এশিয়ার ক্রেতাদের জন্য তেলের রেকর্ড দাম বাড়িয়েছে সৌদি আরব। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত তেল উত্তোলন ও বিপণন কোম্পানি সৌদি আরামকো এ ঘোষণা দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরের সরবরাহ মূল্য প্রতি ব্যারেলে ৯ দশমিক ৮০ ডলার বাড়ানো হয়েছে।
ব্যবসাভিত্তিক বিশ্বের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত আগস্টের চেয়ে যা ৫০ সেন্ট বেশি। এর আগে এশীয় ক্রেতাদের জন্য কখনও তেলের এত দাম বাড়ায়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ। অবশ্য এবার আরও দর বাড়ার আশঙ্কায় ছিলেন ব্যবসায়ী ও পরিশোধনকারীরা।
গতকাল বুধবার (৩ আগস্ট) বৈঠক করে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংস্থা এবং তাদের মিত্রদের জোট ওপেক প্লাস। সেখানে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে স্বল্প হারে তেল উত্তোলন বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় তারা। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক মাসের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় এ পদক্ষেপ নেয় রাশিয়া-সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটটি। এরপরই জ্বালানি পণ্যটির দাম বাড়ানোর কথা জানালো সৌদি আরব।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিশ্ববাজারে তেলের দাম সামান্য বেড়েছে। ব্রেন্ট ক্রুডের সরবরাহ মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৬ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ। প্রতি ব্যারেল বিক্রি হচ্ছে ৯৭ দশমিক ১৪ ডলারে।
আর ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) ভবিষ্যত সরবরাহ মূল্য বেড়েছে ৪৩ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ। প্রতি ব্যারেল বিক্রি হচ্ছে ৯১ দশমিক শূন্য ৯ ডলারে।
ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ শুরু করলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ওঠে ১৩০ ডলারে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কার মধ্যে জ্বালানি পণ্যটির দর কমতে থাকে।
বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব। তবে নিজেদের অধিকাংশ অপরিশোধিত তেল এশিয়ায় বিক্রি করে তারা। বিশ্ববাজারে অতি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম ওঠা-নামার সঙ্গে মাসিক ভিত্তিতে মূল্য কমায় ও বাড়ায় দেশটি।
Leave a Reply