যেটা আশংকা করেছিলাম রাতে, সেটাই হয়েছে। রাসায়নিক পদার্থ আছে এটা ফায়ার সার্ভিসকে না জানানোর কারণে তাদের ক্ষয়ক্ষতি এমনকি মারাও যেতে পারে বলেছিলাম। এখন সেটাই হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ৫ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরো অনেকে মারা যাবে। মোট মৃতের সংখ্যা ৩৫। এটা কেবল মৃতদেহ পাওয়াদের সংখ্যা। অনেকের দেহ পাওয়া যাবে না- পুঁড়ে ছাই হওয়ার কারণে। বিস্ফোরক পরিদপ্তর থেকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, বিএম কন্টেইনার ডিপোর কাছে কোনো লাইসেন্স নেই। অর্থাৎ এই ধরণের বিস্ফোরক কেমিক্যাল আমদানী এবং সংরক্ষণের জন্য সরকারের বিস্ফোরক পরিদপ্তরের অনুমোদন লাগে, লাইসেন্স লাগে। এগুলো নিরাপদে সংরক্ষণের জন্য কিছু নিয়ম আছে, আলাদা ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয়। যার কিছুই নেই স্মার্ট গ্রুপের এই প্রতিষ্ঠানের। এমনকি বিস্ফোরক পরিদপ্তরকে অবহিতও করেনি। অবৈধ রেখেছিল তারা এগুলো। প্রতিষ্ঠানটির মালিক মুজিবুর রহমান। দৈনিক পূর্ব দেশের সম্পাদক। তিনি জেলা আওয়ামীলীগের একজন কোষাধ্যক্ষ। এজন্যই হয়তো অবৈধভাবে এগুলো রাখার সাহস এবং সুযোগ পেয়েছিলেন। আগুনে দগ্ধ বেশিরভাগ মানুষই আগে পরে মারা যাবেন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে। যারা বেঁচে থাকবে, বেশিরভাগই পঙ্গুত্ব বরণ করবে। এতগুলো লোকের মৃত্যু এবং পঙ্গুত্বের দায় কে নেবেন? আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী সরকার কি নেবেন এই হত্যাকান্ডের দায়?
Leave a Reply