০৫:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডলার সংকটের সুযোগ নিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যাংক

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:০২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২
  • 37

ব্যবসায়ীরা আমদানির ঋণপত্র বা এলসি খুলতে গেলে ব্যাংক বলছে, ডলার নেই। তবে দাম কিছুটা বাড়তি দিলেই চাহিদা মতো মিলছে ডলার।

ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান ডলার সংকটের জন্য দায়ী এমন বেশ কয়েকটি ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র বলছে, ডলার কারসাজির অভিযোগে অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। সংস্থাটির মুখপাত্র জানান, কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে অস্থির বৈশ্বিক অর্থনীতি। এরমধ্যে দেশে রপ্তানি আয় কিছুটা বাড়লেও আমদানি ব্যয় মেটাতে হচ্ছে তার চেয়েও অনেক বেশি। প্রবাসী আয় না বেড়ে বরং কমেছে। এতে টান পড়েছে রিজার্ভে। আর এমন বাস্তবতায় তৈরি হয়েছে ডলার সংকট। ভুক্তভোগী ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ডলারের দাম বেশ খানিকটা বাড়লেও সংকটের সুযোগ নিচ্ছে বেশ কিছু অসাধু ব্যাংক।

বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেম বলেন, তারা বলছে ডলার নেই। তখন বেশি টাকা দিলে ডলার পাওয়া যায়। তাহলে এটা আসে কোথা থেকে। পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে আমরা একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতায় পড়ে যাচ্ছি। এতে আমার রপ্তানি প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এই মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীও বললেন, অস্থিরতার পেছনে হাত রয়েছে কয়েকটি সুযোগসন্ধানী ব্যাংকের। মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের এ কে এম ইসমাইল হক বলেন, এই ডলারটা তখন যারা এলসি করে, বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা আমদানির জন্য ব্যাংকের শরণাপন্ন হয়, তখন তারা ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণ করে।

ডলারের বাজারে কারসাজি ও অস্থিরতা বন্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানালেন এফবিসিসিআই সভাপতি। এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ব্যাংকগুলোকে মানুষ ইনস্টিটিউশন হিসেবে মনে করে। ব্যাংক যদি এ ধরনের কাজ করে তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংক তাদেরকে নজরদারিতে নেওয়া দরকার। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কারণ, সরকার তো ব্যাংকে এসব করার জন্য লাইসেন্স দেয় নাই।

এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্রে জানা গেছে, ডলার কারসাজিকারী কয়েকজনকে সতর্ক করা হয়েছে। আর মুখপাত্র বললেন, জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, রেট ফিক্সড আপ করা হচ্ছে। সেই রেটেই ব্যাংকগুলোকে সেল করতে হবে। এটাই বিধান। কেউ যদি বেশি রেটে ডলার বিক্রি করার চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক অবশ্যই দেখভাল করবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম ৯৪ টাকার আশপাশে নির্ধারণ করলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ব ও বেসরকারি ব্যাংক এবং খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০১ টাকা পর্যন্ত।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ডলার সংকটের সুযোগ নিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যাংক

Update Time : ১১:০২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২

ব্যবসায়ীরা আমদানির ঋণপত্র বা এলসি খুলতে গেলে ব্যাংক বলছে, ডলার নেই। তবে দাম কিছুটা বাড়তি দিলেই চাহিদা মতো মিলছে ডলার।

ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান ডলার সংকটের জন্য দায়ী এমন বেশ কয়েকটি ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র বলছে, ডলার কারসাজির অভিযোগে অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। সংস্থাটির মুখপাত্র জানান, কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে অস্থির বৈশ্বিক অর্থনীতি। এরমধ্যে দেশে রপ্তানি আয় কিছুটা বাড়লেও আমদানি ব্যয় মেটাতে হচ্ছে তার চেয়েও অনেক বেশি। প্রবাসী আয় না বেড়ে বরং কমেছে। এতে টান পড়েছে রিজার্ভে। আর এমন বাস্তবতায় তৈরি হয়েছে ডলার সংকট। ভুক্তভোগী ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ডলারের দাম বেশ খানিকটা বাড়লেও সংকটের সুযোগ নিচ্ছে বেশ কিছু অসাধু ব্যাংক।

বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেম বলেন, তারা বলছে ডলার নেই। তখন বেশি টাকা দিলে ডলার পাওয়া যায়। তাহলে এটা আসে কোথা থেকে। পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে আমরা একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতায় পড়ে যাচ্ছি। এতে আমার রপ্তানি প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এই মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীও বললেন, অস্থিরতার পেছনে হাত রয়েছে কয়েকটি সুযোগসন্ধানী ব্যাংকের। মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের এ কে এম ইসমাইল হক বলেন, এই ডলারটা তখন যারা এলসি করে, বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা আমদানির জন্য ব্যাংকের শরণাপন্ন হয়, তখন তারা ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণ করে।

ডলারের বাজারে কারসাজি ও অস্থিরতা বন্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানালেন এফবিসিসিআই সভাপতি। এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ব্যাংকগুলোকে মানুষ ইনস্টিটিউশন হিসেবে মনে করে। ব্যাংক যদি এ ধরনের কাজ করে তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংক তাদেরকে নজরদারিতে নেওয়া দরকার। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কারণ, সরকার তো ব্যাংকে এসব করার জন্য লাইসেন্স দেয় নাই।

এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্রে জানা গেছে, ডলার কারসাজিকারী কয়েকজনকে সতর্ক করা হয়েছে। আর মুখপাত্র বললেন, জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, রেট ফিক্সড আপ করা হচ্ছে। সেই রেটেই ব্যাংকগুলোকে সেল করতে হবে। এটাই বিধান। কেউ যদি বেশি রেটে ডলার বিক্রি করার চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক অবশ্যই দেখভাল করবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম ৯৪ টাকার আশপাশে নির্ধারণ করলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ব ও বেসরকারি ব্যাংক এবং খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০১ টাকা পর্যন্ত।