পশ্চিম ইউরোপে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০ জনে। নিখোঁজ হাজারো মানুষের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। বানের তোড়ে বহু ঘর-বাড়ি ভেসে যাওয়ায় সব হারিয়ে পথে বসেছেন বাস্তচ্যুত মানুষ।
রেকর্ড বর্ষণে জার্মানি, নেদারল্যান্ডসের বহু জায়গা তলিয়ে গেছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় জার্মানি। দেশটিতে বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৪৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে চারজন দমকলকর্মী রয়েছেন। গত ৫০ বছরেও এমন পরিস্থিতি দেখেনি এখানকার মানুষ।
পশ্চিম জার্মানির স্টেইনবাস্টাল বাঁধ ভেঙে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। শহরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বাঁধের চারপাশের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বাসিন্দাকে ইতোমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৮ জুলাই) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুলাই) নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের ইরফটস্টাডট সফরে জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ওয়াল্টার স্টেনমেয়ার বলেন, হতাহতদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি সহমর্মিতা ও শোক জানাচ্ছি। এই বিপর্যয়ে আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে। দুর্যোগে কেবল এই রাজ্যেই ৪৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
এখনো কয়েক শ’ মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। এদিকে বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডসেও বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে।
বেলজিয়ামে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। এ ছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। একে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হিসেবে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রু। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসের দক্ষিণাঞ্চলেও বন্যায় এক প্রকার ভেঙে পড়েছে সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন বন্যাকবলিত এলাকার হাজারো বাসিন্দা।
যেদিকেই চোখ যায়, শুধু পানি আর পানি। গত কয়েক দিনের অব্যাহত ভারি বৃষ্টিতে ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত বেলজিয়ামও। পুরোপুরি তলিয়ে গেছে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় অধিকাংশ শহর। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।