১১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারসহ ১৯ দফা ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:২০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩
  • 21

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ২০২৩ সালের শিক্ষা সিলেবাসে আগামী প্রজন্মকে নাস্তিক বানাবার সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। আমরা নাস্তিক বানানোর শিক্ষা সিলেবাস প্রত্যাখ্যান করছি। শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। বাংলাদেশে ইসলামের নীতি আদর্শ ছাড়া শান্তির কোনো বিকল্প নেই। সকল রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।

আজ সোমবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনীতি গুণগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত জাতীয় সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। জাতীয় সম্মেলনে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে ১৯ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এ ঘোষণা পেশ করেন। সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিসহ ১৫ দফা দাবি পেশ করেন। তিনি দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিও ঘোষণা করেন।
জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির র্শীষ নেতৃবৃন্দসহ দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ ভুলু, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম এম আলম, জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ, ইসলামী আন্দোলনের উপদেষ্টা মুফতি মিজানুর রহমান, এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ এফ এম সোলাইমান চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা আব্দুল আউয়াল পীর সাহেব খুলনা, মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। এছাড়া দেশের অর্থনৈতিক দুরাবস্থা, নির্বাচন নিয়ে অস্থিরতা, জোট-মহাজোট ভাঙ্গা-গড়ার নিত্য ঘটনা নিয়েও নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। জাতীয় সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়েছেন। সম্মেলন থেকে দলের আমীর আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে করণীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। নির্বাচনী লক্ষ্যমাত্রা বেধে দেন। সম্মেলনে অভ্যর্থনা, নিরাপত্তাসহ সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা নেয়া হয়।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারসহ ১৯ দফা ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের

Update Time : ১০:২০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ২০২৩ সালের শিক্ষা সিলেবাসে আগামী প্রজন্মকে নাস্তিক বানাবার সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। আমরা নাস্তিক বানানোর শিক্ষা সিলেবাস প্রত্যাখ্যান করছি। শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। বাংলাদেশে ইসলামের নীতি আদর্শ ছাড়া শান্তির কোনো বিকল্প নেই। সকল রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।

আজ সোমবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনীতি গুণগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত জাতীয় সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। জাতীয় সম্মেলনে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে ১৯ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এ ঘোষণা পেশ করেন। সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিসহ ১৫ দফা দাবি পেশ করেন। তিনি দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিও ঘোষণা করেন।
জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির র্শীষ নেতৃবৃন্দসহ দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ ভুলু, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম এম আলম, জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ, ইসলামী আন্দোলনের উপদেষ্টা মুফতি মিজানুর রহমান, এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ এফ এম সোলাইমান চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা আব্দুল আউয়াল পীর সাহেব খুলনা, মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। এছাড়া দেশের অর্থনৈতিক দুরাবস্থা, নির্বাচন নিয়ে অস্থিরতা, জোট-মহাজোট ভাঙ্গা-গড়ার নিত্য ঘটনা নিয়েও নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। জাতীয় সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়েছেন। সম্মেলন থেকে দলের আমীর আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে করণীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। নির্বাচনী লক্ষ্যমাত্রা বেধে দেন। সম্মেলনে অভ্যর্থনা, নিরাপত্তাসহ সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা নেয়া হয়।