গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে আবেদন করেছেন এক আইনজীবী।
আজ (রোববার) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি মো. জিশান মাহমুদ জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে মামলার অনুমতি চেয়ে এ আবেদন করেন।
জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবকে দেওয়া আবেদনে বলা হয়েছে, গত ৩ই জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
জানতে পারি, বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ নামে তথাকথিত রাজনৈতিক
দলের সদস্য ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ওমরাহ হজ করার কথা বলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গিয়ে
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকার উৎখাতের
দেশবিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।
আবেদনে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে ওই সংবাদকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা
প্রোপাগান্ডা বলে নুরুল হক নুর তা বারবার উড়িয়ে নিলেও গত ২২শে জুন ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসে রোহিঙ্গাদের জন্য
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) খাদ্যসহায়তা বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান সাংবাদিকদের
অবহিত করেন, ‘গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোসাদের সঙ্গে বৈঠক বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
যারা মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করেন, তারা নেতা হতে পারেন না।’
‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হলে বিগত ৮ই জুলাই সময় টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেন্দি এন সাফাদি স্বীকার করেন যে, ২০২২ সালের ২৮শে ডিসেম্বর
দুবাইয়ের সিটি সেন্টারে অবস্থিত স্টার বাকস কফি শপে ৩ ঘণ্টার বৈঠক করে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন জিততে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য মেন্দি এন সাফাদির সাহায্য চান নুর।’
‘নুর ক্ষমতায় এলে ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতিশ্র“তিও দেন।
ইহুদিদের সমর্থন পেতে নুরুল হক নুর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী মানুষকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন;
যা বাংলাদেশের জনগণের প্রতি অপমানজনক, অগ্রহণযোগ্য।’
সরকার উৎখাতে নুর সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন দাবি করে আবেদনে বলা হয়েছে,
‘যা রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের উপর হুমকি বিধায় নুরুল হক নুর ওরফে ভিপি নুর দণ্ডবিধির ১২৩ক/১২৪ক/৫০৫ ধারার আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন;
যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।’
Leave a Reply