উত্তরার নাজমুলের বদলে মিরাজের জেল খাটার ঘটনায় নাজমুলকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। রোববার (১২ মে) বিচারক আশরাফুল কামাল এ আদেশ দেন। এ ছাড়া পরবর্তী শুনানি ১৪ মে ধার্য করেন।
এই ঘটনায় আইনজীবীদের সম্পৃক্ততা আছে নাকি সেটিও যাচাই বাছাই করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এর আগে, নাজমুলের আয়নাবাজির ঘটনা হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। একজনের বদলে আরেকজনের জেল খাটার ঘটনা ভবিষ্যতে যেন আর না ঘটে, এমনটাও প্রত্যাশা করেন তিনি।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে উত্তরায় একটি বাসায় অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল, গাঁজাসহ আটক করা হয় আনোয়ার হোসেন নামে একজনকে। তবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন মাদক চক্রের মূলহোতা।
মাদক উদ্ধারের এ ঘটনায় দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। বিচারে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় পলাতক ওই ব্যক্তিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত ওই আসামি মাদক কারবারের মূলহোতা ঢাকার উত্তরার ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান।
২০২৩ সালের ৯ আগস্ট নাজমুল পরিচয় দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন গাজীপুরের মিরাজুল ইসলাম। জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। ফলে নাজমুলের পরিবর্তে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান মিরাজুল। ১১ দিন জেল খাটার পর ওই বছরের ২০ আগস্ট তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। বড় অঙ্কের টাকা দেয়ার চুক্তিতে নাজমুলের পরিবর্তে মিরাজুল জেলে যান বলে জানা যায়।
যদিও চুক্তিমতো সব টাকা পাননি বলে দাবি জেল খাটা মিরাজুলের। জামিনে বেরিয়ে এসে টাকা চাইতে গেলে উল্টো ৫০ পিস ইয়াবা দিয়ে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় তাকে।
এটিএম/