০৪:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪, ১০ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারকে বিশ্বের শীর্ষ সি বিচ ও বিমানবন্দরে রূপান্তর করা হবে: প্রধানমন্ত্রী।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৪২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১
  • 28

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজারকে বিশ্বের শীর্ষ সি বিচ ও বিমানবন্দরে রূপান্তর করা হবে। বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে যেন এখানে বিমান নামতে পারে, সে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের দীর্ঘতম কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধনকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

রোববার (২৯ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কক্সবাজার হবে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সৈকত (সি-বিচ), পর্যটনকেন্দ্র ও অত্যন্ত আধুনিক শহর। সেভাবে পুরো কক্সবাজারকে উন্নত সমৃদ্ধ করবো।’

তিনি বলেন, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বালুকাময় সমুদ্রসৈকতে বিদেশি পর্যটকদের জন্য ‘স্পেশাল জোন’ করা হবে। যেখানে শুধু বিদেশিরা আসতে ও যেতে পারবেন। তারা যেন তাদের মতো করে সবকিছু উপভোগ করতে পারেন সে ব্যবস্থা করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোখলেছুর রহমান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ।

এছাড়া অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের সংসদ সদস্যগণ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, বর্তমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নয় হাজার ফুট দীর্ঘ একটি রানওয়ে রয়েছে। এটি ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত করার কাজ চলছে। এর মধ্যে এক হাজার ৩০০ ফুট থাকবে সমুদ্রের মধ্যে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের মহেশখালী চ্যানেলের দিকে জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সম্প্রসারিত হচ্ছে এই রানওয়ে।

বিমানবন্দরটির প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে নতুন ১০ হাজার ৭০০ ফুট রানওয়ে হবে। যার ফলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের বোইং ৭৭৭ ও ৭৪ এর মতো বড় আকারের বিমানগুলো এই বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারবে এবং এর ফলে এখানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করার পথ সুগম হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির সফল বাস্তবায়ন এ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে দেশের ৪র্থ আন্তর্জাতিক এই বিমান বন্দর যাত্রা শুরু করবে। যেখানে ঢাকা বিনানবন্দরের রানওয়ে ১০ হাজার ৫০০ ফিট। আর কক্সবাজার বিমান বন্দরের রানওয়ে হবে ১০ হাজার ৭০০ ফিট।

বিশ্ব পর্যটকদের কাছে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের ওপর হাত দিয়েছে সরকার। কক্সবাজারকে পর্যটন রাজধানী কাগজে-কলমে না রেখে বাস্তবে রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে বেশকিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

বিমান বন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণের সম্প্রসারণ ও শক্তি বৃদ্ধি, এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড, লাইটিং সিস্টেম স্থাপনসহ বেশকিছু কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এখনো চলমান রয়েছে অনেকগুলো কাজ। দেশে প্রথমবারের মতো কক্সাজার সমুদ্রবক্ষে নির্মাণ করা রানওয়ের খরচ হিসেব ধরা হয়েছে ১৫শ’ ৬৯ কোটি টাকা।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

কক্সবাজারকে বিশ্বের শীর্ষ সি বিচ ও বিমানবন্দরে রূপান্তর করা হবে: প্রধানমন্ত্রী।

Update Time : ০১:৪২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজারকে বিশ্বের শীর্ষ সি বিচ ও বিমানবন্দরে রূপান্তর করা হবে। বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে যেন এখানে বিমান নামতে পারে, সে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের দীর্ঘতম কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধনকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

রোববার (২৯ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কক্সবাজার হবে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সৈকত (সি-বিচ), পর্যটনকেন্দ্র ও অত্যন্ত আধুনিক শহর। সেভাবে পুরো কক্সবাজারকে উন্নত সমৃদ্ধ করবো।’

তিনি বলেন, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বালুকাময় সমুদ্রসৈকতে বিদেশি পর্যটকদের জন্য ‘স্পেশাল জোন’ করা হবে। যেখানে শুধু বিদেশিরা আসতে ও যেতে পারবেন। তারা যেন তাদের মতো করে সবকিছু উপভোগ করতে পারেন সে ব্যবস্থা করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোখলেছুর রহমান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ।

এছাড়া অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের সংসদ সদস্যগণ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, বর্তমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নয় হাজার ফুট দীর্ঘ একটি রানওয়ে রয়েছে। এটি ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত করার কাজ চলছে। এর মধ্যে এক হাজার ৩০০ ফুট থাকবে সমুদ্রের মধ্যে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের মহেশখালী চ্যানেলের দিকে জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সম্প্রসারিত হচ্ছে এই রানওয়ে।

বিমানবন্দরটির প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে নতুন ১০ হাজার ৭০০ ফুট রানওয়ে হবে। যার ফলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের বোইং ৭৭৭ ও ৭৪ এর মতো বড় আকারের বিমানগুলো এই বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারবে এবং এর ফলে এখানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করার পথ সুগম হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির সফল বাস্তবায়ন এ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে দেশের ৪র্থ আন্তর্জাতিক এই বিমান বন্দর যাত্রা শুরু করবে। যেখানে ঢাকা বিনানবন্দরের রানওয়ে ১০ হাজার ৫০০ ফিট। আর কক্সবাজার বিমান বন্দরের রানওয়ে হবে ১০ হাজার ৭০০ ফিট।

বিশ্ব পর্যটকদের কাছে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের ওপর হাত দিয়েছে সরকার। কক্সবাজারকে পর্যটন রাজধানী কাগজে-কলমে না রেখে বাস্তবে রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে বেশকিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

বিমান বন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণের সম্প্রসারণ ও শক্তি বৃদ্ধি, এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড, লাইটিং সিস্টেম স্থাপনসহ বেশকিছু কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এখনো চলমান রয়েছে অনেকগুলো কাজ। দেশে প্রথমবারের মতো কক্সাজার সমুদ্রবক্ষে নির্মাণ করা রানওয়ের খরচ হিসেব ধরা হয়েছে ১৫শ’ ৬৯ কোটি টাকা।