০১:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ডাক্তার নার্স ঠিকমতো আসে কি না সেটি দেখতে হবে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:২৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 16

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাধারণ মানুষ ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছে কি না সেটি নিশ্চিত করতে হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের মাসিক সভা নিয়মিত করার তাগিদ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি ও হাসপাতাল প্রধানের অনেক দায়িত্ব। ডাক্তার নার্স ঠিকমতো আসে কি না সেটি দেখতে হবে। টয়লেট ও বেড ঝকঝকে থাকতে হবে। তবেই আন্তর্জাতিক মানের সেবার প্রদানের পরিবেশ ঠিক থাকবে। আর এটি ঠিকমতো হচ্ছে কি না সেটি দেখার দায়িত্ব পর্ষদের।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ছয় জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য স্থাপনা ও প্রান্তিক পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য সেবাকে কিভাবে আরও উন্নত করা যায়, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। কিন্তু করোনা মহামারিতে এ প্রয়াস কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। ইউনিয়ন থেকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্যক্রম মনিটরিংয়ে রাখা হয়েছে। মেশিন, লোকবল ঠিক আছে কি না, মানুষ সেবা পাচ্ছে কি না সেগুলো দেখা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতির অভাব নেই, কিন্তু জনবলের কিছুটা অভাব রয়েছে। তবে গত ৫০ বছরে যেখানে ১৫ হাজার ডাক্তার নিয়োগ হয়েছে, করোনার দুই বছরে সেটি তিনগুণ বেড়েছে। নার্সও দ্বিগুণ হয়েছে। আমরা কাজ করেছি বলেই স্বাস্থ্যসেবা এগিয়ে গেছে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করেছি, মাঠে নেমেছি। যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার তা নেওয়া হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। সেখানে ৩০-৩২ ধরনের ওষুধ পাচ্ছে রোগীরা। বাংলাদেশে এখন দেড় লাখ শয্যা। প্রতিটি বড় হাসপাতালে আইসিইউ আছে। পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণের হার এক সময় ২ ভাগও ছিল না, এখন তা ৬৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, আমাদের অবকাঠামো উন্নয়ন অনেক হয়েছে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালে সেবার মান বেড়েছে। ব্রেন টিউমার, বাইপাস সার্জারির মতো রোগের অপারেশন দেশেই হচ্ছে। কোনো ওষুধের অভাব নেই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা প্রদানসহ এই সংক্রান্ত সব কাজে ৪৫ হাজার কোটি টাকার মত ব্যয় হয়েছে। ৩০ হাজার মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে বিনামূল্যে। কুমিল্লাতেই আইসিইউ, আরটিপিসিআরসহ জিন এক্সপার্ট মেশিন দেওয়া হয়েছে। ফলে সবধরনের জরুরি সেবা মিলবে জেলাতেই। ঢাকায় কষ্ট করে যেতে হবে না।সূত্র:-বাসস

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ডাক্তার নার্স ঠিকমতো আসে কি না সেটি দেখতে হবে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Update Time : ০৭:২৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাধারণ মানুষ ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছে কি না সেটি নিশ্চিত করতে হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের মাসিক সভা নিয়মিত করার তাগিদ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি ও হাসপাতাল প্রধানের অনেক দায়িত্ব। ডাক্তার নার্স ঠিকমতো আসে কি না সেটি দেখতে হবে। টয়লেট ও বেড ঝকঝকে থাকতে হবে। তবেই আন্তর্জাতিক মানের সেবার প্রদানের পরিবেশ ঠিক থাকবে। আর এটি ঠিকমতো হচ্ছে কি না সেটি দেখার দায়িত্ব পর্ষদের।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ছয় জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য স্থাপনা ও প্রান্তিক পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য সেবাকে কিভাবে আরও উন্নত করা যায়, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। কিন্তু করোনা মহামারিতে এ প্রয়াস কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। ইউনিয়ন থেকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্যক্রম মনিটরিংয়ে রাখা হয়েছে। মেশিন, লোকবল ঠিক আছে কি না, মানুষ সেবা পাচ্ছে কি না সেগুলো দেখা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতির অভাব নেই, কিন্তু জনবলের কিছুটা অভাব রয়েছে। তবে গত ৫০ বছরে যেখানে ১৫ হাজার ডাক্তার নিয়োগ হয়েছে, করোনার দুই বছরে সেটি তিনগুণ বেড়েছে। নার্সও দ্বিগুণ হয়েছে। আমরা কাজ করেছি বলেই স্বাস্থ্যসেবা এগিয়ে গেছে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করেছি, মাঠে নেমেছি। যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার তা নেওয়া হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। সেখানে ৩০-৩২ ধরনের ওষুধ পাচ্ছে রোগীরা। বাংলাদেশে এখন দেড় লাখ শয্যা। প্রতিটি বড় হাসপাতালে আইসিইউ আছে। পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণের হার এক সময় ২ ভাগও ছিল না, এখন তা ৬৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, আমাদের অবকাঠামো উন্নয়ন অনেক হয়েছে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালে সেবার মান বেড়েছে। ব্রেন টিউমার, বাইপাস সার্জারির মতো রোগের অপারেশন দেশেই হচ্ছে। কোনো ওষুধের অভাব নেই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা প্রদানসহ এই সংক্রান্ত সব কাজে ৪৫ হাজার কোটি টাকার মত ব্যয় হয়েছে। ৩০ হাজার মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে বিনামূল্যে। কুমিল্লাতেই আইসিইউ, আরটিপিসিআরসহ জিন এক্সপার্ট মেশিন দেওয়া হয়েছে। ফলে সবধরনের জরুরি সেবা মিলবে জেলাতেই। ঢাকায় কষ্ট করে যেতে হবে না।সূত্র:-বাসস