সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ শাখা বিএনপির পক্ষ থেকে দুস্থদের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দলের থানা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও অংশ নেন অ্যাডভোকেট সেলিম চৌধুরী, মোজাদ্দেদ আলী বাবুসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের যেসব নেতাকর্মী মাঠে আস্ফালন দেখাচ্ছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে, বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে, তারা হয়তো জানে না তাদের নেত্রী কখন পদত্যাগ করবেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের আগ পর্যন্ত পাকিস্তানি সৈন্যরা জানত না পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এরশাদের লোকজনও জানত না তাদের নেতাকে পদত্যাগ করতে হচ্ছে। এখন আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মী বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-নির্যাতন করছে তারাও জানে না তাদের নেত্রী শেখ হাসিনা কখন পদত্যাগ করবেন।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দেশে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও কর্মজীবী মানুষের অভাব অনটন রয়েছে। প্রতিটি জিনিসের দাম এতো বেশি, তা সীমিত আয়ের মানুষের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়। এ অবস্থায় আমরা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের সীমিত আয়ের মানুষকে সাহায্য দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু গত ২৯ মে রাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেখানে হামলা করে, আবার ষড়যন্ত্র করে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, ‘বাতি নিভে যাওয়ার আগে যেমন ধপ করে জ্বলে উঠে, এই সরকারের অবস্থাও তাই। এ কারণেই বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর একের পর এক হামলা করছে।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের বলব, ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ নেই। আপনারা সারাদেশে যে নির্যাতন করে চলেছেন, এর জবাব আমরা দেব। তবে আওয়ামী লীগের মতো করে নয়; রাজনৈতিকভাবে দেব।’