আসামি ধরতে গিয়েছিলো পুলিশ। আসামিকে পেয়েও ছিলো। তারপরও ওয়ারেন্টভুক্ত সেই আসামিকে গ্রেপ্তার না করেই ফিরে আসে পুলিশ। এমন অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর পল্লবী থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। আসামি নিজেও স্বীকার করেছেন পুলিশ তাকে ধরলেও গ্রেপ্তার করেনি।
তবে, ওই অভিযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, চিনতে না পারায় আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। রাইড চালক শাহনাজ আক্তার পুতুল। করোনাকালে নিজের বাইকে করে ত্রাণ নিয়ে ছুটে চলা পুতুল এখন ন্যায় বিচারের আশায় ঘুরছেন পথে পথে। তার দাবি, একটি হত্যা চেষ্টা মামলার আসামিকে না ধরে উল্টো তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত পুতুলের মেয়ে পায়েলকে নিয়ে। মীরপুর সাত নম্বর সেক্টরের পাঁচ নম্বর রোডের সেলাই প্রশিক্ষণ নিতো পায়েল। স্থানীয় যুবকরা তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করতো।
এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় গেল ২০ ফেব্রুয়ারি তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। ঘটনার পর পল্লবী থানা কোন মামলা নেয়নি। পরে ৯ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন পুতুল। সেই মামলা তদন্ত করে ২৪ জুলাই অভিযোগপত্র দেয় ডিবি। আসামি করা হয় ১১ জনকে। আসামিদের ধরতে ৭ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। সেই পরোয়ানার আসামি ধরতে মিরপুরে অভিযানে যায় পল্লবী থানা পুলিশ। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সিরাজুল ইসলামকে পেয়েও ছেড়ে দেয় পুলিশ।
আসামি সিরাজুলও স্বীকার করেন, তাকে পেয়েও পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। অন্য আরেক আসামি তছলিমা আক্তার মৌরীর দাবী করেছেন, পুলিশ সেদিন অভিযানে এলেও তার বাসায় যায়নি। অভিযানে থাকা পুলিশ সদস্যরা স্বীকার করেন, স্থানীয়রা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সিরাজকে শনাক্ত করে দিলেও, তারা না চেনার কারণে তাকে গ্রেফতার করেনি।
বাদীর অভিযোগ পুলিশের সহযোগিতায় পরদিনই জামিন পান ওয়ারেন্টভুক্ত সেই আসামী। যে কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এই নারী।