০৩:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইভ্যালির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই।

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:২৮:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২
  • 28

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। দুটি ওয়্যার হাউজে আনুমানিক ২৫ কোটি টাকার মালামাল রয়েছে। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারী আনতে না পারলে পাওনাদারদের অর্থ পরিশোধ সম্ভব নয়।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইভ্যালির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান উচ্চ আদালত কর্তৃক গঠিত ইভ্যালির বর্তমান নতুন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

তিনি বলেন, ইভ্যালির দুই ধরনের পাওনাদার রয়েছে। যারা সাপ্লাইয়ার আর যারা ক্লায়েন্ট। এখানে সাপ্লায়েরদের পাওনা বেশি। বর্তমানে ইভ্যালির যে সম্পদ রয়েছে তাতে পাওনাদারদের সন্তুষ্ট করা অসম্ভব।

সাভারে ইভ্যালির দুটি ওয়্যার হাউজে আনুমানিক ২৫ কোটি টাকার পণ্য রয়েছে। এছাড়া, ৯টা ছোট পুরাতন কাভার্ডভ্যান ও ৫টা গাড়ি পেয়েছি। তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তেমন টাকা নেই। যা আছে তা পাওনাদারদের টাকার তুলনায় কিছুই না, এটা সমুদ্রে এক ফোঁটা পানির মতো।

ইভ্যালির সিইও মো: রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন উচ্চ আদালতে বিনিয়োগকারী আনতে পারবেন বলে একটি এভিটওভিট দিয়েছেন। তারা যদি বিনিয়োগকারী আনতে পারে তাহলে কোম্পানি চলবে, পাওনাদাররাও টাকা পাবে। এটা নির্ভর করছে তারা বিনিয়োগকারী আনতে পারবেন কিনা।

এদিকে এমাসেই ইভ্যালির অডিট কার্যক্রম শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি মানিক। তবে সার্ভার সচল না থাকায় অডিটে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া নিয়ে সংশয়ে পরিচালনা পর্ষদ।

গেটওয়েতে আটকে থাকা অর্থের বিষয়ে জানতে চাইলে ইভ্যালির বর্তমান এমডি মাহবুব কবীর মিলন বলেন, ইভ্যালির ৬টি গেটওয়েতে সব লেনদেন হয়েছে। আমরা সেসব গেটওয়ের আটকে থাকা অর্থ গ্রাহকদের ফেরতের কথা আলোচনা করছিলাম। কিন্তু তারা বলেছে, ইভ্যালির কাছ থেকে পাওনার বিষয়ে লিখিত নিয়ে এলে যে নির্ধারিত ওই গ্রাহকের পণ্য ডেলিভারি দেওয়া হয়নি, তাহলে আমরা অর্থ ব্যাক করতে পারবো।

কিন্তু সার্ভারের এক্সেস না থাকায় এটাও সম্ভব হচ্ছে না। কে পণ্য কিনেছে, কার পণ্য ডেলিভারি হয়নি এটা জানা সম্ভব হচ্ছে না। যতোক্ষণ পর্যন্ত সার্ভার সচল না হবে ততোক্ষণ ওই ২৫ কোটি টাকা গেটওয়েতে আটকে থাকবে। একইভাবে সার্ভার সচল না হলে পণ্য থাকলেও কোনো গ্রাহককে পণ্য দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ সে পণ্য পেয়েছে কি-না বা আদৌ পাবে কি-না জানা সম্ভব হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন বর্তমানে কারাগারে আটক আছেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ইভ্যালির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই।

Update Time : ১২:২৮:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। দুটি ওয়্যার হাউজে আনুমানিক ২৫ কোটি টাকার মালামাল রয়েছে। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারী আনতে না পারলে পাওনাদারদের অর্থ পরিশোধ সম্ভব নয়।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইভ্যালির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান উচ্চ আদালত কর্তৃক গঠিত ইভ্যালির বর্তমান নতুন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

তিনি বলেন, ইভ্যালির দুই ধরনের পাওনাদার রয়েছে। যারা সাপ্লাইয়ার আর যারা ক্লায়েন্ট। এখানে সাপ্লায়েরদের পাওনা বেশি। বর্তমানে ইভ্যালির যে সম্পদ রয়েছে তাতে পাওনাদারদের সন্তুষ্ট করা অসম্ভব।

সাভারে ইভ্যালির দুটি ওয়্যার হাউজে আনুমানিক ২৫ কোটি টাকার পণ্য রয়েছে। এছাড়া, ৯টা ছোট পুরাতন কাভার্ডভ্যান ও ৫টা গাড়ি পেয়েছি। তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তেমন টাকা নেই। যা আছে তা পাওনাদারদের টাকার তুলনায় কিছুই না, এটা সমুদ্রে এক ফোঁটা পানির মতো।

ইভ্যালির সিইও মো: রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন উচ্চ আদালতে বিনিয়োগকারী আনতে পারবেন বলে একটি এভিটওভিট দিয়েছেন। তারা যদি বিনিয়োগকারী আনতে পারে তাহলে কোম্পানি চলবে, পাওনাদাররাও টাকা পাবে। এটা নির্ভর করছে তারা বিনিয়োগকারী আনতে পারবেন কিনা।

এদিকে এমাসেই ইভ্যালির অডিট কার্যক্রম শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি মানিক। তবে সার্ভার সচল না থাকায় অডিটে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া নিয়ে সংশয়ে পরিচালনা পর্ষদ।

গেটওয়েতে আটকে থাকা অর্থের বিষয়ে জানতে চাইলে ইভ্যালির বর্তমান এমডি মাহবুব কবীর মিলন বলেন, ইভ্যালির ৬টি গেটওয়েতে সব লেনদেন হয়েছে। আমরা সেসব গেটওয়ের আটকে থাকা অর্থ গ্রাহকদের ফেরতের কথা আলোচনা করছিলাম। কিন্তু তারা বলেছে, ইভ্যালির কাছ থেকে পাওনার বিষয়ে লিখিত নিয়ে এলে যে নির্ধারিত ওই গ্রাহকের পণ্য ডেলিভারি দেওয়া হয়নি, তাহলে আমরা অর্থ ব্যাক করতে পারবো।

কিন্তু সার্ভারের এক্সেস না থাকায় এটাও সম্ভব হচ্ছে না। কে পণ্য কিনেছে, কার পণ্য ডেলিভারি হয়নি এটা জানা সম্ভব হচ্ছে না। যতোক্ষণ পর্যন্ত সার্ভার সচল না হবে ততোক্ষণ ওই ২৫ কোটি টাকা গেটওয়েতে আটকে থাকবে। একইভাবে সার্ভার সচল না হলে পণ্য থাকলেও কোনো গ্রাহককে পণ্য দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ সে পণ্য পেয়েছে কি-না বা আদৌ পাবে কি-না জানা সম্ভব হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন বর্তমানে কারাগারে আটক আছেন।