০৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিখোঁজের দু’বছর পর তরুণের বস্তাবন্দী দেহাবশেষ উদ্ধার

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:২৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 18

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে নিখোঁজের দুই বছর পর রানা শরিফ (২৫) নামে এক তরুণের বস্তাবন্দী দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মোল্লাহাট উপজেলার শাসন গ্রামের একটি বাঁশ বাগানের মাটির নিচ থেকে ওই তরুণের বস্তাবন্দী দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় আগেই পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শাসন গ্রামের মো. হোসাইন চৌধুরী (৩৯), মো. নাদিম চৌধুরী (৩২), মো. শহিদুল চৌধুরী (৩২), জুয়েল মোল্লা (৩৪) ও রুহুল আমিন (২৭)। আটকৃতরা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৌমেন দাস।

নিহত রানা শরিফ উপজেলার শাসন গ্রামের শরিফ আহম্মেদের ছেলে। তিনি কখনও ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন, আবার কখনও ব্যাটারিচালিত অটো চালাতেন। পাওনা টাকা এবং মাদক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত কয়েকজনের বিরোধ ছিল বলে জানা গেছে।

মোল্লাহাট থানা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে মোবাইলে একটি কল পেয়ে বাড়ি থেকে বের হন রানা শরিফ। এরপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। ঘটনার দিন বিকেল থেকেই তার ফোন নম্বরটিও বন্ধ পাচ্ছিল শরিফের পরিবার। নিকট আত্মীয়সহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরও কোনও সন্ধান না পেয়ে এক সপ্তাহ পর মোল্লাহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নিখোঁজ রানা শরিফের বাবা শরিফ আহম্মেদ।

ভিকটিমের ব্যবহৃত মুঠোফান ও সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে মোল্লাহাট থানা পুলিশ। নিখোঁজের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই এলাকার পাঁচ যুবককে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা রানা শরিফকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের দেখানো জায়গা শাসন গ্রামের জনৈক মামুন শেখের বাঁশ বাগানের মাটি খুঁড়ে রানার বস্তাবন্দী দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়।

বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক পুলিশ পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পাঁচজনই রানাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তারা প্রথমে কৌশলে রানা শরিফকে ডেকে এনে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করায়। পরে সবাই মিলে তার হাত-পা চেপে ধরে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে লাশ গুম করতে বস্তাবন্দি করে গর্ত করে মাটি চাপা দেয়।

এই ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

নিখোঁজের দু’বছর পর তরুণের বস্তাবন্দী দেহাবশেষ উদ্ধার

Update Time : ১২:২৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে নিখোঁজের দুই বছর পর রানা শরিফ (২৫) নামে এক তরুণের বস্তাবন্দী দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মোল্লাহাট উপজেলার শাসন গ্রামের একটি বাঁশ বাগানের মাটির নিচ থেকে ওই তরুণের বস্তাবন্দী দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় আগেই পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শাসন গ্রামের মো. হোসাইন চৌধুরী (৩৯), মো. নাদিম চৌধুরী (৩২), মো. শহিদুল চৌধুরী (৩২), জুয়েল মোল্লা (৩৪) ও রুহুল আমিন (২৭)। আটকৃতরা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৌমেন দাস।

নিহত রানা শরিফ উপজেলার শাসন গ্রামের শরিফ আহম্মেদের ছেলে। তিনি কখনও ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন, আবার কখনও ব্যাটারিচালিত অটো চালাতেন। পাওনা টাকা এবং মাদক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত কয়েকজনের বিরোধ ছিল বলে জানা গেছে।

মোল্লাহাট থানা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে মোবাইলে একটি কল পেয়ে বাড়ি থেকে বের হন রানা শরিফ। এরপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। ঘটনার দিন বিকেল থেকেই তার ফোন নম্বরটিও বন্ধ পাচ্ছিল শরিফের পরিবার। নিকট আত্মীয়সহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরও কোনও সন্ধান না পেয়ে এক সপ্তাহ পর মোল্লাহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নিখোঁজ রানা শরিফের বাবা শরিফ আহম্মেদ।

ভিকটিমের ব্যবহৃত মুঠোফান ও সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে মোল্লাহাট থানা পুলিশ। নিখোঁজের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই এলাকার পাঁচ যুবককে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা রানা শরিফকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের দেখানো জায়গা শাসন গ্রামের জনৈক মামুন শেখের বাঁশ বাগানের মাটি খুঁড়ে রানার বস্তাবন্দী দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়।

বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক পুলিশ পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পাঁচজনই রানাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তারা প্রথমে কৌশলে রানা শরিফকে ডেকে এনে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করায়। পরে সবাই মিলে তার হাত-পা চেপে ধরে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে লাশ গুম করতে বস্তাবন্দি করে গর্ত করে মাটি চাপা দেয়।

এই ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।