০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেলো।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২
  • 20

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮৮৪ জনের। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেলো।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ৮৮০টি ল্যাবে ৯ হাজার ১০টি নমুনা পরীক্ষা করে এই ৮৮৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। একই সাথে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টার ৬ জন নিয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হলো ২৯ হাজার ২৫৬ জনের। আর নতুন শনাক্ত ৮৮৪ জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত দেশে মোট করোনা রোগীর শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ২৭৯ জনে।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরো ১ হাজার ৬০২ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলো ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৯৪ জন।

সংক্রমণ কমার ধারায় গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। তবে গত ২২ মের পর থেকে প্রায় দুই মাস ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারো বাড়ছে।

এর ফলে সারা দেশে দোকান, শপিংমল, বাজার, ক্রেতা-বিক্রেতা, হোটেল রেস্টুরেন্টে সবাইকে আবারো বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরাসহ ৬টি নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। গত ২৮ জুন এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।

দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে বিশ্বে ছড়াতে শুরু করে করোনার অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রন। তখন দেশে রোগী শনাক্তের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুও বাড়তে থাকে।

এ বছর ফেব্রুয়ারি থেকে আবার নামতে শুরু করে করোনা রোগীর সংখ্যা। যদিও জানুয়ারির শেষ দিকে শনাক্তের হার কিছুটা কমে ৩০ শতাংশের নিচে নামে। ওমিক্রন আতঙ্ক কিছুটা কাটিয়ে দেশে কয়েক দিন ধরে শনাক্তের সংখ্যা কমতে শুরু করে।

এর আগে, ওমিক্রন আতঙ্কের শুরুর দিকে দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে শনাক্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছিল। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সরকার। তবে ধীরে ধীরে সেসব বিধিনিষেধ তুলে নেয় সরকার।

গত বছরের মাঝামাঝি করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে দেশে করোনায় মৃত্যু, রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তবে আগস্টে দেশব্যাপী করোনার গণটিকা দেয়ার পর সংক্রমণ কমতে থাকে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেলো।

Update Time : ০৬:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮৮৪ জনের। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেলো।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ৮৮০টি ল্যাবে ৯ হাজার ১০টি নমুনা পরীক্ষা করে এই ৮৮৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। একই সাথে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টার ৬ জন নিয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হলো ২৯ হাজার ২৫৬ জনের। আর নতুন শনাক্ত ৮৮৪ জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত দেশে মোট করোনা রোগীর শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ২৭৯ জনে।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরো ১ হাজার ৬০২ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলো ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৯৪ জন।

সংক্রমণ কমার ধারায় গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। তবে গত ২২ মের পর থেকে প্রায় দুই মাস ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারো বাড়ছে।

এর ফলে সারা দেশে দোকান, শপিংমল, বাজার, ক্রেতা-বিক্রেতা, হোটেল রেস্টুরেন্টে সবাইকে আবারো বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরাসহ ৬টি নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। গত ২৮ জুন এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।

দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে বিশ্বে ছড়াতে শুরু করে করোনার অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রন। তখন দেশে রোগী শনাক্তের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুও বাড়তে থাকে।

এ বছর ফেব্রুয়ারি থেকে আবার নামতে শুরু করে করোনা রোগীর সংখ্যা। যদিও জানুয়ারির শেষ দিকে শনাক্তের হার কিছুটা কমে ৩০ শতাংশের নিচে নামে। ওমিক্রন আতঙ্ক কিছুটা কাটিয়ে দেশে কয়েক দিন ধরে শনাক্তের সংখ্যা কমতে শুরু করে।

এর আগে, ওমিক্রন আতঙ্কের শুরুর দিকে দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে শনাক্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছিল। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সরকার। তবে ধীরে ধীরে সেসব বিধিনিষেধ তুলে নেয় সরকার।

গত বছরের মাঝামাঝি করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে দেশে করোনায় মৃত্যু, রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তবে আগস্টে দেশব্যাপী করোনার গণটিকা দেয়ার পর সংক্রমণ কমতে থাকে।