ভূতের রাজার কাছে দরখাস্ত > আমিও মরে ভূত হতে চাই
কবি: লুৎফর রহমান রিটন
টক ঝাল না মিষ্টি প্রিয়? কী খেতে চায় ভূতরা?
ভূতের প্রিয় ধুতুরা ফুল অর্থাৎ কী না ধুত্রা।
ভূত খেতে চায় ঝাল-টকটক চটপটি আর ফুচকা?
জবাব পেতে বইয়ের পাতায় দু’চোখ-ভুরু কুঁচকা।
ভূত কখনো আইসক্রিম খায়? ঝালমুড়ি খায়? মিষ্টি?
কোন মিষ্টি পছন্দ তার? অনেক বড় লিস্টি?
সেই তালিকায় সন্দেশ নেই? বুন্দিয়া নেই? নিমকি?
ভূত ছানাদের প্রিয় ছড়া হাট্টিমা টিম টিম কি?
ভূতের প্রিয় লাল করলার কঠিন তেতো ভর্তা
লাল করলার জ্যাম-জেলি খায় ভূতের বড় কর্তা।
উৎসবে পার্বণে ওটাই ভূতের প্রধান খাদ্য
অনুষ্ঠানে ভূতরা বাজায় শুভ্র হাড়ের বাদ্য।
গ্রেভ ইয়ার্ডের মাটি খুঁড়ে কুড়িয়ে এনে হাড্ডি–
ভূতরা নাচে কংকাল ডান্স, আর খেলে কাবাড্ডি!
ভূতের কোনো নেই তুলনা নৃত্য-গীতের ছন্দে
মন খারাপের ঝামেলা নেই ভূত থাকে আনন্দে।
ভূত হওয়া নয় সহজ মোটে হাজারটা তার ঝক্কি
কে যে কখন ভূত হবে তা জানে না কাক-পক্ষী!
আমিও মরে ভূত হতে চাই বুঝলি কী না বুদ্ধু
শ্যাওড়া গাছের স্যুপ খেতে হয় শেকড়-বাকড় শুদ্ধু!
রোজ খাচ্ছি তিতকুটে স্যুপ পাঁচটা বাটি ভর্তি
বিদঘুটে এই ধ্যান-সাধনা তুই কখনো কর্তি!
মেদ ঝরাতে কঠিন ব্যায়াম-এক্সারসাইজ করছি!
এক নাগাড়ে তেরো ঘন্টা!! করতে করতে মরছি…
ভূতের রাজার বরাবরে লিখেছি দরখাস্ত–
এই মনুষ্য খুচরো জীবন করবো না বরদাশ্ত!
এপ্লিকেশন পাঠিয়ে দিলাম সঙ্গে তিনটে কাৎলা
(ভূত রাজা খুব টিঙ টিঙে আর লিকলিকে খুব পাতলা)
আমিও মরে ভূত হতে চাই পারলে উপায় বাৎলা…