০৩:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নয় মা‌সে চলন্ত ট্রে‌নে পাথর নি‌ক্ষে‌পে আহত ২৯ জন।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১
  • 68

২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলন্ত ট্রেনে ১১০টি পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রেনের জানালার গ্লাস ভেঙেছে ১০৩টি এবং আহত হয়েছেন ২৯ জন রেলযাত্রী ও কর্মী।

রোববার (৩ অক্টোবর) রেলভবনের যমুনা সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এসব তথ্য জানান। চলন্ত ট্রেনে ঢিল বা পাথর নিক্ষেপ রোধে রেলওয়ের নেওয়া ব্যবস্থা ও মিডিয়ার ভূমিকার ওপর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ একটি ভয়াবহ সমস্যা। বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ডের মতো উন্নত দেশগুলোতেও এই সমস্যা রয়েছে। সেখানে ট্রেনের জানালায় নিক্ষেপ করা বড় পাথর দ্বারা যাত্রী এবং ট্রেনের কর্মীরা আহত হয়েছেন। এ বিষয়টি বলার কারণ—উন্নত বিশ্বেও এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকে। চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বর্তমানে বাংলাদেশের ভয়াবহ সমস্যা।

তিনি বলেন, ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল উপমহাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকে কোনো না কোনো স্থানে শিশু ও দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশেও এর ব্যাতিক্রম নয়। স্বাধীনতা উত্তরকালে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে এবং ক্রমেই তা ভয়াবহ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের হার বেড়েছে এবং এতে ট্রেনের গার্ড, কর্মচারীসহ যাত্রীরা আহত হয়েছেন। এতে কেউ চোখ হারিয়েছেন, এমনকি মৃত্যুবরণের ঘটনাও ঘটেছে।

সমস্যা সমাধানে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পাথর নিক্ষেপপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। পূর্বাঞ্চলের চারটি জেলার পাঁচটি চিহ্নিত এলাকা হলো: চট্টগ্রামের পাহাড়তলী, সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড, ফেনীর ফাজিলপুর-কালীদহ এবং নরসিংদী জেলার নরসিংদী, জিনারদী ও ঘোড়াশাল এলাকা।

অন্যদিকে পশ্চিমাঞ্চলের ১০টি জেলার ১৫টি এলাকা হলো: চুয়াডাঙ্গার চুয়াডাঙ্গা আউটার, নাটোরের আব্দুলপুর রেলওয়ে স্টেশন, সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী রেলওয়ে স্টেশন, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশন, পাবনার মুলাডুলি রেলওয়ে স্টেশন, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার কিসমত-রুহিয়া, পাবনার ভাঙ্গুরা রেলওয়ে স্টেশন, বগুড়ার ভেলুরপাড়া রেলওয়ে স্টেশন, গাইবান্ধার বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর রেলওয়ে স্টেশন, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন, সলপ রেলওয়ে স্টেশন, জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন, পাবনার বড়ালব্রিজ রেলওয়ে স্টেশন এবং খুলনার ফুলতালা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রেল সচিব সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার প্রমুখ।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতে ৩শ’ রুপির গয়না ৬ কোটিতে বিক্রি করে মার্কিন নারীর সঙ্গে প্রতারণা।

নয় মা‌সে চলন্ত ট্রে‌নে পাথর নি‌ক্ষে‌পে আহত ২৯ জন।

Update Time : ০৭:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১

২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলন্ত ট্রেনে ১১০টি পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রেনের জানালার গ্লাস ভেঙেছে ১০৩টি এবং আহত হয়েছেন ২৯ জন রেলযাত্রী ও কর্মী।

রোববার (৩ অক্টোবর) রেলভবনের যমুনা সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এসব তথ্য জানান। চলন্ত ট্রেনে ঢিল বা পাথর নিক্ষেপ রোধে রেলওয়ের নেওয়া ব্যবস্থা ও মিডিয়ার ভূমিকার ওপর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ একটি ভয়াবহ সমস্যা। বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ডের মতো উন্নত দেশগুলোতেও এই সমস্যা রয়েছে। সেখানে ট্রেনের জানালায় নিক্ষেপ করা বড় পাথর দ্বারা যাত্রী এবং ট্রেনের কর্মীরা আহত হয়েছেন। এ বিষয়টি বলার কারণ—উন্নত বিশ্বেও এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকে। চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বর্তমানে বাংলাদেশের ভয়াবহ সমস্যা।

তিনি বলেন, ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল উপমহাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকে কোনো না কোনো স্থানে শিশু ও দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশেও এর ব্যাতিক্রম নয়। স্বাধীনতা উত্তরকালে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে এবং ক্রমেই তা ভয়াবহ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের হার বেড়েছে এবং এতে ট্রেনের গার্ড, কর্মচারীসহ যাত্রীরা আহত হয়েছেন। এতে কেউ চোখ হারিয়েছেন, এমনকি মৃত্যুবরণের ঘটনাও ঘটেছে।

সমস্যা সমাধানে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পাথর নিক্ষেপপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। পূর্বাঞ্চলের চারটি জেলার পাঁচটি চিহ্নিত এলাকা হলো: চট্টগ্রামের পাহাড়তলী, সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড, ফেনীর ফাজিলপুর-কালীদহ এবং নরসিংদী জেলার নরসিংদী, জিনারদী ও ঘোড়াশাল এলাকা।

অন্যদিকে পশ্চিমাঞ্চলের ১০টি জেলার ১৫টি এলাকা হলো: চুয়াডাঙ্গার চুয়াডাঙ্গা আউটার, নাটোরের আব্দুলপুর রেলওয়ে স্টেশন, সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী রেলওয়ে স্টেশন, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশন, পাবনার মুলাডুলি রেলওয়ে স্টেশন, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার কিসমত-রুহিয়া, পাবনার ভাঙ্গুরা রেলওয়ে স্টেশন, বগুড়ার ভেলুরপাড়া রেলওয়ে স্টেশন, গাইবান্ধার বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর রেলওয়ে স্টেশন, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন, সলপ রেলওয়ে স্টেশন, জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন, পাবনার বড়ালব্রিজ রেলওয়ে স্টেশন এবং খুলনার ফুলতালা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রেল সচিব সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার প্রমুখ।