০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ৩০ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করল নিকারাগুয়া।

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:২৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১
  • 25
তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করল মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়া। তাদের এ সিদ্ধান্তের ফলে তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রাখা দেশের সংখ্যা কমে ১৪টিতে এসে দাঁড়াল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

চীন-নিকারাগুয়ার সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ঘোষণা ‘যুক্তরাষ্ট্রের উঠান’ খ্যাত দেশগুলোতে বেইজিংয়ের প্রভাব বাড়ার সংকেত; এর পাশাপাশি তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ডেনিয়েল ওর্তেগা সরকারের প্রতি আরও ক্রুদ্ধ হয়ে উঠবে বলেই অনুমান বিশ্লেষকদের।

ওর্তেগা ১৯৮৫ সালে প্রথম তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন; ১৯৯০ সালে ভায়োলেটা ব্যারিওস দে চামোরো নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট হলে তিনি স্বশাসিত দ্বীপটির সঙ্গে ফের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করেন।

তাইওয়ানকে চীন তাদের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দেখে; অন্যদিকে স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ মনে করে।

যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না দিলেও তাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন তাইওয়ানের ওপর রাজনৈতিক ও সামরিক চাপ বাড়িয়েই চলেছে, পুনরেকত্রীকরণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করা হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে বেইজিং।

গত কয়েক বছর ধরে তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকা দেশগুলোর ওপরও চাপ বাড়াচ্ছে চীন।

ইউরোপের দেশ লিথুনিয়া তাদের ভূখণ্ডে তাইওয়ানকে দূতাবাস খুলতে দেওয়ায় চীন গতমাসে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করে।

২০১৬ সালে তাইওয়ানের এখনকার প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন ক্ষমতা নেওয়ার সময় ২১টি দেশের সঙ্গে স্বশাসিত দ্বীপটির আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিল; এরপর মাত্র পাঁচ বছরেই এক তৃতীয়াংশ বন্ধু হারাল তারা।

সর্বশেষ ২০১৯ সালে কিরিবাতি ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জ তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করল নিকারাগুয়া।

Update Time : ১২:২৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১
তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করল মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়া। তাদের এ সিদ্ধান্তের ফলে তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রাখা দেশের সংখ্যা কমে ১৪টিতে এসে দাঁড়াল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

চীন-নিকারাগুয়ার সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ঘোষণা ‘যুক্তরাষ্ট্রের উঠান’ খ্যাত দেশগুলোতে বেইজিংয়ের প্রভাব বাড়ার সংকেত; এর পাশাপাশি তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ডেনিয়েল ওর্তেগা সরকারের প্রতি আরও ক্রুদ্ধ হয়ে উঠবে বলেই অনুমান বিশ্লেষকদের।

ওর্তেগা ১৯৮৫ সালে প্রথম তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন; ১৯৯০ সালে ভায়োলেটা ব্যারিওস দে চামোরো নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট হলে তিনি স্বশাসিত দ্বীপটির সঙ্গে ফের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করেন।

তাইওয়ানকে চীন তাদের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দেখে; অন্যদিকে স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ মনে করে।

যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না দিলেও তাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন তাইওয়ানের ওপর রাজনৈতিক ও সামরিক চাপ বাড়িয়েই চলেছে, পুনরেকত্রীকরণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করা হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে বেইজিং।

গত কয়েক বছর ধরে তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকা দেশগুলোর ওপরও চাপ বাড়াচ্ছে চীন।

ইউরোপের দেশ লিথুনিয়া তাদের ভূখণ্ডে তাইওয়ানকে দূতাবাস খুলতে দেওয়ায় চীন গতমাসে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করে।

২০১৬ সালে তাইওয়ানের এখনকার প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন ক্ষমতা নেওয়ার সময় ২১টি দেশের সঙ্গে স্বশাসিত দ্বীপটির আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিল; এরপর মাত্র পাঁচ বছরেই এক তৃতীয়াংশ বন্ধু হারাল তারা।

সর্বশেষ ২০১৯ সালে কিরিবাতি ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জ তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল।