আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ থেকে পালিয়ে তাজিকিস্তানে আশ্রয় চাইলে দেশটি তাকে ফিরিয়ে দেয়। ফলে বিমান ঘুরিয়ে তিনি ওমান চলে যান।
ওমান সরকার তাঁকে আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে কি না, এখনও পর্যন্ত তা নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তবে সোমবার ওমানেই রয়েছেন। একসময় আমেরিকার নাগরিকত্ব ছিল ঘানির। ওমান থেকে তিনি আমেরিকা রওনা দিতে পারেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর।
তবে ওমানে একা নন ঘানি। তার সঙ্গে সেখানে রয়েছেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামিদুল্লা মোহিব। তালেবানের সামনে কখনও মাথা নত করবেন না বলে বার্তা দিলেও, সদ্য সাবেক উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লা সালেহ কিন্তু তাজিকিস্তানেই রয়েছেন।
অন্য দিকে, আফগানিস্তানের আর এক সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এখনও দেশেই রয়েছেন। আফগানিস্তানে পূর্ণ এবং সার্বিক সরকার গঠনের জন্য তালেবানের সঙ্গে সমঝোতা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
একসময় দীর্ঘ দিন আমেরিকার নাগরিক ছিলেন ঘানি। ২০১৪ সালে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে, সেই নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন তিনি। তবে তার স্ত্রী এবং দুই সন্তান আমেরিকার নাগরিক। তাই শেষ পর্যন্ত ঘানি আমেরিকাতেই আশ্রয় নিতে পারেন বলে জল্পনা।