০২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘কাশ্মীরের জন্য সঙ্গীত’ শর্ট ফিল্ম নিষিদ্ধ করেছে ভারত,

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:২৪:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০২২
  • 29

ভারতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করার অনুশীলন অব্যাহত রেখেছে মোদি সরকার। ইউটিউবকে ভারতে নয় মিনিটের একটি শর্ট ফিল্ম ‘কাশ্মীরের জন্য অ্যানথেম’ নিষিদ্ধ করতে রাজি করেছে দেশটি। ভারত কতৃক অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে জোরপূর্বক গুম এবং এনকাউন্টারে মানুষ হত্যার কথা তুলে ধরা হয় ওই শর্ট ফিল্মে। -ট্রিবিউন, দ্য হিন্দু, ডেইলি পাকিস্তান

ভারত সরকারের অভিযোগের পর, ইউটিউব ভারতে দর্শকদের জন্য শর্ট ফিল্মটি জিও-ব্লক করেছে। ইউটিউব লিগ্যাল সাপোর্ট টিমের পক্ষ থেকে চলচ্চিত্র নির্মাতা সন্দীপ রবীন্দ্রনাথকে পাঠানো একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, তারা ভিডিওটি ব্লক করার জন্য ভারত সরকারের কাছ থেকে একটি নোটিশ পেয়েছে। ভারতীয় মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময় সন্দীপ বলেন, তিনি এটাকে পরিহাসপূর্ণ মনে করেছেন যে, একটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র কয়েক মিনিটের ভিডিও ক্লিপ এবং কলমের শক্তিতে বিচলিত হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সমাজকর্মী ও বুদ্ধিজীবীদের উপর সাম্প্রতিক সরকারী ক্র্যাকডাউনের একটি নমুনা রয়েছে ওই শর্ট ফিল্মে।

তিনি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য হলো, প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরকে থামিয়ে দেয়া। যা রাজনীতি, নীতি-নির্ধারণ, শাসন এবং মূলত রাষ্ট্রের কাঠামো এবং নৈতিকতা সম্পর্কিত মূল বিষয়গুলোর একতরফা আলোচনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট ২০১৯ এর পরে আইআইওজেকে-তে ক্র্যাকডাউন তাকে মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিকৃত উপত্যকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয়। তিনি বলেছিলেন, শর্ট ফিল্মটির লক্ষ্য এবং প্রেরণা ছিল “আজকের কাশ্মীরের সত্য” তুলে ধরার চেষ্টা করা। ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটিজ অফ ইন্ডিয়া (এফএফএসআই), কেরালা অঞ্চল স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের উপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ ও নিন্দা করেছে।

এফএফএসআই সভাপতি চেলাভুরভেনু বলেছেন, ফিল্মটি আইআইওজেকে-এর বাস্তব অবস্থার একটি জানালা খুলে দেয়। ছবিটি কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী গ্রামের নীরব কান্নার চিত্র তুলে ধরেছে, যেখানে সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইন বলবৎ রেখেছে। শর্ট ফিল্মটির মাধ্যমে, চলচ্চিত্র নির্মাতা “দ্য কাশ্মীর ফাইলস” এর মতো চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, যেখানে আইআইওজেকে মুসলমানদের ভিলেন করার চেষ্টা করার জন্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

‘কাশ্মীরের জন্য সঙ্গীত’ শর্ট ফিল্ম নিষিদ্ধ করেছে ভারত,

Update Time : ১১:২৪:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০২২

ভারতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করার অনুশীলন অব্যাহত রেখেছে মোদি সরকার। ইউটিউবকে ভারতে নয় মিনিটের একটি শর্ট ফিল্ম ‘কাশ্মীরের জন্য অ্যানথেম’ নিষিদ্ধ করতে রাজি করেছে দেশটি। ভারত কতৃক অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে জোরপূর্বক গুম এবং এনকাউন্টারে মানুষ হত্যার কথা তুলে ধরা হয় ওই শর্ট ফিল্মে। -ট্রিবিউন, দ্য হিন্দু, ডেইলি পাকিস্তান

ভারত সরকারের অভিযোগের পর, ইউটিউব ভারতে দর্শকদের জন্য শর্ট ফিল্মটি জিও-ব্লক করেছে। ইউটিউব লিগ্যাল সাপোর্ট টিমের পক্ষ থেকে চলচ্চিত্র নির্মাতা সন্দীপ রবীন্দ্রনাথকে পাঠানো একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, তারা ভিডিওটি ব্লক করার জন্য ভারত সরকারের কাছ থেকে একটি নোটিশ পেয়েছে। ভারতীয় মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময় সন্দীপ বলেন, তিনি এটাকে পরিহাসপূর্ণ মনে করেছেন যে, একটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র কয়েক মিনিটের ভিডিও ক্লিপ এবং কলমের শক্তিতে বিচলিত হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সমাজকর্মী ও বুদ্ধিজীবীদের উপর সাম্প্রতিক সরকারী ক্র্যাকডাউনের একটি নমুনা রয়েছে ওই শর্ট ফিল্মে।

তিনি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য হলো, প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরকে থামিয়ে দেয়া। যা রাজনীতি, নীতি-নির্ধারণ, শাসন এবং মূলত রাষ্ট্রের কাঠামো এবং নৈতিকতা সম্পর্কিত মূল বিষয়গুলোর একতরফা আলোচনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট ২০১৯ এর পরে আইআইওজেকে-তে ক্র্যাকডাউন তাকে মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিকৃত উপত্যকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয়। তিনি বলেছিলেন, শর্ট ফিল্মটির লক্ষ্য এবং প্রেরণা ছিল “আজকের কাশ্মীরের সত্য” তুলে ধরার চেষ্টা করা। ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটিজ অফ ইন্ডিয়া (এফএফএসআই), কেরালা অঞ্চল স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের উপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ ও নিন্দা করেছে।

এফএফএসআই সভাপতি চেলাভুরভেনু বলেছেন, ফিল্মটি আইআইওজেকে-এর বাস্তব অবস্থার একটি জানালা খুলে দেয়। ছবিটি কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী গ্রামের নীরব কান্নার চিত্র তুলে ধরেছে, যেখানে সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইন বলবৎ রেখেছে। শর্ট ফিল্মটির মাধ্যমে, চলচ্চিত্র নির্মাতা “দ্য কাশ্মীর ফাইলস” এর মতো চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, যেখানে আইআইওজেকে মুসলমানদের ভিলেন করার চেষ্টা করার জন্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়।