কোরবানির ঈদের আর মাত্র ৮ দিন বাকি। এরই মধ্যে বেশিরভাগ হাটই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। পশু আসতে শুরু করেছে রাজধানীর হাটগুলোতে। এবার বন্যার কারণে আগেভাগেই গরু হাটে আনা হচ্ছে।
বেপারি ও ইজারাদারদের আশা, এবার বিক্রি বাড়বে। যে কোনো ধরনের অনিয়ম রোধে হাটে মনিটরিং সেল রাখছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন। আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। সরেজমিনে রাজধানীর কয়েকটি কোরবানির পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট, আমুলিয়া, আফতাবনগর, উত্তরা ১৭ নম্বরসহ সবগুলো হাট সাজানো হয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে পশু রাখার খুঁটি, অস্থায়ী শেড ও হাসিল ঘর। আকর্ষণীয় নকশায় সাজানো হয়েছে হাটের প্রধান ফটক ও বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। এখন চলছে হাসিল ঘর নির্মাণের কাজ।
এ বছর পশুর দাম বেশি থাকবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, এ বছর পশুখাদ্যের দাম বাড়তি থাকায় কোরবানির পশু পালনে প্রচুর খরচ হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট-সুনামগঞ্জ ও উত্তরাঞ্চলের বন্যার প্রভাবও পড়বে পশুর হাটে। বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ী ও খামারিরা ট্রাকভর্তি পশু আনছেন হাটগুলোতে। বন্যার কারণে আগেভাগেই পশু নিয়ে এসেছেন সিরাজগঞ্জের বেপারিরা। এসব গরুর দাম ৯০ হাজার থেকে আড়াই লাখ পর্যন্ত চাইছেন তারা।
ইজারাদার বলছেন, সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী হাট পরিচালনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৬ জুলাই থেকে শুরু হবে বিক্রি কার্যক্রম। যে কোনো ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা রোধে হাটে থাকবে মনিটরিং সেল। এবার সারুলিয়ায় স্থায়ী হাটসহ দক্ষিণ ঢাকায় মোট হাট ১১টি। আর ঢাকা উত্তরে বসবে ১০টি হাট।