আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে, উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে, অর্জনকে বাঁচাতে হলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।
আজ রবিবার বিকেলে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম নগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এ জনসভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ‘এখন যুদ্ধ আর নিষেধাজ্ঞার কারণে আমরা কিছুটা বিপদে আছি। এই বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন শেখ হাসিনা। তিনি সারারাত ঘুমান না, জেগে থাকেন। ফখরুল সাহেব বলেন, সরকারের ঘুম নষ্ট হয়ে গেছে। সরকারের ঘুম নষ্ট হয়নি, ঘুম নষ্ট শেখ হাসিনার। দেশের মানুষের জন্য, মানুষকে বাঁচানোর জন্য, গরিব মানুষকে বাঁচানোর জন্য, দুঃখী মানুষকে বাঁচানোর জন্য শেখ হাসিনাকে রাত জাগতে হয়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমীর খসরু সাহেব, নোমান সাহেব, মীর নাসির সাহেব শুনুন, ফখরুল না হয় দেখছেন না, ফখরুলকে বলেছি কান পেতে শুনুন মহাসাগরের গর্জন। আপনি শুনতে পাচ্ছেন? আপনি শুনতে না পেলে আমীর খসরু সাহেব, নোমান সাহেব ও মীর নাসির সাহেব আজ দেখুন চট্টগ্রামের কী অবস্থা। দেখেছেন? দেখে যান ফখরুল সাহেব, আমীর খসরু সাহেব। এখানে দাঁড়িয়ে বড় বড় কথা বলেছিলেন। কত লোক হয়েছে। বিএনপির আটটি সমাবেশের সমান লোক হয়েছে পলোগ্রাউন্ডে। শেখ হাসিনার জনসভায় এখানে যতো লোক হয়েছে তা বিএনপির জনসভার আটগুণ বেশি। গোটা চট্টগ্রাম আজকে মিছিলের নগরী। মহাসমাবেশ নয়, মহাসমুদ্র। কর্ণফুলীর সব ঢেউ আজ পলোগ্রাউন্ডে, বঙ্গোপসাগরের সব ঢেউ আজ চট্টগ্রাম শহরে। দেখে যান জনপ্রিয়তা কাকে বলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের গত ৪৭ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে সৎ রাজনীতিক, জনপ্রিয় নেতা, দক্ষ প্রশাসক, সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। যিনি মৃত্যুর মিছিলের ওপর দাঁড়িয়ে জীবনের জয়গান গান, যিনি ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা ওড়ান, তিনি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা। শেখ হাসিনা সাফ্যল্যের সঙ্গে করোনা মোকাবিলা করেছেন। তিনি বাংলাদেশের আজকের ক্রাইসিসের ট্রাবল শুটার।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খেলা হবে। ডিসেম্বরে খেলা হবে। তাদের (বিএনপির) সমাবেশের কারণে ছাত্রলীগের সম্মেলন ৬ ডিসেম্বর নিয়ে এসেছেন নেত্রী। পরিবহনকে বলে দিয়েছেন নো ধর্মঘট। এরপরও এক সপ্তাহ আগে থেকে কাঁথা-বালিশ-কম্বল নিয়ে চলে আসছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। কয়েল জ্বালিয়ে তাঁবু টানিয়ে শুয়ে আছেন।’
Leave a Reply