গ্যাস চুরি ঠেকাতে জোনভিত্তিক মিটার বসিয়েছে পেট্রোবাংলা। পেট্রোবাংলার মনিটরিংয়ের আওতায় আসা এসব মিটারে কী পরিমাণ গ্যাস বৈধভাবে খরচ হচ্ছে এবং কী পরিমাণ অবৈধভাবে যাচ্ছে বা সিস্টেম লস হচ্ছে, তা জানা যাবে। এসব মিটার বসানোর কাজ শেষ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়ে পেট্রোবাংলার কর্মকর্তা জানান, মিটারগুলো চালু হলে সংশ্লিষ্ট জোনগুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানো ও সিস্টেম লস কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। কোন জোনে গ্যাসের ব্যবহার কী পরিমাণ হচ্ছে, তা উঠে আসবে। ব্যবহারের সঙ্গে বৈধ গ্রাহকের গ্যাস ব্যবহারের পরিমাণ হিসাব করলেই কী পরিমাণ চুরি হচ্ছে, তাও জানা সহজ হয়ে যাবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই হিসাবে গত জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে সিস্টেম লসের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট। জোনভিত্তিক এসব মিটার বসানোয় গ্যাস চুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে। এটা করতে পারলে বছরে এক লাখ তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকার মতো সাশ্রয় হবে দেশের।
পেট্রোবাংলা জানায়, প্রকৃত সিস্টেম লস বাদ দিলে দৈনিক চুরি যাওয়া গ্যাসের পরিমাণ হচ্ছে ১৮০-২০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এ হিসাবে মাসে প্রায় ছয় হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চুরি হচ্ছে। স্পট মার্কেটের এলএনজির মূল্যের (ঘনমিটার ৫০ টাকা আমদানি শুল্কসহ) চুরি যাওয়া গ্যাসের টাকার অঙ্কে দাঁড়ায় ৩৪৫ কোটি টাকা, যা বছরে এক লাখ তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকাতে গিয়ে ঠেকে।
টাকার হিসেবে এতো বড় অঙ্কে নড়েচড়ে বসে পেট্রোবাংলা। উদ্যোগ নেয় সিস্টেম লসের রেশ টেনে ধরতে।