০৭:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওসির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:১০:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩
  • 29

একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী, হত্যা চেষ্টা ও ডাকাতি মামলার আাসামিকে বাঁচানোর জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানার ওসির বিরুদ্ধে। এছাড়া মামলার বাদীকে হত্যা মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য হত্যার হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। মামলার বাদী পরিবার নিয়ে জীবন নাশের আশঙ্কায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্রাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীর পরিবার এ অভিযোগ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে শ্রীনগর থানার বাঘড়া গ্রামের সুর্য মিয়ার স্ত্রী জুলেখা বেগম বলেন, ‘গত ১০ ডিসেম্বর আমার মেয়েকে নিয়ে পাশের বাড়িতে অসুস্থ নাতীকে দেখতে যাই। বাসায় আসতে রাত হয়েছে। এই সুযোগে স্থানীয় ডাকাত সরদার সন্ত্রাসী ছালাম কয়েকজন সদস্য নিয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর ঘরের দরজা ভেঙে মালামাল, স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এরপর পুনরায় আরও মালামাল লুট করে ঘরে ঢোকে। এ সময় পাশের বাড়ির লোক বিষয়টি বুঝতে পারলে সন্ত্রাসীরা দৌড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাদের পেছনে ধাওয়া করলে ছালামের হাতে ধারালো দা দিয়ে আমার ভাতিজি লিমার মাথায় আঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। এরপর তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শ্রীনগর থানায় মামলা করতে গেলে প্রথমে থানার ওসি মামলা গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। পরে থানার ওসি মামলা গ্রহণ করলেও আসামিদের গ্রেফতার করছে না।’

ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেন, ‘সন্ত্রাসী ছালাম ওরফে কেটু ছালাম প্রভাব খানিয়ে প্রতিবেশী স্বাক্ষীদের কাছ থেকে জোরপূর্ব সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে। এরপর প্রতিবেশীদের দিয়ে আমাদের নামে থানার ওসির সহযোগিতায় জিডি করিয়েছে। আর সন্ত্রাসীরা আমাদের নামে মিথ্যা মামলাসহ হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।’

সংবাদ সম্মেলনে জুলেখা বেগম বলেন, ‘প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথাসময়ে আসামিদের গ্রেফতার ও ব্যবস্থা না নিয়ে যে কোন সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে। সন্ত্রাসী ছালামের বিরুদ্ধে এলাকায় খুন, ডাকাতি, জুয়ার বোর্ড চালানো, চাঁদাবাজি, ইয়াবাসহ মাদকব্যবসা ও অস্ত্রসহ বিভিন্ন মামলায় সাজা প্রাপ্ত ছিল। দর্ঘি ১৬ বছর ডান্ডাবেরী পড়া অবস্থায় জেলহাজতে আটক ছিল।’

ছালামকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিস্টদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ওসির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগ

Update Time : ১০:১০:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩

একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী, হত্যা চেষ্টা ও ডাকাতি মামলার আাসামিকে বাঁচানোর জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানার ওসির বিরুদ্ধে। এছাড়া মামলার বাদীকে হত্যা মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য হত্যার হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। মামলার বাদী পরিবার নিয়ে জীবন নাশের আশঙ্কায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্রাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীর পরিবার এ অভিযোগ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে শ্রীনগর থানার বাঘড়া গ্রামের সুর্য মিয়ার স্ত্রী জুলেখা বেগম বলেন, ‘গত ১০ ডিসেম্বর আমার মেয়েকে নিয়ে পাশের বাড়িতে অসুস্থ নাতীকে দেখতে যাই। বাসায় আসতে রাত হয়েছে। এই সুযোগে স্থানীয় ডাকাত সরদার সন্ত্রাসী ছালাম কয়েকজন সদস্য নিয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর ঘরের দরজা ভেঙে মালামাল, স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এরপর পুনরায় আরও মালামাল লুট করে ঘরে ঢোকে। এ সময় পাশের বাড়ির লোক বিষয়টি বুঝতে পারলে সন্ত্রাসীরা দৌড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাদের পেছনে ধাওয়া করলে ছালামের হাতে ধারালো দা দিয়ে আমার ভাতিজি লিমার মাথায় আঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। এরপর তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শ্রীনগর থানায় মামলা করতে গেলে প্রথমে থানার ওসি মামলা গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। পরে থানার ওসি মামলা গ্রহণ করলেও আসামিদের গ্রেফতার করছে না।’

ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেন, ‘সন্ত্রাসী ছালাম ওরফে কেটু ছালাম প্রভাব খানিয়ে প্রতিবেশী স্বাক্ষীদের কাছ থেকে জোরপূর্ব সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে। এরপর প্রতিবেশীদের দিয়ে আমাদের নামে থানার ওসির সহযোগিতায় জিডি করিয়েছে। আর সন্ত্রাসীরা আমাদের নামে মিথ্যা মামলাসহ হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।’

সংবাদ সম্মেলনে জুলেখা বেগম বলেন, ‘প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথাসময়ে আসামিদের গ্রেফতার ও ব্যবস্থা না নিয়ে যে কোন সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে। সন্ত্রাসী ছালামের বিরুদ্ধে এলাকায় খুন, ডাকাতি, জুয়ার বোর্ড চালানো, চাঁদাবাজি, ইয়াবাসহ মাদকব্যবসা ও অস্ত্রসহ বিভিন্ন মামলায় সাজা প্রাপ্ত ছিল। দর্ঘি ১৬ বছর ডান্ডাবেরী পড়া অবস্থায় জেলহাজতে আটক ছিল।’

ছালামকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিস্টদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।