ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যবস্থা সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে ভারতের ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন এবং পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া পোর্ট ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ভারত থেকে জলপথে বাংলাদেশে ন্যাপথা রপ্তানি করা হলো।
রাইন শিপিং লাইনের ওটি সংঘাই ৮ লাইটার জাহাজে ইন্দো বাংলাদেশ প্রটোকল রিভার লাইন ধরে এই ন্যাপথা পৌঁছবে বাংলাদেশে। প্রথমবার পাঠানো হলো প্রায় ১৯০০টন ন্যাপথা। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৮ কোটি রুপি। চলতি বছরের শুরুতে ভারতের সাবেক জাহাজ মন্ত্রী সর্বানন্দ সানওয়াল ইন্দো বাংলাদেশ রিভার প্রটোকল লাইনের উদ্বোধন করেছিলেন। রোববার সেই পথ ধরেই প্রথম বার লাইটার জাহাজে ন্যাপথা পৌঁছবে বাংলাদেশে।
এর ফলে দুই দেশের মধ্যে সড়কপথে অতি দাহ্য পদার্থ ন্যাপথা আমদানি-রপ্তানির ঝুঁকি অনেকটাই কমে গেলো। পাশাপাশি সময়ও লাগবে অনেক কম । মাত্র সাত দিনে গন্তব্যে পৌঁছবে জাহাজ। লাইটার জাহাজ হওয়ায় বড় বন্দরে আনলোড করে ফের সড়কপথে পরিবহনের ঝক্কি-ঝামেলা এড়িয়ে নদীপথেই সরাসরি শিল্পাঞ্চলের কাছাকাছি নদী বন্দরে পৌঁছবে জাহাজ। এতে কমবে পরিবহন খরচ।
এদিন হলদিয়া থেকে লাইটার জাহাজে প্রথমবারের মত ভারত থেকে বাংলাদেশে ন্যাপথা রপ্তানি উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া ডক-এর ডেপুটি চেয়ারম্যান অমল কুমার মেহেরা ও ইন্ডিয়ান অয়েলের কর্মকর্তারা।
সেখানে অমল কুমার মেহেরা বলেন, ভারতে পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের বাজার এত বড় আমরা যে পণ্যই উৎপাদন করি সেটা দেশের মধ্যেই ব্যবহার হয়ে যায়। তার পরেও আমরা নেপাল ভুটানকে ১০০শতাংশ পেট্রোলিয়াম পণ্য রপ্তানি করি। শ্রীলঙ্কাও আমাদের বড় মার্কেট। বাংলাদেশও পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্য কিনবে। তারা বলছে ন্যাপথা কিনবে, তাদের কারোর থেকে তো কিনতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি বাংলাদেশের সেই মার্কেট ধরার। বাংলাদেশ বড় বাজার।
আজ ন্যাপথা দিয়ে শুরু করে আগামী দিনে আমরা সেখানে এলপিজি, লুব্রিকেন্ট অয়েল, ফার্নেস অয়েল, সালফার, পেট কোকসহ বহু পণ্য এই রুট ধরে পাঠাতে পারি। এক্ষেত্রে দরকার সঠিক পরিকাঠামো। এতে যদি আমরা দুই দেশ লাভবান হয়ে থাকি সেক্ষেত্রে আমরা ধীরে ধীরে বাংলাদেশের বড় সাপ্লাইয়ারে পরিণত হবো।
প্রসঙ্গত, ন্যাপথা হলো তরল হাইড্রোকার্বন মিশ্রণ সম্বলিত অতিদাহ্য পদার্থ। পেট্রোলিয়ামে শতকরা ১০ ভাগ ন্যাপথা থাকে। এটি জ্বালানি ও পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পে বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগ ও ব্যবহার্য দ্রব্য প্রস্তুত করতে ব্যবহার করা হয়।
Leave a Reply