০৩:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪, ৮ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গ্যাস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির বি‌ক্ষোভ সমা‌বেশে

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৫৩:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২
  • 35

গ্যাস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির বি‌ক্ষোভ সমা‌বেশে

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন  বলেছেন, ‌নিত্য প্রয়োজনীয় চাল, ডাল, তেলসহ পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার প্রধান বলেছিল ক্ষমতায় আসলে ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। ২০০৬ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতা ছাড়ে তখন চালের কেজি ছিল ১৬ থেকে ১৮ টাকা। কোথায় সে ১০ টাকা কেজির চাল? আওয়ামী লীগ সরকার এদেশের মানুষের সাথে প্রতারণা করছে।

বুধবার (৯ মার্চ) বিকালে নগরীর কাজীর দেউরীর নাসিমন ভবন মাঠে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মোটা চালের দাম বর্তমানে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। বিএনপির আমলে চিকন চালের দাম ছিল ২২ টাকা যা বর্তমানে ৮০ টাকা। সয়াবিন তেলের দাম ছিল লিটার প্রতি ৪৪ টাকা, বর্তমানে দাম হলো ২০০ টাকা। গরুর গোশতের দাম ছিল কেজি প্রতি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, যা বর্তমানে ৭০০ টাকা। মসুর ডালের দাম ছিল কেজি প্রতি ৪৫ টাকা, যা বর্তমানে ১৩০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল কেজি প্রতি ৫৫ টাকা, এখন ১৭৫ টাকা। গুঁড়ো দুধ ছিল কেজি প্রতি ২৮৫ থেকে ৩৪৫ টাকা, যা বর্তমানে ৬৫০ টাকা। পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা, যা বর্তমানে ৫৫ টাকা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আজকে বাংলাদেশকে এমন এক অবস্থানে নিয়ে গেছে যে মানুষ আর বাঁচার উপায় খুঁজে পাচ্ছে না। বেঁচে থাকার জন্য যে ন্যূনতম খাবার প্রয়োজন সেটাও কিনতে পারছে না। আওয়ামী লীগ সরকার যতবার ক্ষমতায় এসেছে তারা মানুষের স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির একমাত্র কারণ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও নেতাদের দুর্নীতি। আওয়ামী মাফিয়া সিন্ডিকেটের কারণে দেশ আজ দুর্ভিক্ষের কবলে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য সরকারের সিন্ডিকেট দায়ী। এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের দুর্নীতির কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সকলের নাভিশ্বাস উঠেছে। টিসিবির লাইনে বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত। মধ্যবিত্ত মানুষ দরিদ্র হয়েছে। হাজার কোটি টাকা আওয়ামী সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রতি বছর পাচার করছে। তাদের জন্য আবার সংসদে দায়মুক্তি আইন করা হয়েছে। এই সরকার দেশে বিদেশে হাইব্রিড সরকার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের সুনাম ফিরিয়ে আনতে হলে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এজন্য আন্দোলন প্রয়োজন। সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই এলপি গ্যাসের দাম বেড়েছে। এক মাস না গড়াতেই আবারও ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হলো। এই পর্বে প্রতি কেজির এলপিজির দাম বাড়ানো হয়েছে ১২ টাকা ৫৪ পয়সা। ১২ কেজির সিলিন্ডার ১ হাজার ২৪০ টাকার বদলে নতুন দাম অনুযায়ী ভোক্তাদেরকে কিনতে হবে ১ হাজার ৩৯০ টাকায়। অর্থাৎ ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম বেড়ে গেল ১৫০ টাকা ৫৬ পয়সা। এর আগে গত ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে প্রতিকেজি এলপিজি ৯৮ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০৩ টাকা ৩৪ পয়সা করা হয়েছিল। মাস না পেরুতেই আবারও দাম বৃদ্ধির ঘোষণা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের যখন নাভিশ্বাস ওঠছে, তখন এলপিজির এই দাম বৃদ্ধি অনেকটা মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি এবিএম পারভেজ রেজা বলেন, নিত্যপণ্যের বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকারের দুর্নীতির কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। বাজারের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট তৈরি করা হয়েছে। তারা কৃত্রিমভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই। চরম দুর্নীতির প্রভাব বাজারে গিয়ে পড়ছে।

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সভাপতি শওকত আজম খাজা, সহ-সাধারণ সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন জনি।

বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. মোরসালিন, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি মো. সিরাজ উদ্দিন, আবু ইউসুফ, খায়রুল আলম দিপু, মুজিবুর রহমান, মো. আসলাম, হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান, মঈনুদ্দিন রাশেদ, হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক নুরুল হুদা সোহেল, দক্ষিণ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ফৌজুল কবির ফজু প্রমুখ।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

গ্যাস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির বি‌ক্ষোভ সমা‌বেশে

Update Time : ১১:৫৩:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন  বলেছেন, ‌নিত্য প্রয়োজনীয় চাল, ডাল, তেলসহ পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার প্রধান বলেছিল ক্ষমতায় আসলে ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। ২০০৬ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতা ছাড়ে তখন চালের কেজি ছিল ১৬ থেকে ১৮ টাকা। কোথায় সে ১০ টাকা কেজির চাল? আওয়ামী লীগ সরকার এদেশের মানুষের সাথে প্রতারণা করছে।

বুধবার (৯ মার্চ) বিকালে নগরীর কাজীর দেউরীর নাসিমন ভবন মাঠে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মোটা চালের দাম বর্তমানে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। বিএনপির আমলে চিকন চালের দাম ছিল ২২ টাকা যা বর্তমানে ৮০ টাকা। সয়াবিন তেলের দাম ছিল লিটার প্রতি ৪৪ টাকা, বর্তমানে দাম হলো ২০০ টাকা। গরুর গোশতের দাম ছিল কেজি প্রতি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, যা বর্তমানে ৭০০ টাকা। মসুর ডালের দাম ছিল কেজি প্রতি ৪৫ টাকা, যা বর্তমানে ১৩০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল কেজি প্রতি ৫৫ টাকা, এখন ১৭৫ টাকা। গুঁড়ো দুধ ছিল কেজি প্রতি ২৮৫ থেকে ৩৪৫ টাকা, যা বর্তমানে ৬৫০ টাকা। পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা, যা বর্তমানে ৫৫ টাকা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আজকে বাংলাদেশকে এমন এক অবস্থানে নিয়ে গেছে যে মানুষ আর বাঁচার উপায় খুঁজে পাচ্ছে না। বেঁচে থাকার জন্য যে ন্যূনতম খাবার প্রয়োজন সেটাও কিনতে পারছে না। আওয়ামী লীগ সরকার যতবার ক্ষমতায় এসেছে তারা মানুষের স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির একমাত্র কারণ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও নেতাদের দুর্নীতি। আওয়ামী মাফিয়া সিন্ডিকেটের কারণে দেশ আজ দুর্ভিক্ষের কবলে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য সরকারের সিন্ডিকেট দায়ী। এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের দুর্নীতির কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সকলের নাভিশ্বাস উঠেছে। টিসিবির লাইনে বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত। মধ্যবিত্ত মানুষ দরিদ্র হয়েছে। হাজার কোটি টাকা আওয়ামী সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রতি বছর পাচার করছে। তাদের জন্য আবার সংসদে দায়মুক্তি আইন করা হয়েছে। এই সরকার দেশে বিদেশে হাইব্রিড সরকার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের সুনাম ফিরিয়ে আনতে হলে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এজন্য আন্দোলন প্রয়োজন। সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই এলপি গ্যাসের দাম বেড়েছে। এক মাস না গড়াতেই আবারও ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হলো। এই পর্বে প্রতি কেজির এলপিজির দাম বাড়ানো হয়েছে ১২ টাকা ৫৪ পয়সা। ১২ কেজির সিলিন্ডার ১ হাজার ২৪০ টাকার বদলে নতুন দাম অনুযায়ী ভোক্তাদেরকে কিনতে হবে ১ হাজার ৩৯০ টাকায়। অর্থাৎ ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম বেড়ে গেল ১৫০ টাকা ৫৬ পয়সা। এর আগে গত ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে প্রতিকেজি এলপিজি ৯৮ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০৩ টাকা ৩৪ পয়সা করা হয়েছিল। মাস না পেরুতেই আবারও দাম বৃদ্ধির ঘোষণা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের যখন নাভিশ্বাস ওঠছে, তখন এলপিজির এই দাম বৃদ্ধি অনেকটা মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি এবিএম পারভেজ রেজা বলেন, নিত্যপণ্যের বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকারের দুর্নীতির কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। বাজারের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট তৈরি করা হয়েছে। তারা কৃত্রিমভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই। চরম দুর্নীতির প্রভাব বাজারে গিয়ে পড়ছে।

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সভাপতি শওকত আজম খাজা, সহ-সাধারণ সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন জনি।

বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. মোরসালিন, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি মো. সিরাজ উদ্দিন, আবু ইউসুফ, খায়রুল আলম দিপু, মুজিবুর রহমান, মো. আসলাম, হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান, মঈনুদ্দিন রাশেদ, হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক নুরুল হুদা সোহেল, দক্ষিণ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ফৌজুল কবির ফজু প্রমুখ।