ইউকেতে বসবাসরত ইইউ নাগরিকদের বুধবার (৩০ জুন) শেষ হওয়ার আগেই ব্রিটিশ সরকার প্রবর্তিত ব্রেক্সিট পরবর্তী বিধি মোতাবেক আবেদন করতে হবে, নয়তো থাকার অধিকার হারাতে হবে।
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, এপর্যন্ত ৫৬ লাখেরও বেশি আবেদন পেয়েছে হোম অফিস, প্রায় ৪০ লাখ আবেদন এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্ত্রীরা বলেছেন, যারা সময় মতো আবেদন করেছেন মামলার শুনানি চলাকালে তাদের বিদ্যমান অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।
লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এতে বহু মানুষ পাবলিক সার্ভিসে প্রবেশাধিকার হারাতে পারেন এবং এর সময়সীমা আরো বাড়ানো উচিৎ।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বিদায় নেওয়ার শর্ত অনুযায়ী, ইইউ নাগরিক এবং তাদের পরিবার সদস্যরা এখন আর যুক্তরাজ্যে বসবাসের স্বয়ংক্রিয় অধিকার হারাচ্ছেন। অন্যথা, তাদেরকে ইইউ সেটেলমেন্ট স্কিম নামে পরিচিত বৈধ অনুমোতিতে আবেদন করতে হবে। ইউরোপিয়ান ইকোনোমিক এড়িয়ার (ইইএ) রাষ্ট্র আইসল্যান্ড, লিচটেনস্টাইন এবং নরওয়ের পাশাপাশি সুইজারল্যান্ডের ক্ষেত্রেও এই আইন প্রযোজ্য।
সেটেলমেন্ট স্টেটাস মঞ্জুর হয়ে গেলে, আবেদনকারীরা স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং পাবলিক ফান্ডে প্রবেশাধিকার পাবেন। এছাড়াও যুক্তরাজ্য থেকে অন্য দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ রক্ষা করতে পারবেন।
এদিকে এই আবেদনের প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক জটিলতা ও বিভ্রান্তি বিরাজ করছে আবেদনকারীদের মধ্যে। কেউ হয়তো নিজের জন্য এই আবেদন করেছেন, কিন্তু তার শিশু সন্তানের রেজিস্ট্রেশন করতে ভুলে গেছেন। ভেরিফিকেশনের জন্য হোম অফিসে সন্তানের পাসপোর্ট জমা দিয়ে দেখা গেছে সেটি আমলাতান্ত্রিক কারণে সপ্তাহের পর সপ্তাহ আটকে আছে।
আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো উচিৎ এমনটাই মনে করছেন অনেকে। পাশাপাশি নিজেদের ইমিগ্রেশনের ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বহু আবেদনকারী।
হোম অফিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মে পর্যন্ত ৫৬ লাখ আবেদনপত্রের মধ্যে প্রায় ৫২ লাখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে পোল্যান্ড এবং রোমানিয়া থেকে।
প্রায় ৯৪ হাজার আবেদন প্রত্যাখ্যান হয়েছে, ৭২ হাজার ১০০ আবেদন প্রত্যাহার বা বাতিল হয়েছে এবং ৭৪ হাজার ৯০০ আবেদন অবৈধ বলে গণ্য হয়েছে। কারণ, হোম অফিস বলছে এদের অনেকে আবেদনের যোগ্য নয় অথবা রেসিডেন্সের যথেষ্ট প্রমাণ দিতে পারেনি।