০৫:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জাতে থাকার পর্দাশীল পোশাক এবং ধর্মান্ধতার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫২:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 39

৩ বছর দুই সাইটেই চুটিয়ে প্রেম করার পরে কয়েক সেকেন্ডেই মেয়েটি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলো মেয়েটি, আমাকে বিয়ে করাটা হবে তার ভুল সিদ্ধান্ত, কারন কি?
মুলত ঘটনার শুরু আরো ১ বছর আগের এক রমজানে, এর আগে আমার সম্মন্ধে মেয়েটির মায়ের ধারনা ভালোই ছিলো নারীদের সম্মান করি, চরিত্র ভালো হ্যান ত্যান। তো এক বছর আগের সেই দিনটা ছিলো অমায়িক ইন্টারেষ্টিং যা আমার মনে থাকবে দীর্ঘকাল, ভদ্রমহিলা আমাকে সেদিন কল দিছিলো, ফোন দিয়ে প্রথম প্রশ্নই ছিলো উনার, রোজা রাখছি কি না? ঘুরিয়ে পেচিয়ে নয়, সরাসরি উত্তর দিলাম, না খালাম্মা রোজা রাখিনি, এই পাশে বুঝতে পারলাম ভদ্রমহিলা বেশ বিরক্ত। জিজ্ঞেস করলো, ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে, উত্তরে বললাম, খালাম্মা ধর্ম আপনি দেখছেন? খালাম্মা বেশ বিরক্ত। খালাম্মা আবার জিজ্ঞেস করলো, তুমি আল্লাহ বিশ্বাস করো? পালটা জানতে চাইলাম, জানার জানার জন্য ফোন দিছেন নাকি মেয়ে বিয়ে দেওয়ার জন্য জরুরী? খালাম্মা বললো, দুইটাই। উত্তরে জানতে চাইলাম, আল্লাহর সাথে আপনার দেখা হইছে? খালাম্মা আরো বিরক্ত। তারপরেও নানান বিষয় নিয়ে কথা বললাম এবং কথা বলে ফোন রাখলাম।
এবার কিছুক্ষন পরে মেয়ে অর্থ্যাৎ আমার এক্স গার্লফ্রেন্ড ফোন দিলো, বুঝতেই পারছিলাম, চুদুন হবে ভালো। তার যথাযথ কৌশলের অংশ হিসেবে সময় নিয়ে ফোন ব্যাক করলাম। প্রথম জিজ্ঞাসাতেই জানতে চাইলো, মায়ের সাথে কি বলেছো? বললাম যা বিশ্বাস করি তাই বলেছি। মেয়েটি বললো, বলে দিলেই পারতে, রোজা রাখছো, ধর্ম কর্ম করো। বললাম, এটাই কি তোমাদের মায়ের ধর্ম শিক্ষা? মেয়েটির প্রশ্ন, মানে কি? বললাম মানে মিথ্যা বলাটা। আমি রোজা রাখিনি, নামাজ পড়ি না, তাছাড়া ধর্মান্ধদের নানান আচরনে ধর্ম নিয়ে আমি কনফিউশনে আছি। এমন অবস্থায় উনাকে যদি বলি আমি যে রোজা রাখছি, ধর্ম কর্ম করি, তাহলে বিষয়টা মিথ্যা বলা হলো না? তাছাড়া তুমি তো আল্লাহ বিশ্বাস করো, তোমার সেই আল্লাহর কাছে আমার চরিত্রটা কি মিথ্যাবাদী হয়ে যাওয়ার মতো হবে না? মেয়েটি এবার বিরক্ত হলো, আসলে তুমি তো আল্লাহ বিশ্বাস করো না, সেজন্য এইটুকু উনাকে বলতে পারলে না। যদি আল্লাহ বিশ্বাস করতে, তাহলে বলে দিতে পারতে। মেয়েটাকে বললাম, তোমার আল্লাহ কি মিথ্যা বলাটা এপ্রুভ করে? ওপাশ থেকে তোমার সাথে কথা বলাই বেকার বলে লাইন কেটে দিলো।
সেদিন থেকেই আমাদের ঝামেলার শুরু। যদিও আমাদের সম্পর্কে ঝামেলা হয়নি, নারী স্বাধীনতা, লাইফের এম্বিশন, অন্য কারো সাথে ওয়েটিং এ থাকা, কোন ছেলে বন্ধু থাকা না থাকা বা কথা বলা কিংবা সন্দেহ দুরিকরিন অস্ত্র ফেসবুকের পাসওয়ার্ড দিতেই হবে হ্যান ত্যান নিয়ে। পুরো স্বাধীন স্পেস ওয়ালা সম্পর্কে ফ্যাক্টর হয়ে দাড়ালো ধর্ম ও ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে। সুযোগ পেলেই দুই লাইন এর শব্দ “তোমাকে বলে লাভ কি, তুমি তো ধর্মই বিশ্বাস করো না, নামাজ পড়ো না” একটা সময় ক্লান্ত হয়ে গেলাম, যে শুরুর দিকে বুঝলাম কি, আগেই বলে নিলাম কি, এখন এসে পরিস্থিতি ফেইস করছি কি…..
এদিকে সিদ্ধান্তও নিতে পারছি না, ইগ্নোর করতে পারছি না, সম্পর্ক থেকে বের হয়েও যেতে পারছি না, সম্পর্ক কন্টিনিউও করতে পারছি না। পুরাই চুদির ভাই অবস্থা। এ কি ধর্ম রুপ দেখছি তার? মায়া, টান, ভালোবাসা যে ছিলো না, তা তো নয়। সবই ছিলো, কিন্তু তারপরেও তৃপ্তির জায়গাটা দিন দিন খাটো হতে থাকলো। আর ঐদিকে ওর মা ওর মগজে আমার সম্মন্ধে ঢুকাতে লাগলো বিয়ে হলে সুখে না থাকার তার মায়ের রচিত ইতিহাসের পাঠ্য। এদিকে আমি কনফিউশন, বিয়ে হলে সব ঠিক থাকলেও ধর্ম আর পোশাক নিয়ে যেই ক্যাচাল হবে, সেটা কি আমি ওভারকাম করতে পারবো, যেহেতু তার মায়ের কাছে আছে আমায় নিয়ে ধর্ম কর্ম আর পোশাক নিয়ে লেখা জরুরী ইতিহাস। মগজ ধোলাইয়ের অপুর্ব কর্ম।
এক অবস্থায় দুরত্ত্ব বাড়তে থাকে।
আমার সাথে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া মেয়েটা ২০২২ সালের জুলাইয়ের ২ তারিখে এসে এক উত্তপ্ত ফোনালাপের পর শর্ট টাইমে সিদ্ধান্ত নেয়, সে তার পরিবারের সিদ্ধান্তেই বিয়ে করবে, যদিও পরে জেনেছি, জুন থেকেই সে তার বিয়ের জন্য পাত্রদের সামনে সাজুগুজু করে দেখা করতে থাকে।
জুলাইয়ের ৮ তারিখ বিয়ে হলো, ধার্মিক স্বামী, সরকারী ব্যাংকের চাকরিজীবি পাচওয়াক্ত নামাজ পরে, তাহাজ্জুদ পরে, শুধু আল্লাহ কে বিশ্বাসই করে না, নামাজ পড়তে পড়তে কপালে দাগ ফেলে দিয়েছে, এদিকে অফিস রেকর্ড কোন ফাইল তার কাছ থেকে বিনা উপরি টাকা ছাড়া বের হয় না। আমার ধার্মিক এক্স গার্ল ফ্রেন্ড বিয়ের আগে আমার নাম্বার ব্লক থেকে সপ্তাহখানেক বিয়ের পরে নাম্বার আনব্লক করে হোয়াটসএপে ভিডিও কল দিয়েছিলো, আমি কেটে দিয়ে অডিও কল করি, বললো তার ফেসবুক ডিলিট করে দিয়েছে সে, ফেসবুকে আর আসবে না, তার ধার্মিক স্বামী চায়না সে ফেসবুক চালাক। তারপরে সে আমাকে দারুন অফার দিলো যে আমার মন খারাপ হলে যেন তাকে ফোন দেই মাঝে মধ্যে, জিজ্ঞেস করলাম, তুই কে? তোর সাথে আগে আমার পরিচয় ছিলো? শোন আমি ধার্মিক না, ধর্ম খেলি না, কিন্তু পরকিয়া করি না। তার বক্তব্য, আমরা বন্ধু হয়ে থাকি? বললাল তোর ধর্ম বিশ্বাস, আল্লাহ বিশ্বাস তোকে এই বন্ধুত্ত্ব জায়েজ করার সার্টিফিকেট দিলেও, আমার না ধর্ম বিশ্বাস আমাকে এই সম্পর্ক অনুমোধন দেয় না।
উপরের ঘঠনা আমার সাথে হয়ে যাওয়া ঘঠনা, এক শব্দেও ত্রুটি নাই। আরো অনেক কথা ছিলো যা এড়িয়েছি। কাউকে ছোট করার জন্যেও বলা নয়। বলার উদ্দেশ্য পেইজে কিছু দাড়ি টুপিওয়ালা ও বোরখাওয়ালী এসেছে, লাফাইতাছে, তাদের বলছি সাবধান আমাকে আপনাদের চিনাইয়েন না, আমি আপনাদের এতোই চিনি যে, আপনারাই আপনাদের এতো ভালো করে চিনেন না।
এতএব, পোশাক যার যার রুচি, ধর্ম যার যার বিশ্বাস, নিজের রুচি, নিজের বিশ্বাস নিজেই পালন করুন, কারোর উপরে চাপিয়ে দিয়ে নাস্তিক হাবিজাবি নানান কিছু বইলেন না।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

জাতে থাকার পর্দাশীল পোশাক এবং ধর্মান্ধতার

Update Time : ০২:৫২:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

৩ বছর দুই সাইটেই চুটিয়ে প্রেম করার পরে কয়েক সেকেন্ডেই মেয়েটি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলো মেয়েটি, আমাকে বিয়ে করাটা হবে তার ভুল সিদ্ধান্ত, কারন কি?
মুলত ঘটনার শুরু আরো ১ বছর আগের এক রমজানে, এর আগে আমার সম্মন্ধে মেয়েটির মায়ের ধারনা ভালোই ছিলো নারীদের সম্মান করি, চরিত্র ভালো হ্যান ত্যান। তো এক বছর আগের সেই দিনটা ছিলো অমায়িক ইন্টারেষ্টিং যা আমার মনে থাকবে দীর্ঘকাল, ভদ্রমহিলা আমাকে সেদিন কল দিছিলো, ফোন দিয়ে প্রথম প্রশ্নই ছিলো উনার, রোজা রাখছি কি না? ঘুরিয়ে পেচিয়ে নয়, সরাসরি উত্তর দিলাম, না খালাম্মা রোজা রাখিনি, এই পাশে বুঝতে পারলাম ভদ্রমহিলা বেশ বিরক্ত। জিজ্ঞেস করলো, ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে, উত্তরে বললাম, খালাম্মা ধর্ম আপনি দেখছেন? খালাম্মা বেশ বিরক্ত। খালাম্মা আবার জিজ্ঞেস করলো, তুমি আল্লাহ বিশ্বাস করো? পালটা জানতে চাইলাম, জানার জানার জন্য ফোন দিছেন নাকি মেয়ে বিয়ে দেওয়ার জন্য জরুরী? খালাম্মা বললো, দুইটাই। উত্তরে জানতে চাইলাম, আল্লাহর সাথে আপনার দেখা হইছে? খালাম্মা আরো বিরক্ত। তারপরেও নানান বিষয় নিয়ে কথা বললাম এবং কথা বলে ফোন রাখলাম।
এবার কিছুক্ষন পরে মেয়ে অর্থ্যাৎ আমার এক্স গার্লফ্রেন্ড ফোন দিলো, বুঝতেই পারছিলাম, চুদুন হবে ভালো। তার যথাযথ কৌশলের অংশ হিসেবে সময় নিয়ে ফোন ব্যাক করলাম। প্রথম জিজ্ঞাসাতেই জানতে চাইলো, মায়ের সাথে কি বলেছো? বললাম যা বিশ্বাস করি তাই বলেছি। মেয়েটি বললো, বলে দিলেই পারতে, রোজা রাখছো, ধর্ম কর্ম করো। বললাম, এটাই কি তোমাদের মায়ের ধর্ম শিক্ষা? মেয়েটির প্রশ্ন, মানে কি? বললাম মানে মিথ্যা বলাটা। আমি রোজা রাখিনি, নামাজ পড়ি না, তাছাড়া ধর্মান্ধদের নানান আচরনে ধর্ম নিয়ে আমি কনফিউশনে আছি। এমন অবস্থায় উনাকে যদি বলি আমি যে রোজা রাখছি, ধর্ম কর্ম করি, তাহলে বিষয়টা মিথ্যা বলা হলো না? তাছাড়া তুমি তো আল্লাহ বিশ্বাস করো, তোমার সেই আল্লাহর কাছে আমার চরিত্রটা কি মিথ্যাবাদী হয়ে যাওয়ার মতো হবে না? মেয়েটি এবার বিরক্ত হলো, আসলে তুমি তো আল্লাহ বিশ্বাস করো না, সেজন্য এইটুকু উনাকে বলতে পারলে না। যদি আল্লাহ বিশ্বাস করতে, তাহলে বলে দিতে পারতে। মেয়েটাকে বললাম, তোমার আল্লাহ কি মিথ্যা বলাটা এপ্রুভ করে? ওপাশ থেকে তোমার সাথে কথা বলাই বেকার বলে লাইন কেটে দিলো।
সেদিন থেকেই আমাদের ঝামেলার শুরু। যদিও আমাদের সম্পর্কে ঝামেলা হয়নি, নারী স্বাধীনতা, লাইফের এম্বিশন, অন্য কারো সাথে ওয়েটিং এ থাকা, কোন ছেলে বন্ধু থাকা না থাকা বা কথা বলা কিংবা সন্দেহ দুরিকরিন অস্ত্র ফেসবুকের পাসওয়ার্ড দিতেই হবে হ্যান ত্যান নিয়ে। পুরো স্বাধীন স্পেস ওয়ালা সম্পর্কে ফ্যাক্টর হয়ে দাড়ালো ধর্ম ও ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে। সুযোগ পেলেই দুই লাইন এর শব্দ “তোমাকে বলে লাভ কি, তুমি তো ধর্মই বিশ্বাস করো না, নামাজ পড়ো না” একটা সময় ক্লান্ত হয়ে গেলাম, যে শুরুর দিকে বুঝলাম কি, আগেই বলে নিলাম কি, এখন এসে পরিস্থিতি ফেইস করছি কি…..
এদিকে সিদ্ধান্তও নিতে পারছি না, ইগ্নোর করতে পারছি না, সম্পর্ক থেকে বের হয়েও যেতে পারছি না, সম্পর্ক কন্টিনিউও করতে পারছি না। পুরাই চুদির ভাই অবস্থা। এ কি ধর্ম রুপ দেখছি তার? মায়া, টান, ভালোবাসা যে ছিলো না, তা তো নয়। সবই ছিলো, কিন্তু তারপরেও তৃপ্তির জায়গাটা দিন দিন খাটো হতে থাকলো। আর ঐদিকে ওর মা ওর মগজে আমার সম্মন্ধে ঢুকাতে লাগলো বিয়ে হলে সুখে না থাকার তার মায়ের রচিত ইতিহাসের পাঠ্য। এদিকে আমি কনফিউশন, বিয়ে হলে সব ঠিক থাকলেও ধর্ম আর পোশাক নিয়ে যেই ক্যাচাল হবে, সেটা কি আমি ওভারকাম করতে পারবো, যেহেতু তার মায়ের কাছে আছে আমায় নিয়ে ধর্ম কর্ম আর পোশাক নিয়ে লেখা জরুরী ইতিহাস। মগজ ধোলাইয়ের অপুর্ব কর্ম।
এক অবস্থায় দুরত্ত্ব বাড়তে থাকে।
আমার সাথে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া মেয়েটা ২০২২ সালের জুলাইয়ের ২ তারিখে এসে এক উত্তপ্ত ফোনালাপের পর শর্ট টাইমে সিদ্ধান্ত নেয়, সে তার পরিবারের সিদ্ধান্তেই বিয়ে করবে, যদিও পরে জেনেছি, জুন থেকেই সে তার বিয়ের জন্য পাত্রদের সামনে সাজুগুজু করে দেখা করতে থাকে।
জুলাইয়ের ৮ তারিখ বিয়ে হলো, ধার্মিক স্বামী, সরকারী ব্যাংকের চাকরিজীবি পাচওয়াক্ত নামাজ পরে, তাহাজ্জুদ পরে, শুধু আল্লাহ কে বিশ্বাসই করে না, নামাজ পড়তে পড়তে কপালে দাগ ফেলে দিয়েছে, এদিকে অফিস রেকর্ড কোন ফাইল তার কাছ থেকে বিনা উপরি টাকা ছাড়া বের হয় না। আমার ধার্মিক এক্স গার্ল ফ্রেন্ড বিয়ের আগে আমার নাম্বার ব্লক থেকে সপ্তাহখানেক বিয়ের পরে নাম্বার আনব্লক করে হোয়াটসএপে ভিডিও কল দিয়েছিলো, আমি কেটে দিয়ে অডিও কল করি, বললো তার ফেসবুক ডিলিট করে দিয়েছে সে, ফেসবুকে আর আসবে না, তার ধার্মিক স্বামী চায়না সে ফেসবুক চালাক। তারপরে সে আমাকে দারুন অফার দিলো যে আমার মন খারাপ হলে যেন তাকে ফোন দেই মাঝে মধ্যে, জিজ্ঞেস করলাম, তুই কে? তোর সাথে আগে আমার পরিচয় ছিলো? শোন আমি ধার্মিক না, ধর্ম খেলি না, কিন্তু পরকিয়া করি না। তার বক্তব্য, আমরা বন্ধু হয়ে থাকি? বললাল তোর ধর্ম বিশ্বাস, আল্লাহ বিশ্বাস তোকে এই বন্ধুত্ত্ব জায়েজ করার সার্টিফিকেট দিলেও, আমার না ধর্ম বিশ্বাস আমাকে এই সম্পর্ক অনুমোধন দেয় না।
উপরের ঘঠনা আমার সাথে হয়ে যাওয়া ঘঠনা, এক শব্দেও ত্রুটি নাই। আরো অনেক কথা ছিলো যা এড়িয়েছি। কাউকে ছোট করার জন্যেও বলা নয়। বলার উদ্দেশ্য পেইজে কিছু দাড়ি টুপিওয়ালা ও বোরখাওয়ালী এসেছে, লাফাইতাছে, তাদের বলছি সাবধান আমাকে আপনাদের চিনাইয়েন না, আমি আপনাদের এতোই চিনি যে, আপনারাই আপনাদের এতো ভালো করে চিনেন না।
এতএব, পোশাক যার যার রুচি, ধর্ম যার যার বিশ্বাস, নিজের রুচি, নিজের বিশ্বাস নিজেই পালন করুন, কারোর উপরে চাপিয়ে দিয়ে নাস্তিক হাবিজাবি নানান কিছু বইলেন না।