1. [email protected] : নিজস্ব প্রতিবেদক :
  2. [email protected] : rahad :
গ্রাহক পর্যায়ে ৯ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ | JoyBD24
মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০১:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ড. ইউনূসের আত্মসম্মান নেই বলে বিবৃতি ভিক্ষা করছেন’: প্রধানমন্ত্রী। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ফলপ্রসূ হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী বিদেশে থাকা নাগরিকদের জন্যে সীমান্ত পুনরায় খুলে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশ থেকে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিষবৃক্ষকে সমূলে উৎপাটন করতে হবে: ওবায়দুল কাদের। ব্রিকস সম্মেলন শেষে আজ দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী। ডেঙ্গু প্রতিরোধে পানি জমতে না দেওয়া নাগরিক দায়িত্ব : মেয়র তাপস। রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া নিরাপদ নয়: মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করলো নিজ মেয়ে। যমুনা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ এক বৃদ্ধ। এনবিআর নারী কর্মকর্তাকে অপহরণের পেছনে সাবেক স্বামী।

গ্রাহক পর্যায়ে ৯ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৩
গ্রাহক পর্যায়ে ৯ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ

গ্যাস সংকট ও জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে গত জুলাই থেকে কমিয়ে দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। ঘোষণা দিয়ে শুরু করা হয় লোডশেডিং। এর মধ্যে গত ২১ নভেম্বর বিদ্যুতের বাল্ক মূল্যহার প্রায় ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়, যা ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়। এর ফলে লোকসানে পড়তে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানিগুলো। এতে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করে কোম্পানিগুলো।

সূত্র জানায়, গত মাসেই বিদ্যুতের খুচরা মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) জমা দিয়েছে বিতরণকারী ছয় কোম্পানি। গড়ে ১৯ দশমিক ৯২ থেকে ২৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সঞ্চালন চার্জ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পনি। আজ এবং পরের দিন প্রস্তাবগুলোর ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

প্রস্তাবগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। সংস্থাটি গ্রাহক পর্যায়ে গড় মূল্যহার ২৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ তথা এক টাকা ৯০ পয়সা বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। এতে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের গড় দাম বেড়ে দাঁড়াবে ৯ টাকা তিন পয়সা। বর্তমানে এ হার সাত টাকা ১৩ পয়সা। পাশাপাশি ডিমান্ড চার্জ ও পোস্ট পেইড গ্রাহকদের জামানত বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। এছাড়া সকল থ্রি ফেজ এলটি গ্রাহকদের জন্য পাওয়ার ফ্যাক্টর সারচার্জ আরোপসহ আরও কিছু প্রস্তাব করেছে।

এদিকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জন্য ২০ দশমিক ২৯ শতাংশ বা এক টাকা ৩৫ পয়সা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। আর ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) গড় মূল্যহার ২০ শতাংশ এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) ও নদার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) বাল্ক মূল্য বৃদ্ধির অনুপাতে গ্রাহক পর্যায়ে অর্থাৎ ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে।

যদিও বিদ্যুতের এ দাম বৃদ্ধির উদ্যোগকে অযৌক্তিক বলে মনে করছেন ভোক্তা সংগঠন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম। তিনি  বলেন, বিদ্যুৎ খাতে ‘অযৌক্তিক’ ব্যয় না কমিয়ে সরকার জনগণের ব্যয়ভার বাড়িয়ে দিয়েছে। বরাবরই গতানুগতিক ঐকিক নিয়মে বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাস করার প্রতি নির্দেশনা থাকে না। এ খাতে অযৌক্তিক ব্যয় সমন্বয় করা হলে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির দরকার হতো না। এছাড়া কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে প্রয়োজন না থাকলেও বসিয়ে বসিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ অর্থ দেয়া হচ্ছে। এ কারণেই পিডিবির ঘাটতি বাড়ছে। এ ধরনের কাজের দায়ভার চাপানো হচ্ছে জনগণের ওপর।

তথ্যমতে, আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১০ সাল থেকে গ্রাহক পর্যায়ে ৯ বার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১০ সালের মার্চে প্রথম বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়। সে সময় বিদ্যুতের গড় দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৩ টাকা ৯২ পয়সা। পরের বছর (২০১১ সাল) গ্রাহক পর্যায়ে দুই দফা বাড়ানো হয় বিদ্যুতের দাম। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে বাড়ানো হয় ৫ শতাংশ ও ডিসেম্বরে ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। এতে বিদ্যুতের গড় দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৪ টাকা ৬৭ পয়সা।

২০১২ সালেও খুচরা বিদ্যুতের দাম দুই দফা বাড়ানো হয়। এর মধ্যে মার্চে বাড়ে ৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ ও সেপ্টেম্বরে ১৫ শতাংশ। এতে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে বিদ্যুতের গড় মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ৫ টাকা ৭৫ পয়সা। এরপর ২০১৪ সালের মার্চে বিদ্যুতের দাম ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বাড়িয়ে করা হয় ৬ টাকা ১৫ পয়সা। আর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে তা ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়ে হয় ৬ টাকা ৩৩ পয়সা।

এদিকে ২০১৭ সালে ডিসেম্বরে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানো হয়। সে সময় বিদ্যুতের গড় মূল্যহার ৬ টাকা ৮৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ওইবারই প্রথম বিদ্যুৎ বিতরণকারী সব কোম্পানির জন্য অভিন্ন মূল্যহার নির্ধারণ করা হয়। এতে ঢাকার চেয়ে বেশি গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতের দাম বেশি হারে বাড়ে। এর প্রভাবে গড় মূল্যহার কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়িয়েছিল গড়ে ৬ টাকা ৭৭ পয়সা। আর সর্বশেষ ২০২০ সালের মার্চে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের গড় মূল্যহার ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এতে গড় মূল্যহার দাঁড়ায় ৭ টাকা ১৩ পয়সা।

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির চিত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্রাহক পর্যায়ে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের গড় মূল্য ছিল ৩ টাকা ৭৩ পয়সা। ২০২০ সালের মার্চে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ১৩ পয়সা। অর্থাৎ ১০ বছরে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৩ টাকা ৪০ পয়সা বা ৯১ দশমিক ১৫ শতাংশ।

২০২০ সালের মার্চে বর্ধিত মূল্যহার কার্যকরের ফলে সাধারণ গ্রাহকদের ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম বেড়ে হয় ৪ টাকা ১৯ পয়সা। এছাড়া ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিটের জন্য ৫ টাকা ৭২ পয়সা, ২০১ থেকে ৩০০ পর্যন্ত ইউনিটের জন্য ৬ টাকা ও ৩০১ থেকে ৪০০ পর্যন্ত ইউনিটের জন্য ৬ টাকা ৩৪ পয়সা হারে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হয়। আর ৪০১ থেকে ৬০০ পর্যন্ত ইউনিটের জন্য ৯ টাকা ৯৪ পয়সা ও ৬০০ ইউনিটের ওপরে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের প্রতি ইউনিটে ১১ টাকা ৪৬ পয়সা হারে বিল গুনতে হয়।

যদিও ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত ২ টাকা ৫০ পয়সা, ১০১ থেকে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত তিন টাকা ১৫ পয়সা ও ৪০০ ইউনিটের ওপরে পাঁচ টাকা ২৫ পয়সা হারে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হতো। পরের মাসে (মার্চে) তা বাড়িয়ে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত দুই টাকা ৬০ পয়সা, ১০১ থেকে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত তিন টাকা ৩০ পয়সা ও ৪০০ ইউনিটের ওপরে পাঁচ টাকা ৬৫ পয়সা করা হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2012 joybd24
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Joybd24