মার্কস রাশফোর্ড, জেডন শানশো ও বুকায়ো শাকা ইংল্যান্ডের তিনজন কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়ারসহ ইংল্যান্ডের কৃষ্ণাঙ্গ সমর্থকেরা বর্ণবাদের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মেট্রো নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্ণবাদী আচরণের লক্ষ্য ছিলেন ইংল্যান্ডের কৃষ্ণাঙ্গ সমর্থকেরা। কাল টাইব্রেকারে পেনাল্টি মিস করেছেন দুই কৃষ্ণাঙ্গ তারকা মার্কাস রাশফোর্ড, বুকায়ো সাকা। জেডন সাঞ্চো মিস করলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বর্ণবাদী আক্রমণ ও ট্রলের শিকার দুই কৃষ্ণাঙ্গই।
বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ জানিয়েছে, ওয়েম্বলির ফাইনালে উচ্ছৃঙ্খল আচরণের জন্য কমপক্ষে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তিনি বলেছেন, খেলোয়াররা দেশটির সব মানুষদের এক করেছে। তাদের সবাইকে ধণ্যবাদ জানান তিনি। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খেলোয়ারদের বুলিং না করার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে ম্যাচ শুরুর আগেই বেশ কিছু ঝামেলার তৈরি হয়েছিল মাঠের বাইরে। ওয়েম্বলির একজন মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, ম্যাচ শুরু আগে বেশ কিছু ‘টিকিটহীন’ ইংলিশ সমর্থক নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেদ করে স্টেডিয়ামে প্রবেশের চেষ্টা চালান।
কেবল নিজেদের খেলোয়ারদেরই নয়। ইতালীয়দেরও বর্ণবাদী আক্রমণে জর্জরিত করা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। তবে এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ), ‘দুর্ভাগ্যজনক এসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এফএ সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে কঠোর।’
ম্যাচ শেষ ওয়েম্বলিতে ইতালির পতাকা অবমাননার ঘটনাও ঘটেছে। ইংলিশ ভক্তরা ইতালীয় ভক্তদের কাছ থেকে পতাকা কেড়ে নিয়ে তাতে আগুন দিয়েছে অনেক জায়গাতেই। পতাকায় থুতু ছিটানো, সেটির ওপর দাঁড়িয়ে পড়া—এমন ঘটনা অসংখ্য বার দেখা গিয়েছে খেলার মাঠে।