সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, আমাদের জাতীয় জীবনের এমন কোন ক্ষেত্র নেই, যেখানে বঙ্গবন্ধুর ছোঁয়া নেই। বাঙালির রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি কাজ শুরু করেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা প্রভৃতি মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ অর্থনৈতিকভাবে দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনাও গ্রহণ করেন। আমরা যখনই কোন বিষয়ে আইন বা নীতি প্রণয়ন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করি, তখন দেখা যায় বঙ্গবন্ধু ইতোমধ্যে সে বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ বা আইন প্রণয়ন করেছেন। আমাদের যুগের প্রয়োজনে সেটির শুধুমাত্র পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করতে হয়।’
প্রতিমন্ত্রী আজ বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস ২০২১ উপলক্ষে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী ও ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট এর উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু কেন এখনো প্রাসঙ্গিক?’ শীর্ষক বিশেষ ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধু হত্যায় সরাসরি জড়িতদের বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনাকারী ও ক্ষেত্র প্রস্তুতকারীদের সনাক্তকরণসহ বিচারকার্য সম্পন্ন করার জন্য অচিরেই একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ট্রাস্টি সভাপতি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণহত্যা জাদুঘরের উপদেষ্টা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি ও গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি শাহরিয়ার কবির এবং সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গণহত্যা জাদুঘরের উপদেষ্টা এম নজরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সভাপতি ও গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান। সঞ্চালনা করেন গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি সম্পাদক ও বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সাধারণ সম্পাদক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের।