ক্ষতিকারক উপাদান দিয়ে তৈরি একটি দেশি ও ১৬টি বিদেশি রং ফর্সাকারী ক্রিম নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন—বিএসটিআই। এর মধ্যে ১৪টিই পাকিস্তানের তৈরি আর একটি চীনের। স্থানীয়ভাবে তৈরি একটি আর অন্যটির উৎস জানা যায়নি।
এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিএসটিআই বলেছে, ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক পদার্থ থাকায় মুখে মাখার এই ক্রিমগুলো আমদানি, বিতরণ, বিপণন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার জারি করা প্রজ্ঞাপনটিতে এ ধরনের ক্ষতিকর পণ্য ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বানও জানিয়েছে সরকারি সংস্থাটি।
ক্রিমগুলোর মধ্যে আছে—গোরি হোয়াইটনিং ক্রিম, চাঁদনি হোয়াইটনিং ক্রিম, নিউ ফেস হোয়াইটনিং ক্রিম, ডিউ ক্রিম, গোল্ডেন পার্ল ক্রিম, ফাইজা ক্রিম, নূর হারবাল বিউটি ক্রিম, নূর হারবাল গোল্ড ক্রিম, হোয়াইট পার্ল প্লাস হোয়াইটনিং ক্রিম, প্যাক্স হোয়াইটনিং ক্রিম, ফ্রেশ অ্যান্ড হোয়াইট হোয়াইটনিং ক্রিম, ফেস লিফট হোয়াইটনিং ক্রিম, ফেস ফ্রেশ হোয়াইটনিং ক্রিম, চাইনিজ ডা. রাশেল (নাইট) ক্রিম, ৪-কে প্লাস হোয়াইটনিং ক্রিম, আনিজা গোল্ড হোয়াইটনিং ক্রিম এবং গোল্ড হোয়াইটনিং ক্রিম।
বিএসটিআইয়ের মানদণ্ডে পণ্যে পারদের সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রা ১ পিপিএম এবং হাইড্রোকুইনোনের সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রা ৫ পিপিএম নির্ধারিত। বিএসটিআই বলছে, বাজার থেকে মুখে মাখার রং ফর্সাকারী বিভিন্ন ক্রিমের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এগুলোর মধ্যে এই ১৭টি ক্রিমে উচ্চমাত্রার ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিলেছে।
ক্রিমগুলোতে অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে অন্তত ১০০ গুণ বেশি মার্কারি বা পারদ এবং হাইড্রোকুইনোন আছে। দীর্ঘমেয়াদে এসব ক্রিম ব্যবহারে ত্বকে নানাবিধ রোগের সৃষ্টি হতে পারে। নমুনা পরীক্ষায় দুটি পণ্যে ৫ পিপিএমের বেশি হাইড্রোকুইনোন মিলেছে। এই দুটি হলো, আনিজা গোল্ড হোয়াইটনিং ক্রিম এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গোল্ড হোয়াইটনিং ক্রিম।