রাজধানীর উত্তরায় গার্ডার দুঘটনার প্রাথমিক তদন্তে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির বিষয়টি উঠে এসেছে। এ ঘটনায় গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী শাস্তির ক্ষেত্রে কোনো আপত্তি থাকবে না বলে জানিয়েছেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সঙ্গে সাক্ষাতে চীনের রাষ্ট্রদূত এ কথা জানান।
এ সময় লি জিমিং গার্ডার দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
ঢাকা বিআরটি প্রকল্পের সড়ক ও জনপথ অংশের নির্মাণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল তদন্তের জন্য এরইমধ্যে চীন থেকে বাংলাদেশে পৌঁছেছে বলেও জানান তিনি। এই প্রতিনিধি দলটি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটিকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে তৈরি আছে।
গত সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকালে উত্তরায় প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে পড়ে প্রাইভেটকারের পাঁচ যাত্রী নিহত হন। ওই গাড়িতে থাকা নবদম্পতি গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান। হতাহতরা ঢাকায় একটি বউভাতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন।
রাজধানীর উত্তরার যেখানে গার্ডার পড়ে পাঁচজন নিহত হয়েছেন, বিআরটির সেই অংশের ঠিকাদার চায়না গেঝুবা গ্রুপ কোম্পনি লিমিটেড। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) অধীনে এ অংশের কাজ চলছে। সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) অধীনে বিআরটির উড়াল অংশের ঠিকাদার চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান জিয়াংশু প্রভিন্সিয়াল ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পথে বিশেষ লেনের মাধ্যমে বাস চলাচলের জন্য বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলছে।
প্রকল্প-সংক্রান্ত নথি অনুসারে, ২০১২ সালে নেয়া বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণকাজ চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে উড়ালপথ ও সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব পালন করছে তিনটি চীনা কোম্পানি। এগুলো হচ্ছে চায়না গেজহুবা গ্রুপ, জিয়াংশু প্রভিনশিয়াল ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ এবং ওয়েহেই ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেটিভ।
আর গাজীপুরে ডিপো নির্মাণের দায়িত্বে ছিল দেশীয় কোম্পানি সেল-ইউডিসি। এদের কাজ আগেই শেষ হয়েছে। তবে চীনের তিনটি কোম্পানির কাজ চলছে।