০৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: পলক

একপয়সাও দুর্নীতি ও অর্থ অপচয় হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে বিটিসিএল কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, 

সততার প্রশ্নে ‘জিরো টলারেন্স’। বিটিসিএল কর্মকর্তাদের কারো বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ পেলে কোনো সুযোগ দেয়া হবে না। একটা পয়সার দুর্নীতি হলে বা অর্থ অপচয় হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

এক্ষেত্রে সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে বলে সর্তক করেছেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
 
‘অনিয়ম করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে’ সেই বিষয়টি মাথায় রেখে দেশ ও দেশের মানুষের সেবায় বিটিসিএলকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বানও জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী  বলেন, সততা, সচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা হবে বিটিসিএলকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলার মূলমন্ত্র। কোনো কিছু গোপন করা যাবে না। গোপন করা মানেই সেখানে অস্বচ্ছতা রয়েছে।
 
বৈশ্বিক সংকটকালীন সময়ে ব্যয় কমানোর আহ্বান জানিয়ে পলক বলেন, 

টেলিযোগাযোগের কোনো কোম্পানি লোকসানে থাকতে পারবে না। সুতরাং মুনাফায় যেতে হবে। বিটিসিএল লোকসানে থাকতে পারবে না। তাদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে। দেশ ও মানুষের সেবায় বিটিসিএলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। প্রয়োজনে পাঁচ দিনের জায়গায় সাত দিনই কাজ করতে হবে।

বিটিসিএল কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অডিট করতে হবে। সেই প্রতিবেদন আমি দেখব। রিপোর্ট না থাকলে, সেটি করে আমাকে পাঁচ মাসের মধ্যে দেখাতে হবে। সেইসঙ্গে ইন্টারনাল একটি রিপোর্টও করতে হবে।
 
একই সঙ্গে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে যেসব লোকবল নিয়োগ হয়েছে, সেগুলো সব তাকে জানানো নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, লিডিং রেভিনিউ সোর্স কন্টিবিটার্স আমাকে জানাতে হবে। শেষ পাঁচ বছর কত আয় হয়েছে, সেটিও আমাকে জানতে হবে। ডেটা অ্যানালাইসিস করতে হবে। তাছাড়া গত পাঁচ বছরের ব্যয়ের খাতের ট্রেন্ড কি? সে অনুসারে কোথায় খরচ কমাতে হবে সেখানে নজর দিব। সেক্ষেত্রে দেখব যেসব আঙুর পঁচে গেছে সেগুলো কেটে ফেলব। একটা আঙুরের জন্য তো সব আঙুল নষ্ট করতে পারি না।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আয় ও ব্যয় জানতে পারলে, সে অনুসারে কোথায় খরচ কম বা বেশি হচ্ছে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সময়, অর্থ, ব্যয় কমিয়ে কীভাবে এই খাতকে দেশ ও মানুষের সেবায় নিয়োজিত করা যায় সেটি দেখতে হবে।
 
আগামী ৪১ নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট বিটিসিএল গড়ে তোলার তাগিদ দিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ৪১ দিনকে মাথায় রেখে বিটিসিএলকে কাজ করে যেতে হবে। পেছনে যাওয়া যাবে না।
Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতে ৩শ’ রুপির গয়না ৬ কোটিতে বিক্রি করে মার্কিন নারীর সঙ্গে প্রতারণা।

দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: পলক

Update Time : ১১:৫৭:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪

একপয়সাও দুর্নীতি ও অর্থ অপচয় হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে বিটিসিএল কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, 

সততার প্রশ্নে ‘জিরো টলারেন্স’। বিটিসিএল কর্মকর্তাদের কারো বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ পেলে কোনো সুযোগ দেয়া হবে না। একটা পয়সার দুর্নীতি হলে বা অর্থ অপচয় হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

এক্ষেত্রে সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে বলে সর্তক করেছেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
 
‘অনিয়ম করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে’ সেই বিষয়টি মাথায় রেখে দেশ ও দেশের মানুষের সেবায় বিটিসিএলকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বানও জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী  বলেন, সততা, সচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা হবে বিটিসিএলকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলার মূলমন্ত্র। কোনো কিছু গোপন করা যাবে না। গোপন করা মানেই সেখানে অস্বচ্ছতা রয়েছে।
 
বৈশ্বিক সংকটকালীন সময়ে ব্যয় কমানোর আহ্বান জানিয়ে পলক বলেন, 

টেলিযোগাযোগের কোনো কোম্পানি লোকসানে থাকতে পারবে না। সুতরাং মুনাফায় যেতে হবে। বিটিসিএল লোকসানে থাকতে পারবে না। তাদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে। দেশ ও মানুষের সেবায় বিটিসিএলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। প্রয়োজনে পাঁচ দিনের জায়গায় সাত দিনই কাজ করতে হবে।

বিটিসিএল কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অডিট করতে হবে। সেই প্রতিবেদন আমি দেখব। রিপোর্ট না থাকলে, সেটি করে আমাকে পাঁচ মাসের মধ্যে দেখাতে হবে। সেইসঙ্গে ইন্টারনাল একটি রিপোর্টও করতে হবে।
 
একই সঙ্গে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে যেসব লোকবল নিয়োগ হয়েছে, সেগুলো সব তাকে জানানো নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, লিডিং রেভিনিউ সোর্স কন্টিবিটার্স আমাকে জানাতে হবে। শেষ পাঁচ বছর কত আয় হয়েছে, সেটিও আমাকে জানতে হবে। ডেটা অ্যানালাইসিস করতে হবে। তাছাড়া গত পাঁচ বছরের ব্যয়ের খাতের ট্রেন্ড কি? সে অনুসারে কোথায় খরচ কমাতে হবে সেখানে নজর দিব। সেক্ষেত্রে দেখব যেসব আঙুর পঁচে গেছে সেগুলো কেটে ফেলব। একটা আঙুরের জন্য তো সব আঙুল নষ্ট করতে পারি না।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আয় ও ব্যয় জানতে পারলে, সে অনুসারে কোথায় খরচ কম বা বেশি হচ্ছে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সময়, অর্থ, ব্যয় কমিয়ে কীভাবে এই খাতকে দেশ ও মানুষের সেবায় নিয়োজিত করা যায় সেটি দেখতে হবে।
 
আগামী ৪১ নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট বিটিসিএল গড়ে তোলার তাগিদ দিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ৪১ দিনকে মাথায় রেখে বিটিসিএলকে কাজ করে যেতে হবে। পেছনে যাওয়া যাবে না।