০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেয়া হবে :প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৪১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২
  • 23

সিলেটে চলমান ভয়াল বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে হেলিকপ্টারে করে বন্যা পরিস্থিতি অবলোকন করেন তিনি। এসময় তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টার ‘লো ফ্লাই মোড’ বজায় রেখে উড়েছিল। পরিদর্শন শেষে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে শেখ হাসিনা সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন। এরপর লালগালিচা দিয়ে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রবেশ করেন তিনি। সকাল ১০টায় সিলেট সার্কিট হাউসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী, যেখানে বিভাগীয় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সিলেটে এখন থেকে এলিভেটেড রাস্তা হবে। হলে সেটা সহজে নষ্ট হয় না, বন্যার মতো দুর্যোগে যাতায়াতেরও সুবিধা হয়। সেকারনে ‘সিলেট অঞ্চলে আর উঁচু করে কোনো রাস্তা করা হবে না। গতকাল সিলেট সার্কিট হাউসে সিলেট বিভাগের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসন বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। মতবিনিয়ম সভায় সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দাবি করেন সেনাবাহিনীকে দিয়ে ত্রাণ তৎপরতা চালানোর। একই সাথে ১৫ কিলোমিটার এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণের জন্য দাবি জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। এসময় এ দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বন্যা আসাটা আমার মনে হয় ঘাবড়ানোর কিছু নাই। বাংলাদেশের মানুষকে সব সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেই চলতে হবে। অবকাঠামোগুলোও সেভাবে তৈরি করতে হবে। বন্যায় ঘাবড়ানোর কিছু নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে এ দেশের মানুষ বসবাস করে। সরকার পাশে আছে আপনাদের। সব সময় আপনাদের পাশে থাকবে। বন্যার কারণে অনেক জায়গা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ কারণে আমরা সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছি এবং তারা উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়েছে। এমন পরিস্থিতি আমাদের দলের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। একজন তো দুর্গতদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। সেজন্য বন্যার্ত এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিলেট অঞ্চলে বন্যাদুর্গতদের তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে সরকারের তরফ থেকে সহায়তা দেওয়া হবে। প্রয়োজনীয় খাদ্য, ওষুধসহ সবকিছু দেওয়া হবে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। শেখ হাসিনা আরো বলেন, এই যে বন্যা হলো, এতে আমাদের কষ্ট-ক্ষতি হচ্ছে এটা ঠিক, আবার আমাদের লাভও আছে।
বাংলাদেশ ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে যদি আমাদের আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার অর্থাৎ ভূগর্ভস্থ পানি যদি কমে যায়, ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিন্তু ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার যদি ঠিক থাকে, আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না ভূমিকম্প।

নদীগর্ভ ঠিক রাখতে ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু একবার ক্যাপিটাল ড্রেজিং করলে হবে না। তারপর নিয়মিত মেনটেইন্যান্স ড্রেজিং করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বন্যায় মাছ চাষীরা যাতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন সেজন্য ব্যবস্থা নেবে সরকার। বন্যায় যারা কাজ করছেন তাদেরও সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে। বন্যার পানিতে যাতে ঠান্ডা লেগে কেউ অসুস্থ না হন।

শৈশবে সিলেটে বেড়াতে আসার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, বিশাল বিশাল ড্রেন ছিল, সব বাড়ির সামনে পানি যাওয়ার ড্রেন ছিল, তার ওপর সø্যাব দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা। দুর্ভাগ্য, এখন কিন্তু নাই। বিল্ডিং বানিয়ে এমন অবস্থা, পানি যাওয়ার জায়গা নাই। পানি যাওয়ার জায়গা তো লাগবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সে সময় যারা তৈরি করেছিলেন, প্রকৃতির কথা চিন্তা করেই করেছেন। কিন্তু এখন আমাদের সময়ে যারা করছেন, তারা হয়তো করছেন না কোনো চিন্তা ভাবনা।

মতবিনিময় শেষে প্রধানমন্ত্রী সিলেট, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের হাতে তার পক্ষ থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জবাসীর জন্য ত্রাণ সহায়তা তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুটি হেলিকপ্টারে তার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন তথ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পরিবেশমন্ত্রী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, আহমদ হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, এসএসএফের মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব, একান্ত সচিব-১, ব্যক্তিগত চিকিৎসক, পিজিআরের কমান্ডার, এডিসি, প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-১, এসএসএফের ৪ জন, বিটিভির ক্যামেরাম্যান এবং মিডিয়া সদস্য চারজন।

মতবিনিময়কালে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, রেঞ্জ ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ও জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবীর ইমন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার, জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নাজনীন হোসেন, মহানগর যুবলীগ সভাপতি আলম খান মুক্তি, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম।

এদিকে, সিলেটে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে শাহজালাল (র.) ও শাহপরানের (র.) মাজার জিয়ারত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সার্কিট হাউসে মতবিনিময় সভা শেষে মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ১টা ২৯ মিনিটে হযরত শাহজালালের (র.) মাজার প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন তিনি। এ সময় তিনি জোহরের নামাজ ও মাজার জিয়ারত করেন। দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মাজার থেকে বের হয়ে যান। এরপর শাহপরানের (র.) মাজার জিয়ারত শেষে বেলা ২টা ৪০ মিনিটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টার রওয়ানা দেয় ঢাকার উদ্দেশ্যে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেয়া হবে :প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০১:৪১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২

সিলেটে চলমান ভয়াল বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে হেলিকপ্টারে করে বন্যা পরিস্থিতি অবলোকন করেন তিনি। এসময় তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টার ‘লো ফ্লাই মোড’ বজায় রেখে উড়েছিল। পরিদর্শন শেষে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে শেখ হাসিনা সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন। এরপর লালগালিচা দিয়ে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রবেশ করেন তিনি। সকাল ১০টায় সিলেট সার্কিট হাউসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী, যেখানে বিভাগীয় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সিলেটে এখন থেকে এলিভেটেড রাস্তা হবে। হলে সেটা সহজে নষ্ট হয় না, বন্যার মতো দুর্যোগে যাতায়াতেরও সুবিধা হয়। সেকারনে ‘সিলেট অঞ্চলে আর উঁচু করে কোনো রাস্তা করা হবে না। গতকাল সিলেট সার্কিট হাউসে সিলেট বিভাগের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসন বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। মতবিনিয়ম সভায় সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দাবি করেন সেনাবাহিনীকে দিয়ে ত্রাণ তৎপরতা চালানোর। একই সাথে ১৫ কিলোমিটার এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণের জন্য দাবি জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। এসময় এ দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বন্যা আসাটা আমার মনে হয় ঘাবড়ানোর কিছু নাই। বাংলাদেশের মানুষকে সব সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেই চলতে হবে। অবকাঠামোগুলোও সেভাবে তৈরি করতে হবে। বন্যায় ঘাবড়ানোর কিছু নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে এ দেশের মানুষ বসবাস করে। সরকার পাশে আছে আপনাদের। সব সময় আপনাদের পাশে থাকবে। বন্যার কারণে অনেক জায়গা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ কারণে আমরা সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছি এবং তারা উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়েছে। এমন পরিস্থিতি আমাদের দলের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। একজন তো দুর্গতদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। সেজন্য বন্যার্ত এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিলেট অঞ্চলে বন্যাদুর্গতদের তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে সরকারের তরফ থেকে সহায়তা দেওয়া হবে। প্রয়োজনীয় খাদ্য, ওষুধসহ সবকিছু দেওয়া হবে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। শেখ হাসিনা আরো বলেন, এই যে বন্যা হলো, এতে আমাদের কষ্ট-ক্ষতি হচ্ছে এটা ঠিক, আবার আমাদের লাভও আছে।
বাংলাদেশ ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে যদি আমাদের আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার অর্থাৎ ভূগর্ভস্থ পানি যদি কমে যায়, ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিন্তু ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার যদি ঠিক থাকে, আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না ভূমিকম্প।

নদীগর্ভ ঠিক রাখতে ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু একবার ক্যাপিটাল ড্রেজিং করলে হবে না। তারপর নিয়মিত মেনটেইন্যান্স ড্রেজিং করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বন্যায় মাছ চাষীরা যাতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন সেজন্য ব্যবস্থা নেবে সরকার। বন্যায় যারা কাজ করছেন তাদেরও সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে। বন্যার পানিতে যাতে ঠান্ডা লেগে কেউ অসুস্থ না হন।

শৈশবে সিলেটে বেড়াতে আসার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, বিশাল বিশাল ড্রেন ছিল, সব বাড়ির সামনে পানি যাওয়ার ড্রেন ছিল, তার ওপর সø্যাব দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা। দুর্ভাগ্য, এখন কিন্তু নাই। বিল্ডিং বানিয়ে এমন অবস্থা, পানি যাওয়ার জায়গা নাই। পানি যাওয়ার জায়গা তো লাগবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সে সময় যারা তৈরি করেছিলেন, প্রকৃতির কথা চিন্তা করেই করেছেন। কিন্তু এখন আমাদের সময়ে যারা করছেন, তারা হয়তো করছেন না কোনো চিন্তা ভাবনা।

মতবিনিময় শেষে প্রধানমন্ত্রী সিলেট, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের হাতে তার পক্ষ থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জবাসীর জন্য ত্রাণ সহায়তা তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুটি হেলিকপ্টারে তার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন তথ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পরিবেশমন্ত্রী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, আহমদ হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, এসএসএফের মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব, একান্ত সচিব-১, ব্যক্তিগত চিকিৎসক, পিজিআরের কমান্ডার, এডিসি, প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-১, এসএসএফের ৪ জন, বিটিভির ক্যামেরাম্যান এবং মিডিয়া সদস্য চারজন।

মতবিনিময়কালে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, রেঞ্জ ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ও জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবীর ইমন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার, জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নাজনীন হোসেন, মহানগর যুবলীগ সভাপতি আলম খান মুক্তি, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম।

এদিকে, সিলেটে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে শাহজালাল (র.) ও শাহপরানের (র.) মাজার জিয়ারত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সার্কিট হাউসে মতবিনিময় সভা শেষে মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ১টা ২৯ মিনিটে হযরত শাহজালালের (র.) মাজার প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন তিনি। এ সময় তিনি জোহরের নামাজ ও মাজার জিয়ারত করেন। দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মাজার থেকে বের হয়ে যান। এরপর শাহপরানের (র.) মাজার জিয়ারত শেষে বেলা ২টা ৪০ মিনিটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টার রওয়ানা দেয় ঢাকার উদ্দেশ্যে।