০৭:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলন্ত বাসে ডাকাতি-ধর্ষণ : আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ অগাস্ট ২০২২
  • 42

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় দুজন বিচারক তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।

তিন আসামি হলেন- টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা গৌরস্থান এলাকায় মৃত হারুন অর রশীদের ছেলে রাজা মিয়া, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের আব্দুল আউয়াল এবং কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ধনারচর পশ্চিম পাড়া গ্রামের নুরনবী।

রাজা মিয়া ও আব্দুল আউয়াল টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলম এবং নুরনবী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুমি খাতুনের আদালতে জবানবন্দি দেন।

টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর তানভীর আহমেদ জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করে আরটিভি নিউজকে বলেন, জবানবন্দি শেষে তিনজনকে টাঙ্গাইল কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ডিবি পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাজা মিয়াকে আদালতে তুলে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্ষণের শিকার ওই নারী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন। ওইদিন তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় বলে চিকিৎসকরা জানান।

উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল এক্সপ্রেসের একটি বাস অন্তত ২৪ জন যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জের দিকে রওনা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের একটি হোটেলে খাবারের জন্য বিরতি দেওয়া হয়। সেখান থেকে যাওয়ার পর ৩ দফায় ১০ জন যাত্রী সেজে বাসে উঠেন ডাকালের সদস্যরা। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর আনুমানিক রাত দেড়টার দিকে যাত্রীরা ঘুমানোর এক পর্যায়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের নাটিয়াপাড়া এলাকা পৌঁছালে ডাকাত দলের সদস্যরা অস্ত্র নিয়ে পুরো বাসের নিয়ন্ত্রণ নেন। প্রথমে পুরুষ যাত্রীদেরকে তাদের পোশাক খুলে হাত মুখ বাধা হয়।

অপরদিকে নারী যাত্রীদেরকে বাসের পর্দা ও সিটের কভারখুলে মুখ এবং হাত বেঁধে ফেলা হয়। পরে অস্ত্রের মুখে বাসের চালক ও হেলপারকে জিম্মি করা হয়। টাঙ্গাইলের গোড়াই এলাকা থেকে বাসটিকে ইউর্টান করে এলেঙ্গা হয়ে ময়মনসিংহ রোড ধরে যেতে থাকে। এরই মধ্যে যাত্রীদের কাছে থাকা মোবাইল, টাকা, কানের দুল, হাতের বালা, গলার চেইন লুট করে নেয়া হয়। পরে ৫ থেকে ৬ জন ডাকাত দলবদ্ধভাবে গাড়িতে থাকা এক নারীকে ধর্ষণ করে। রাত সাড়ে

৩টার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালুর ঢিবির কাছে বাসের গতি থামিয়ে পালিয়ে যায়।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতে ৩শ’ রুপির গয়না ৬ কোটিতে বিক্রি করে মার্কিন নারীর সঙ্গে প্রতারণা।

চলন্ত বাসে ডাকাতি-ধর্ষণ : আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

Update Time : ০৮:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ অগাস্ট ২০২২

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় দুজন বিচারক তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।

তিন আসামি হলেন- টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা গৌরস্থান এলাকায় মৃত হারুন অর রশীদের ছেলে রাজা মিয়া, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের আব্দুল আউয়াল এবং কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ধনারচর পশ্চিম পাড়া গ্রামের নুরনবী।

রাজা মিয়া ও আব্দুল আউয়াল টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলম এবং নুরনবী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুমি খাতুনের আদালতে জবানবন্দি দেন।

টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর তানভীর আহমেদ জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করে আরটিভি নিউজকে বলেন, জবানবন্দি শেষে তিনজনকে টাঙ্গাইল কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ডিবি পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাজা মিয়াকে আদালতে তুলে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্ষণের শিকার ওই নারী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন। ওইদিন তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় বলে চিকিৎসকরা জানান।

উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল এক্সপ্রেসের একটি বাস অন্তত ২৪ জন যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জের দিকে রওনা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের একটি হোটেলে খাবারের জন্য বিরতি দেওয়া হয়। সেখান থেকে যাওয়ার পর ৩ দফায় ১০ জন যাত্রী সেজে বাসে উঠেন ডাকালের সদস্যরা। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর আনুমানিক রাত দেড়টার দিকে যাত্রীরা ঘুমানোর এক পর্যায়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের নাটিয়াপাড়া এলাকা পৌঁছালে ডাকাত দলের সদস্যরা অস্ত্র নিয়ে পুরো বাসের নিয়ন্ত্রণ নেন। প্রথমে পুরুষ যাত্রীদেরকে তাদের পোশাক খুলে হাত মুখ বাধা হয়।

অপরদিকে নারী যাত্রীদেরকে বাসের পর্দা ও সিটের কভারখুলে মুখ এবং হাত বেঁধে ফেলা হয়। পরে অস্ত্রের মুখে বাসের চালক ও হেলপারকে জিম্মি করা হয়। টাঙ্গাইলের গোড়াই এলাকা থেকে বাসটিকে ইউর্টান করে এলেঙ্গা হয়ে ময়মনসিংহ রোড ধরে যেতে থাকে। এরই মধ্যে যাত্রীদের কাছে থাকা মোবাইল, টাকা, কানের দুল, হাতের বালা, গলার চেইন লুট করে নেয়া হয়। পরে ৫ থেকে ৬ জন ডাকাত দলবদ্ধভাবে গাড়িতে থাকা এক নারীকে ধর্ষণ করে। রাত সাড়ে

৩টার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালুর ঢিবির কাছে বাসের গতি থামিয়ে পালিয়ে যায়।