কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচনে টানা দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ৩৪৩ ভোটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের কাছে হেরে গেছেন। এই ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন মনিরুল হক সাক্কু।
নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে সাংবাদিকদের কাছে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় সাক্কু বলেন, আমার বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। দুই ঘণ্টা ফলাফল আটকে রাখা হলো। এটা গায়ের জোরে আটকে রাখা হলো। এখন আমি আইনি প্রক্রিয়ায় যাব।
তিনি অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে শেষ মুহূর্তে কয়েকটি কেন্দ্রের ফল আটকে রেখে আমাকে হারিয়ে দেয়া হয়েছে।
সাক্কু বলেন, ফলাফল টোটালি প্রত্যাখান করছি, আইনি প্রক্রিয়ায় যাবো। ৮টার পর থেকে মোটামুটি ২ ঘণ্টা কালক্ষেপণ করা হয়েছে। এই সিচুয়েশনে কী ইলেকশন হয়? স্বচ্ছতা থাকলে নির্বাচন কমিশন একবারেই ফলাফল ঘোষণা করতেন।
তিনি আরো বলেন, আমার হিসেবে তো ৯৮০ ভোটে এগিয়ে ছিলাম, এখন ওনারা বলছেন যে ৩০০ সামথিং ভোটে পিছিয়ে আছি। এটা তো ওনারা আগেই ঘোষণা করতে পারতেন। এতটা কালক্ষেপণের মানে কী?
তিনি বলেন,আমার কাছে ফলাফলের কাগজ আছে। এটা অন্যায়। এর মাধ্যমে প্রমাণ হলো নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা দেখাতে পারেনি।
বুধবার রাতে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে রিফাত পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি প্রতীক) পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।
বুধবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টায়। উৎসবমুখর পরিবেশেই স্থানীয় সরকারের এই ধাপের নির্বাচন হয়েছে। দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে কেন্দ্রভিত্তিক ফল ঘোষণা শুরু হয়। এই নির্বাচনে মোট কেন্দ্র সংখ্যা ১০৫টি, ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন।