী বিএনপি জামাতিরা তাই হা হা হা রিএক্ট দিয়ে তাদের জাত চেনাচ্ছে। আর কিছু না।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2012 joybd24
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Joybd24